২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৮

সায়েম সোবহান আনভীরকে সংবর্ধনা ও আজীবন সদস্যপদ দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

সায়েম সোবহান আনভীরকে সংবর্ধনা ও আজীবন সদস্যপদ দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব

ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ করছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরকে সংবর্ধনা জানিয়েছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। সেই সাথে তাকে আজীবন সদস্য পদও দিল কলকাতা তথা ভারতের ঐতিহ্যমণ্ডিত এই ফুটবল ক্লাব। 

বৃহস্পতিবার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব প্রাঙ্গণে এক জমকালো অনুষ্ঠানে সায়েম সোবহান আনভীরের হাতে ইস্ট বেঙ্গলের জার্সি তুলে দেয়া হয়। পরে তার হাতে মেম্বারশিপ কিট তুলে দেন ইস্ট বেঙ্গলের সচিব কল্যাণ মজুমদার। গোল্ড কয়েন তুলে দেন ক্লাবের সহ-সচিব রূপক সাহা, দেবব্রত সরকার। 

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব ভাইস প্রেসিডেন্ট শান্তি রঞ্জন দাসগুপ্ত, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসানসহ বসুন্ধরা মিডিয়া গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

 সায়েম সোবহান আনভীরের হাতে জার্সি তুলে দিচ্ছেন ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা

অনুষ্ঠানে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, আপনাদের আন্তরিকতা শুধু মুগ্ধই করেনি, এই ক্লাবের আজীবন সদস্য করে আপনারা আমাকে কিনে ফেলেছেন। আমি আশাই করতে পারিনি এত সুন্দর সুসংগঠিতভাবে আমাকে স্বাগত জানানো হবে এখানে। আমাকে যেভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আমিও আপনাদের (ইস্ট বেঙ্গল) গোটা টিমকে বাংলাদেশে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানাব।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, এটি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা। উনি আমাকে এই ক্লাবটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমিও তার কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি।

খুব শিগগির শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের মধ্যে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হবে যার পুরোটাই তিনি স্পন্সর করবেন বলেও জানান সায়েম সোবহান।

ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের তরফে দেবব্রত সরকার জানান, "ভারতীয় ফুটবল ক্যালেন্ডার এর সাথে সময়সূচি মিলে গেলে দুই ক্লাবের মধ্যে ওই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশে গিয়ে খেলব।"

এর আগে সায়েম সোবহান আনভীরকে উত্তরীয় পরিয়ে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে সম্মান জানানো হয়। ফুল তুলে দেন শান্তি রঞ্জন দাসগুপ্ত। ফলের ঝুড়ি তুলে দেন সৈকত গাঙ্গুলি। নানা স্বাদের মিষ্টি ও দই তুলে দেন সঞ্জীব আচার্য। পায়জামা পাঞ্জাবি তুলে দেন রজত গুহ। সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহানকেও ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উত্তরীয়, মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসানকেও। 

ইমরুল হাসান জানান, সায়েম সোবহান আনভীর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা কিংসের প্রধান উপদেষ্টা। ব্যবসার পাশাপাশি উনি যেভাবে ফুটবলে সময় দেন, ভালোবাসেন তার সান্নিধ্যে না থাকলে বুঝতাম না। তিনি বাংলাদেশের ফুটবলে জাগরণ সৃষ্টি করেছেন, আমরা চাই সেই জাগরণ এপার বাংলাতেও ছড়িয়ে পড়ুক। ইস্ট বেঙ্গল আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। আমি নিজেও ইস্ট বেঙ্গলের প্রচণ্ড ভক্ত, সমর্থক। 

সচিব কল্যাণ মজুমদার জানান, আমি গর্বিত বোধ করছি, চাকরিসূত্রে বাংলাদেশেও ছিলাম। বসুন্ধরার সাথে আমার স্মৃতি অমোঘভাবে আছে এবং তা আবার প্রজ্জ্বলিত হলো সস্ত্রীক সায়েম সোবহান সাহেবকে দেখে। আমরা চাই বারে বারে সায়েম সোবহান সাহেবের পদার্পণ এখানে ঘটুক।

সুব্রত দত্ত জানান, আমি গর্বিত বোধ করছি যে ফুটবলে আমরা এমন একজন মানুষকে পেয়েছি, যার বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশেই নয়, সারা উপমহাদেশের কাছে পরিচিত, বাঙালিদের গর্ব। বাংলাদেশ যতবার যাই মনে হয় আমি আমার বাড়িতেই আছি, আমার দেশেই আছি। আমাদের দুই দেশেরই চিন্তা, ভাবনা, রক্ত এক। মনের দিকে কোনো সীমারেখা নেই, ভৌগলিক সীমা রেখা আছে কিন্তু মনে প্রাণে আমরা বাঙালি। আমাদের সবকিছুতেই ফুটবল। আমরা চাই, এই খেলাকে কেন্দ্র করেই দুই দেশের মৈত্রী, সুসম্পর্ক আরও শক্তিশালী হোক। সেখানে এই দুই ক্লাবের মধ্যে গাঁটছড়া হবে না কেন? আমরা জানি করোনাকালে বসুন্ধরা গ্রুপ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে হাতে হাতে মিলিয়ে কাজ করেছে। যারা ফুটবলের সেবা করেন তারা প্রকৃত সমাজসেবক।  সায়েম সোবহান আনভীর ও তার টিম সদস্যরাও সমাজের সেবক, তারা যুব সমাজকে সঠিক পথ দেখায়, বিপথে যেতে দেয় না। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর