শিরোনাম
- তাসকিনের বিরুদ্ধে জিডি প্রত্যাহার করলেন বন্ধু সৌরভ
- জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ
- ইসরায়েল মার্কা নির্বাচন চায় কারা
- যেসব এলাকায় শুক্রবার ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
- পুঁজিবাজার: সূচকের বড় উত্থানে চলছে লেনদেন
- তথ্য যাচাইয়ে সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হতে হবে
- লাগামহীন খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি
- মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে মায়ামির জয়, ডি পলের অভিষেক
- ফিলিস্তিনকে এবার স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার
- জামিন পেলেন সেই ফারাবী
- মিয়ানমারের ‘দুর্লভ খনিজে’ চোখ যুক্তরাষ্ট্রের
- ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত
- অ্যাঙ্গোলায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সহিংস বিক্ষোভে নিহত ২২
- ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
- ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা
- ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন
- শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
- এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল
- দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৩১৬
শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপিত ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি; স্থানীয় সংসদ সদস্য, ঊর্ধতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শেখ রাসেল সেনানিবাসের সকল পদবির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে আরো যুগোপযোগী, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য যাতে উপযুক্ত হয়ে গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির প্রতি জাতির পিতার আস্থা ছিল যে এই জাতিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবেনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে বাঙালি জাতি জাতির পিতার সেই আস্থা প্রমাণ করতে পেরেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাস স্থাপন করা হয়েছে। শেখ রাসেল সেনানিবাস পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেনানিবাসের আশেপাশের এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর নামে এই সেনানিবাসের নামকরণের মাধ্যমে তার নাম সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সেনাপ্রধানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
জাতির পিতার স্বপ্নকে সামনে রেখে ‘‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’’ এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে স্থল ও নৌপথে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনাসহ আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়াও, ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশী/বিদেশী ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদান, নদী পথের নিরাপত্তা বিধান, সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত সকলকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
এই বিভাগের আরও খবর