৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:০৫

অনাহার-অর্ধাহারে আওয়ামী লীগ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে : মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনাহার-অর্ধাহারে আওয়ামী লীগ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে : মির্জা আজম

মির্জা আজম

অনাহার-অর্ধাহারে আওয়ামী লীগ দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, গত ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সব থেকে দরিদ্রতম দেশ। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাত্র ১৩ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসেছে। 

রবিবার রাজধানীর গুলিস্তানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৩৮ নং ওয়ার্ড ও বিভিন্ন ইউনিট সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা আজম বলেন, এই অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন পেয়েছেন। যারা আগে ছনের ঘরে থাকতেন- তারা আজ টিনের ঘরে থাকেন। যাদের ঘরে কুপি বাতি জ্বলতো- আজ তাদের ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলে। যারা কাঁচা রাস্তায় হাঁটতেন- তারা আজ পাকা রাস্তায় হাঁটছেন। আমরা যারা আওয়ামী লীগের সাথে আছি- তারাও কিন্তু সকলেই দলের অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে সমৃদ্ধশালী হয়েছি। এমপি-মন্ত্রী বলি, মহানগর নেতা বলি, থানা পর্যায়ের নেতা বলি, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা বলি আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতা বলি- সকলেই কিন্তু আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে সমৃদ্ধশালী হয়েছেন। কিন্তু এই ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সেভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হয়নি। আওয়ামী লীগ শক্তিশালীও হয়নি। অনাহার-অর্ধাহারে আওয়ামী লীগ দিন দিন শুকিয়ে গেছে। 

মির্জা আজম আরও বলেন, দেশটাকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন। তার পরিশ্রম ও সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু নেত্রীর সব অর্জন বিসর্জন হয়ে যায়- যখন দেখি আমার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে চাঁদা চায়। এই চাঁদাবাজদের আওয়ামী লীগে স্থান দেয়া যাবে না। যদি তারা স্থান পায়, তাহলে আমাদের সকলের পরিশ্রম বৃথা যাবে।  

তিনি বলেন, দলে যাদের ত্যাগ আছে, যাদের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠা আছে। তাদের খুঁজে খুঁজে দায়িত্ব দিতে হবে। নতুন কমিটি গঠনে যদি চাঁদাবাজদের স্থান হয়- আমরা যত উন্নয়ন করি, রাস্তাঘাট বানাই, বিদ্যুৎ দেই- সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দিবে না। তাই আমাদের সু-শৃঙ্খল থাকতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে। শুধু দল করলাম আর বড় বড় মিছিল করলাম, তা কিন্তু হবে না। সম্মেলনে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে প্রতিটি ইউনিট কমিটিগুলো ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তারা ভোট সংগ্রহ করবে এবং আন্দোলন সংগ্রাম অংশগ্রহণ করবে।

দক্ষিণের ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার মইনুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির প্রমুখ। 

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর