২৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:০৮

দেশে সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসার ফি নির্ধারণ

অনলাইন ডেস্ক

দেশে সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসার ফি নির্ধারণ

প্রতীকী ছবি

সরকারি হাসপাতালে আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করবেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় পাইলটিংভাবে এ চিকিৎসাসেবা শুরু হবে।

বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈকালিক এ চিকিৎসাসেবায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সিনিয়র কনসালটেন্টরাও রোগী দেখবেন। এজন্য ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ডিউটিতে একজন অধ্যাপকের ফি হবে ৫০০ টাকা। এতে তিনি পাবেন ৪০০, চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীকে ৫০ টাকা ও সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়েছে। েসহযোগী অধ্যাপকের ফি ৪০০ টাকা, তিনি পাবেন ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ এবং এমবিবিএস/বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকদের ফি হবে ২০০ টাকা এবং তিনি পাবেন ১৫০। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’  

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় এ প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটি দূর করে পর্যায়ক্রমে আমরা ৫০০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করতে যাবো। এছাড়া ৬৪টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করবো আমরা।’

তিনি বলেন, ‘বিকল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে চেম্বা প্র্যাকটিস করতে পারবেন। এখানে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানরা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুই দিন করে চেম্বার ডিউটি করতে পারবেন।’

‘বৈকালিক চিকিৎসাসেবায় ছোট অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্য যে সেবাগুলো থাকে, সেগুলোও থাকবে। আর এসব সেবারও মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসক ও সহযোগিতাকারীরা, আরেকটি অংশ পাবে হাসপাতাল।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা ও উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করেন। তারপর সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকেন না। যে কারণে বিকেলের দিকে চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন হলে তখন তাদের পাওয়া যায় না। মানুষের এ কষ্ট লাঘব করতেই চিকিৎসকদের দ্বিতীয় শিফট সেবা চালু করতে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি, এখন থেকে বৈকালিক চিকিৎসাসেবাটাও মানুষ পাবে। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। সরকারি চিকিৎসকদের চেম্বার প্র্যাকটিসের কারণে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর