স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার মতো চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ কাজগুলো বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। এগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন না হলে সমাজে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা ঘটে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘পুলিশের ছোটখাটো কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা তা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে থাকি। তার চেয়ে আমরা এমন ভাবতে পারি যে, পুলিশ জেগে থাকে বলেই রাতে আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি। পুলিশকে সব সময় সম্মান ও শ্রদ্ধার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত। ছোটখাটো ভুল হলে আমরা তা সংশোধনের জন্য পরামর্শ দিতে পারি।’
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণে নিজ দায়িত্বের বাইরেও সমাজের উন্নয়নে পুলিশ অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, বাঙালির ইতিহাস শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতার দর্শন ছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের কাজের মধ্যে জাতির পিতার দর্শনের চেতনা থাকতে হবে। আপনারা নৈমিত্তিক দায়িত্ব পালন তো করবেনই, এর বাইরে কীভাবে মানুষের কল্যাণ করা যায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তাদের সহযোগিতা করা যায় তা ভাবতে হবে। ফলে দেশ উপকৃত হবে, জাতি উপকৃত হবে, সমাজ উপকৃত হবে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘নৈমিত্তিক কাজের সঙ্গে শুধু একটি দিন ইউনিয়ন কাউন্সিলে বসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গে বসুন। গ্রামের যুবকদের, বেকারদের বা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পরামর্শ দিয়ে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজের ব্যবস্থা করে দিলে তারা আর অন্ধকারে থাকবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
সিনিয়র সচিব কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তাদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের যোগ্য সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মাজহারুল ইসলাম।
অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত