৪ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:০৭

উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বিলম্ব

অনলাইন ডেস্ক

উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বিলম্ব

রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা আগুন নেভাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল উৎসুক জনতা। তাদের ভিড়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। 

আগুন লাগার পর থেকেই অতি উৎসাহী জনতা সেখানে ভিড় করেন। আগুনের সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে। এতে দমকল বাহিনীর কর্মীদের গাড়ি নিয়ে আসা এবং অন্যান্য তৎপরতা চালাতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা গেছে। 

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনটি প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রধান বাধা ছিল উৎসুক জনতা। পানির স্বল্পতা ও বাতাসের কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, উৎসুক জনতার কারণে কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। তিনি তার নিজের করা একটি ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখিয়ে বলেন, ‘কোন জায়গা দিয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিস কাজ করব। কোথায়, কীভাবে ফায়ার সার্ভিসের লোক কাজ করবে? আমরা তো আপনাদের জন্যই জীবন দিচ্ছি।’

আগুন নেভাতে পানির স্বল্পতার কথা বলেন মহাপরিচালক মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী পানির বাউজার এনে এবং ওয়াসাও পানির বিষয়ে সহায়তা করেছে। আর ঘটনাস্থলে বাতাস ছিল অনেক। বাতাসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আগুন চলে গেছে। ফলে নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে।

ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতে বঙ্গবাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছিল যানজট। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবাজার-গুলিস্তান, হানিফ ফ্লাইওভারের চাঁনখারপুল অভিমুখী লেন ও বঙ্গবাজার থেকে শিক্ষা ভবন অভিমুখী সড়ক। 

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ১২ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে রাজধানীর ফায়ার সার্ভিসের সব কয়টি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।

 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর