নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ঘোষণা দেন। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে ৫০টির মতো কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তবে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন অন্যান্য সব প্রার্থী। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা ভোটকেন্দ্রে একত্রিত হয়ে বাকি চার প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও ট্রাক প্রতীকের সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
এ সময় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহমুদ হাসান রিপনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেওয়া, ইভিএমএ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলের দাবি জানান তারা।
একই সঙ্গে আবার তফসিল ঘোষণা করে ভোটগ্রহণের দাবিও জানান প্রার্থীরা।
দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর ভোটারকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়ার অভিযোগে ৪৫ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল