জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতীয় জীবনে এবং পরিবার ও সমাজ গঠনে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
তিনি বলেন, ‘সংসার পরিচালনা থেকে শুরু করে শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী ও উদ্যোক্তা হিসেবে সকল ক্ষেত্রেই নারীরা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। নারীদের এই চলমান অগ্রযাত্রা প্রসারিত করতে ওয়াও ফেস্টিভ্যাল সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ কাউন্সিল, সিসিডি বাংলাদেশ ও মঙ্গলদ্বীপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অদম্য নারীদের উৎসব ‘উইমেন অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ (ওয়াও ফেস্টিভ্যাল)’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় স্পিকার উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পাসপোর্টে মায়ের নাম লিপিবদ্ধকরণ, স্থানীয় সরকারে নারীদের প্রতিনিধিত্বকরণ, বিধবা ভাতা, ল্যাকটেটিং মায়েদের ভাতা, নারী শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি, ছয় মাস সবেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রেই নারীরা আজ সফল। পোশাকশিল্প খাতে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণে আজ এ খাতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবেও নারীরা আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
স্পিকার বলেন, ‘পরিবারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নারীদের বর্তমান অবস্থানে আসতে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ বন্ধুর পথ। দুঃখের বিষয় নারীরা এখনো সামাজিকভাবে বৈষম্য-নির্যাতনের শিকার।’ নারীদের আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান স্পিকার।
মঙ্গলদ্বীপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সারা যাকেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ওয়াও ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডমিনো প্যাটমেন ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর (কালচারাল এঙ্গেজমেন্ট, সাউথ এশিয়া) কেট জয়েস বক্তব্য দেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ