বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একটি ভ্যানে লাশ স্তুপ করে রাখার লোমহর্ষক একটি ভিডিও সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানে নিথর দেহের স্তূপ চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন মাথায় হেলমেট ও ভেস্ট পরা কিছু পুলিশ সদস্য। সেই স্তূপের ওপর আরও মরদেহ রেখে সেগুলোও রাস্তার পাশে থাকা পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন ওই পুলিশ সদস্যরা। গুলি করে হত্যার পর মরদেহগুলো শেষপর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয় তারা।
আশুলিয়া থানা এলাকায় ভয়াবহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আবুল হাসান ও সহকারী উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ।
এর আগে, ঘটনাস্থলে থাকা ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে, ভয়াবহ ওই গণহত্যার ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাজিদুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ