জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, ইতিহাস সাক্ষী আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ভয় পায়। আজকে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। আর গণতন্ত্রকে বারবার উদ্ধার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলে টুকু।
টুকু বলেন, দেশটা আমাদের সবার। আমরা সবাই যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি। অথচ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দেশ হায়েনার কবলে পড়েছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার নেই। প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছে। তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। চাকরির ক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। লেজুড়বৃত্তির প্রশাসন গড়ে তোলা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভয়ংকর দুঃসময়ের মধ্যে বসবাস করছে। জনগণের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। অথচ সংবিধান আমাদের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড নেই।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, এটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত দেশ নয়। এ রকম একটা দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আর সেই মুক্তির লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই তো রাজপথেই। আমাদের লড়াই রাজনৈতিক লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই।
সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, আমরা সেই বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই, যে বাংলাদেশ আমরা লড়াই করে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেই বাংলাদেশের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে নিজেদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এই কাজটা আমাদের করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।
দেশ রক্ষার জন্য, দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থ চিন্তা করে গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান যুবদল সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, হারুনুর রশীদ শিশির, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সভাপতি এড. তসলিম উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, সাইদ ইকবাল টিটু, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান নান্নু, মিজানুর রহমান সুমন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত