শিরোনাম
৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৩৭

আরামবাগ মাঠে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরামবাগ মাঠে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি পেলেও সেখানে গণসমাবেশ করতে আগ্রহী নয় বিএনপি। তারা আরামবাগ মাঠে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ করতে আগ্রহী। পুলিশের কাছে আরামবাগ মাঠকে বিকল্প ভেন্যু প্রস্তাব করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ভেন্যু হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতি দেওয়ার পরও তারা আমাদের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। এই প্রেক্ষিতে ডিসি মতিঝিল এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা ঢাকার কয়েকটি স্পট ভিজিট করেছিল। বিএনপি আরামবাগ মাঠকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ডিসি মতিঝিলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি কমিশনারের কাছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। তবে ডিএপির পক্ষ থেকে এখনো বিকল্প ভেন্যুর কথা চিন্তা করা হয়নি’। 

ডিএমপি উপ-কমিশনার আরও জানান, ‘যেহেতু আমরা তাদেরকে (বিএনপি) সোহরাওয়ার্দীতে গণসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছি তাই এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে আছি। এ গণসমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ধরনের প্রোগ্রাম করার দরকার, সমস্ত প্লান ও প্রোগ্রাম আমরা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা রাস্তার ওপর কোনো জনসমাবেশ করার অনুমতি দিবো না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা যে অনুমতি দিয়েছি সেটাই এখনো বহাল আছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যদি আরও উন্মুক্ত জায়গা খোঁজে, সেটা হতে পারে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠ অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার যে মাঠ আছে সেখানেও তারা যেতে পারে। সেখানে গেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি হয়তো থাকবে না’। 

ডিএমপি উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পারিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে সমস্যাটা কোথায়। তবে তারা সিকিউরিটির কথা আমাদের বলেছে। সিকিউরিটির একটা থ্রেট তারা ফিল করে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলেছি এই সমাবেশ নির্বিঘ্ন করার জন্য, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যত ধরনের পুলিশী সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তার আমরা আশ্বাস দিয়েছি’। 

ডিএমপি উপ-কমিশনার বলেছেন, ‘১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের যে বিশেষ অভিযান চলমান আছে সে বিশেষ অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে, ওয়ারেন্ট আছে, যারা অবৈধ অস্ত্র বহন করে, যারা অবৈধ মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের অবশ্যই আমরা গ্রেফতার করবো’। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর