জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হুমায়ুন কবির ছিলেন জাতির পিতার আদর্শের একজন সৈনিক। সে দীর্ঘদিন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জীবনে অনেক বাঁধা উপেক্ষা করে এই দলের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গচাপাড়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হুমায়ুন কবিরের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সদস্যদের শান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন।
সেখান থেকে ফিরে শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি বলেন, ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভোটে আগামীতেও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এমপি নির্বাচিত হয়ে এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এজন্য আপনাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন যোগ্য নেতা আমরা পেয়ে ছিলাম বলেই এদেশ স্বাধীন হয়ে ছিল। আর তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য নেতৃত্ব আমরা পেয়েছি বলেই আজ সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
এরপর শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পূবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকারের প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত কৃষি অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পূবের বিলে অনাবাদি জমি এখানকার কৃষকগণ আবাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। এই বিলে যে সকল কৃষকরা কাজ করছেন তাদের বিশ্রামের জন্য এখানে একটি শেড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই শেডের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে বসে কৃষকরা খাবার খেতে পারবে। ঝড় বৃষ্টি এলে এখানে এসে আশ্রয় নিবেন। এ সকল কৃষকদের জন্য এখানে একটি বাথরুম নির্মাণ করা হচ্ছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে তার দু’পাশ দিয়ে বজ্র প্রতিরোধে তালের বীজ রোপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বিলে একটি আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের একটি মডেল। এরপর আমরা সারাদেশে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা করবো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত