২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৪১

ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি

শফিউল আলম দোলন

ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি

এবার ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি দিতে চায় দলটি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ঘোষণা করা হবে সেসব কর্মসূচি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে  দুই সপ্তাহের ধারাবাহিক কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। 

তার মধ্যে রয়েছে- ঘরোয়া সমাবেশ ও ভার্চুয়ালি সভা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় এবং আলোচনা, সেমিনার। লক্ষ্য- নানা কর্মসূচির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি জাতীয় নির্বাচন আদায় করা। 

এ লক্ষ্যে আগামী ১ অক্টোবর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি। গত শনিবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা। সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেটা সফল করে তুলব ইনশাআল্লাহ। এ জন্য দরকার দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্য। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।

বিএনপির দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে দুই পর্বে ছয় দিনের বৈঠকের পর এবার পেশাজীবী নেতা ও অনুসারীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৮ অক্টোবর বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি মতবিনিময় সভা ও আলোচনা সভা করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। 

এগুলো হচ্ছে- সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দলের পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়। এ ছাড়াও আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভা, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি ও বিষয়ভিত্তিক কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বর্তমানে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। পর্যায়ক্রমে তা আরও বর্ধিত করা হবে এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও জনসংযোগমূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। এরপর সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে ঐক্যবদ্ধভাবে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে। 

তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিএনপি স্থায়ী কমিটির গত শনিবারের বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশগ্রহণ করেন।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর