জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে অবৈধ মাদকের আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০২২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি. কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা মিলে সারাদেশ থেকে ১ লক্ষ ৩২১টি মামলা দায়ের এবং ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন মাদক চোরাকারবারীকে আইনের আওতায় এনেছে। এ সময়ে ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা, ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৬৭ কেজি গাঁজা, ৭ লক্ষ ৬ হাজার ৬১ বোতল ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সরকারি দলের এমপি মোরশেদ আলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, ২০২২ সালে জাহাজ, বেইস, বোট, স্টেশান ও আউটপোস্ট কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বমোট ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৬ পিস ইয়ারা, ১১ হাজার ৪৬৭ বোতাল বিভিন্ন প্রকার মদ, ৯৮৩ লিটার দেশীয় মদ, ১২৭.৭ কেজি গাঁজা, ক্রিস্টাল ম্যাথ আইস ৩.৭ কেজি এবং ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৫৭ শলাকা সিগারেট আটক করে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়করত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত এবং প্রয়োজনে বড় ধরনের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
তিনি আরো জানান, কক্সবাজার এলাকায় মাদক (ইয়াবা) চোরাচালান রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে টেকনাকে একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে ২৯ জনবলের বিশেষ জোন স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নৌ পথে ইয়াবা পাচার বন্ধে টেকনাফে ২টি স্পিডবোটের মাধ্যমে টহল জোরদার করা হয়ছে। রাজশাহী, টেকনাফ ও সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য ১২টি হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট, ৪টি এয়ার বোট ক্রয় করা হয়েছে। টেকনাফসহ পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার বর্ডার রোড তৈরী করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারা মোতাবেক মাদক চোরাকারবারীদের জন্য কঠোরতম সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় অর্থ যোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদদাতাগণ সংশ্লিষ্ট ধারায় নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত