বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আন্দোলনের সুনামিতে বর্তমান সরকার ভেসে যাবে। সরকার হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সেই অবস্থাই সৃষ্টি করবো।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেম প্রমুখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তারা বলে, ধাক্কা দিলে নাকি সরকার পড়বে না। আমার প্রশ্ন, ধাক্কা কত বড় লাগবে? মাঝেমধ্যে যখন তুফান আসে, তার সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সে অবস্থারই সৃষ্টি করব, যাতে করে এই লুটেরা বাহিনী কোনোক্রমেই এ দেশে আর ক্ষমতায় থাকতে না পারে।
আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আগে লেগেছে ২১ বছর। এবার ফেলতে পারলে ৪১ বছরেও আর আসতে পারবে না।
তিনি বলেন, মাঝে-মধ্যে দেখবেন ২০৪১, ২০৪১ সালের কথা কয়। আরে ২০৪১ সাল তো আপনারা স্বপ্ন দেখতেছেন। আওয়ামী লীগের স্বপ্ন মানে দেশের জনগণের দুঃস্বপ্ন। অতএব দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলব, যে আন্দোলনের ধাক্কায় এ সরকার ভেসে যাবে, উড়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আমরা সবেমাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় সামনের দিকে আসতেছে। কোনোভাবেই এই সরকার আর থাকতে পারবে না। আর যদি এই লুটেরা বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের দেশ আর আমাদের থাকবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানী দায়িত্ব হচ্ছে- এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যা যা করার তার সবকিছুই করা।
সমাবেশ শেষে ১২ দলীয় জোটের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকি-সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবারও বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে এসে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল