ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কৃষক সাইফুল ইসলামের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সম্প্রতি উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়েনের চক-ঢাকিরকান্দা গ্রামের বাড়িতে নিহতের পরিবারের কাছে উপহারগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় সাইফুলের স্ত্রী রহিমা আক্তার, ছোট দুই শিশুসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরিবারটির এক মাস খাওয়ার মতো চাল, তেল, চিনি, ডাল, শিশুদের জন্য দুধ ও নুডলস নিয়ে নিহত সাইফুলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ সদস্যরা।
গত ২০ জুলাই দুপুরে ফুলপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হলে হঠাৎ একটি গুলি সাইফুলের ডান চোখের ওপরে লেগে মাথা ছিদ্র হয়ে বেরিয়ে যায়। ফুলপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাইফুলের পরিবার জানায়, একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন সাইফুল। একটি জরাজীর্ণ ঘর রয়েছে।
দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত পরিবার। স্বামীহারা রহিমা বলেন, ‘আমগ্যোর ঘর নেই, দুই শিশুসন্তান নিয়ে কিভাবে চলাফেরা করমু আল্লাই জানেন। দুই শিশুর জন্য ধান বিক্রি করে আম নিয়ে বাড়িতে আসার আগেই আমার স্বামীর প্রাণ গেল গুলিতে। এখন কিভাবে সামনের দিনগুলো চলবো বুজতাছি না।’
এ সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে এই পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন উপস্থিত সবাই। বসুন্ধরা শুভসংঘ বন্ধুরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আমিন, আব্দুল মান্নান, শাহ নাফিউল্লাহ সৈকত প্রমুখ।