নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সব দিক থেকে এই সরকার ব্যর্থ। গায়ের জোরে ভোটের নাম করে ভোট ডাকাতি করে নিজেদের ব্যাগে ভরে এরা ক্ষমতায় টিকে থাকে। কেবল বিরোধী দলকে দমন করতে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে যে কাজগুলো করার দরকার-সেই কাজগুলোই তারা করছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে সরকারের বোধোদয় হলো ওদেরকে (জামায়াত) গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সভা করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এখন ষড়যন্ত্র করতে তাদের সভা করার অনুমতি দেয়। তাও আবার সরকারি দলের সভা ক্যান্সেল (বাতিল) করে ওই জায়গায় জামায়াতে ইসলামীকে সভা করবার অনুমতি দেওয়া হলো।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোডমার্চে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মান্না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল করে পল্টন মোড়ে গিয়ে তা শেষ করে।
এ সময় মান্না বলেন, সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার পর মন্ত্রীরা বলছেন-বিএনপি নাকি জামায়াতকে মাঠে নামিয়ে উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তার দায় বিরোধী দলগুলোর ওপর চাপাবে। তারপর তারা নির্বাচন পিছিয়ে দেবে অথবা গিলে খাবে। কিন্তু নতুন নতুন এই সব খেলা চালু করে আর লাভ নেই। আমরা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ গণতন্ত্রের জন্যই লড়াই করছি। সেই গণতন্ত্র গরিব মানুষের গণতন্ত্র হবে। যে গণতন্ত্র গরিবের পেটে ভাত দেবে, তার অধিকার নিশ্চিত করবে, তার আইনি সম্মান দিবে, নাগরিক হিসেবে তার সম্মান রাখবে। এর পক্ষেই আমরা ঢাকা থেকে দিনাজপুর রোড মার্চ করেছি। খেয়াল করে দেখেন প্রায় জায়গায় তারা বাধা দিয়েছে। শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে এই সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত