বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থার (আসিয়ান) সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ সমর্থন চান ড. ইউনূস।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।
কুয়ালালামপুর আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাশিম বলেন, আসিয়ান সদস্যপদের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূসের বার্তা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন।
মালয়েশিয়া অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি। আপনার জন্য শুভকামনা।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার চমৎকার অত্যন্ত সম্পর্ক এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদসহ মালয়েশিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের উদ্দেশে বলেন,‘ চলুন, আমরা সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের সর্বোচ্চ চেস্টা করি।’ মালয়েশিয়ার অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সেন্টারগুলো থেকে সামাজিক ব্যবসায়িক ধারণা এবং থ্রি জিরো ধারণা প্রচার করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাশিম বাংলাদেশে তার চার বছরের মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছেন। তিনি মোবাইল ফোন কোম্পানি রবি আজিয়াটাসহ অন্যান্য মালয়েশিয়ান কোম্পানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স জটিলতার বিষয় তুলে ধরে বলেন, রবির আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ কর হিসাবে জমা দিতে হয়।
তিনি বলেন, সভরেন তহবিলে গঠিত কোম্পানিসহ মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে ৫ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং শিক্ষাখাতসহ অন্যান্যখাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি কোম্পানি গাড়ি বাজারজাতকরণ এবং সংযোজনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এছাড়া কুয়ালালামপুর চিকিৎসা পর্যটনের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত