বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী, একবার নয় তিনবার। তিনি আলাদাভাবে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন। সেই নেত্রী সম্পর্কে যে ধরনের ঠাট্টা মশকরা করা (ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপি ও নেতা) হয়, এটা শিষ্টাচারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না, এরা বেয়াদব। আমাদের আর কথা নয়; এখন থেকে শুধু অ্যাকশন। অ্যাকশন এই মিডনাইট সরকারের বিরুদ্ধে।’
আজ সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপিপন্থি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সমাবেশ করা হয়।
এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক জনপ্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, শাহে আলম, আবু সাইদ চাঁন, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল হিরন, আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরকার বাদল, মোর্শেদ মিল্টন, মশিউর রহমান, নবী নেওয়াজ খান, জয়নাল আবেদিন, আতাউর রহমান আতা, আসিক চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান (ঝিকরগাছা উপজেলা) সাবিরা খাতুন মুন্নি। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ আক্তার ও যশোর জেলা বাঘারপাড়া উপজেলার মেয়র আব্দুল হাই মনা বিশ্বাস।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনারা আপনাদের সাহসকে আরও প্রত্যয়ী করেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে আরও কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন। এটাই হবে আমাদের আন্দোলনের সফলতার মূলমন্ত্র।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক ও তারেক রহমানের সৈনিক। আমাদের আলাদা পরিচয় নেই; সৈনিকদের কাজ হচ্ছে লড়াই করা। আজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান, তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ মুক্ত হবে এবং মুক্ত হবে গণতন্ত্র।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারি না। চিকিৎসকদের কথা সরকার কানে নেয় না, তারা আইনের ছবক দেন। আবার বলে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে এ সময়ে কোন লোকটা নিষ্পাপ আছেন, যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এমন কী অন্যায় করেছে, যার জন্য ক্ষমা চাইবেন? টাকা তছরুপ হয়নি, বরং বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। তারপরও তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ