ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে আজ সোমবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অ্যান্ড প্রেস উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বাঞ্ছারামপুর ইসলামিয়া সোবহানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস.এম. পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম.এ আউয়াল, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, মো. মামুন, মো. শাহজাহান, মো. বাছির প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, আজকে তোমরা ছাত্র-ছাত্রী, আগামী দিনের ভবিষ্যত। তোমরা লেখা-পড়া করে ভালো মানুষ হবে এই প্রত্যাশা সবার। লেখা-পড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করতে হবে। তাহলে তুমি হবে একটা আদর্শ মানুষ।
বসুন্ধরা গ্রুপ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপন, শিক্ষা উপকরণ, দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড ডে টিফিনের ব্যবস্থাসহ সব কার্যক্রম ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে। যাতে জাতি হয় শতভাগ শিক্ষিত। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যসেবা, অসহায় ও হতদরিদ্র লোকদের মাঝে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ, বন্যা, খরা, মাহামারিসহ সব ক্ষেত্রে বসুন্ধরা জনগণের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য। তোমরা আজকে যে উপহারটি পেয়েছছো তা পাঠ করলেও লাভ এবং সেই অনুসারে জীবন পরিচালনা করলে জীবন হবে স্বার্থক।
মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, তোমরা আজকে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক যে উপহারটুকু পেয়েছো তা তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। লেখা-পড়ার পাশাপাশি যদি এই কোরআন শরীফটি পাঠ করো, তাহলে লেখা-পড়ার সাথে তোমাদের জীবনেও অনেক রহমত এবং বরকত হবে। সামনে রমজান মাস আসছে। একটি করে কোরআন খতম দেওয়ার চেষ্টা করবে। তোমাদের বাবা-মা, আত্মীয় স্বজন ও বসুন্ধরা গ্রুপের সবার জন্য দোয়া করবে।
বাঞ্ছারামপুর ইসলামিয়া সোবহানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক হাসান বলেন, ভালো হয়েছে একটি কোরআন শরীফ পেয়েছি। বাংলাসহ বুঝে বুুঝে পড়তে পারবো। কোরআন শরীফ পাঠ করে আল্লাহর কাছে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং তার মালিকদের জন্য দোয়া করবো।
বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান দিবা বলেন, আমার অনেক আনন্দ লাগছে। অতীতে অনকে পুরস্কার পেয়েছি, এতো আনন্দ লাগেনি। এটা আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। যারা দিয়েছে তাদের সবার জন্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য দোয়া করবো।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস.এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী মেধাবী ছাত্র মো. তাহীন সরকার বলেন, কোরআন শরীফ পেয়ে অনেক আনন্দ লাগছে। এতদিন না বুঝে পড়তাম। বাংলা অর্থসহ আছে বলে এখন সূরা এবং আয়াতের অর্থ বুঝতে পারবো। ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।
আলোচনা শেষে ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সর্বমোট ৫ হাজার ৩২০টি কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
এই বিতরণের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা হলো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী। পাশাপাশি প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের জন্য পাঁচটি করে কোরআন শরীফ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিলো ২৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১টি মাদ্রাসা ও একটি স্কুল ও কলেজ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন