চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্যদিয়ে ‘জনগণের অভ্যুত্থান’ এর প্রকাশ ঘটবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাথে সংলাপের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো।
সংলাপে দু’টি দলের সাথেই বিভিন্ন দাবির বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের নেতারাও একমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রত্যাশা- জনগণের একটা অভ্যুত্থান হবে এই সমাবেশগুলোর মধ্যদিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করার। এসব সমাবেশে সর্বস্তরের জনগণ অবশ্যই যোগ দেবেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবো। আজ চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি দেশের ৯টি বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার প্রথমটি আজ বুধবার চট্টগ্রামে হবে। দেশব্যাপী চার স্তরের সমাবেশ কর্মসূচি পালনের পর বিভাগীয় এই গণসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দেশের ৯টি বিভাগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের পর ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের(ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল করিম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, সামছুল হক, কামরুজ্জামান রোকন, আনওয়ান আনসারী, নাসির উদ্দিন, ইলিয়াস রেজা, আব্দুল কাদির ও মজিবুর রহমান। ডিএলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আকবর হোসেন, খোকন চন্দ্র দাস, কাউসার আলী, ইয়াহিয়া মুন্না, মোহাম্মদ আল আমিন ও মেহতাজ আহসান। দুই দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত