দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকায় ২০ দলীয় জোটকে নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোটের শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোট শরিক জাগপার উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে এ আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী তাহের বলেন, ২০ দলীয় জোট পরীক্ষিত জোট, সময়ের পরীক্ষায় এই জোট উত্তীর্ণ। কেননা, মন্ত্রী-এমপিত্বসহ নানা সুযোগ-সুবিধার অফার থাকা সত্ত্বেও বিএনপিকে বাদ দিয়ে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের কোনো দলই অংশ নেয়নি। অথচ আজকে দীর্ঘদিন ধরে এই জোট নিষ্ক্রিয়, কোনো বৈঠক হয় না। জোটের ব্যানারে কোনো কর্মসূচিও দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটকে যথেষ্ট সম্মান-মর্যাদা দেয় আওয়ামী লীগ। বিপরীত দিকে ২০ দলীয় জোট অবহেলিত। বিএনপি জোটের নিবন্ধিত দলগুলোকে গুরুত্ব দিলেও অনিবন্ধিত দলগুলোকে মূল্যায়ন করে না। অথচ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সবাইকে নিয়েই ২০ দলীয় জোট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও জোট নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন না। জোটের নেতারাও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না।’
তাই ২০ দলীয় জোটকে নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে প্রধান শরিক বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান এনডিপির এই চেয়ারম্যান।
ক্বারী আবু তাহের বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারকে ভোট চোর, অবৈধ সরকার বলছে। আবার একজন মহিলা এমপিসহ তাদের ছয়জন এমপি সংসদে রয়েছেন। অর্থাৎ বাইরে বিরোধিতা করলেও সংসদে যোগদানের মধ্য দিয়ে বিএনপিই এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। এটা দ্বিচারিতা। জনগণ এটাকে ভালোভাবে নেয়নি।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের কিছু নেতা ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আজ আকাশচুম্বী। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। তারা লুটপাটে ব্যস্ত। জনগণ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা সরকারের বিদায় চায়। আমরাও সরকারের বিদায় চাই।’
এনডিপির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে হলে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। আর সেই আন্দোলনে বিএনপিকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।’
জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ