বিপৎসীমার ওপর দিয়ে চারটি নদী তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা ও সোমেশ্বরীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরীতে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও সোমেশ্বরীর পানি কমলাকান্দায় বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া যমুনা নদী ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
এদিকে, গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী সোমবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। এতে আগামীকাল রবিবার (১৬ জুলাই) নাগাদ তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহে পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। এ সময় নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক