নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এসময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
পরে দূতাবাস কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাই কমিশনারের সঙ্গে এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারাও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও দূতাবাসের কর্মচারীগণ আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
পরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের ‘বঙ্গবন্ধু হল’ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাই কমিশনার।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের উপ হাই কমিশনার মো. নুরল ইসলাম ও মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. এ. কে. এম আতিকুল হক। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ও আপোষহীন সংগ্রামের ফল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে রয়েছে বঙ্গবন্ধু।
হাই কমিশনার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনের ইতিহাস, ৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন এবং আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ৬ দফার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
হাই কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ পূরণ হতে যাচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্যগণ ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল