গবেষণায় কিছু প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পাচ্ছে, আর কিছু প্রতিষ্ঠান একদমই পাচ্ছে না। এমন না যে, তাদের যোগ্যতার অভাব আছে। এক্ষেত্রে গবেষণা খাতে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক এবং বিআইএসআর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতে অবস্থিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমিতে (এনএপিডি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্ট আয়োজিত নবম সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন গবেষকরা ঐকমত্য পোষণ করে এই বক্তব্য রাখেন।
ড. খুরশিদ আলম বলেন, এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দাবি করেন, গবেষণায় বরাদ্দ কম বা তারা পাচ্ছেন না। এই দাবিটিও যেমন সত্য, তেমন এটাও সত্য যে, অনেক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অলস পড়ে আছে৷ গবেষকরা গবেষণায় কম আগ্রহী। তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্যও গবেষণায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরিকরণ কাজে আসবে বলে মনে করেন ড. খুরশিদ।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় দর্শনের ক্ষেত্রে ড. খুরশিদ আলম বলেন, ওয়ান বাংলাদেশ থেকে নম্বর ওয়ান বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চব্রীহি ধানের উদ্ভাবক ড. আবেদ চৌধুরী। তিনি সামাজিক গবেষণার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশে বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে বলেন, বিজ্ঞানটা আমাদের চেতনায় তিরোহিত, আমাদের চেতনায় একদম বিজ্ঞান নাই। আমাদের ড. কুদরত-ই-খুদা, প্রফেসর সালাম ফিজিক্সের কিছুটা পৃষ্ঠাপোষকতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, গবেষণা খাতে বৈষম্য এখন সচরাচর চোখে পড়ছে। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান একের পর এক গবেষণায় বরাদ্দ পায়। কেউ কাজ করে, আবার কেউ কাজ করে না। তারপরও বৈষম্যমূলক এমন প্রকল্প বরাদ্দ বন্ধ হয়নি। তাই প্রতিটি প্রকল্পের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঠিক করার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন, অভিজ্ঞ জনবলের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার দিতে হবে।
বাংলাদেশের সামাজিক গবেষণার ওপর বিআইএসআর ট্রাস্ট প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাসে এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এবারের নবম পর্বে জেন্ডার, অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং জনস্বাস্থ্য— এই চারটি থিমের ওপর ওপর নতুন ২৮টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করছেন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক