পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এজন্য কৃষি, পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “কৃষি উৎপাদন টেকসই রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”
তিনি বুধবার বিএআরএফের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “খরা, অতিবৃষ্টি, লবণাক্ততা ও বন্যার কারণে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে গবেষণা ও প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, “নিরাপদ ও অরগানিক খাদ্য উৎপাদনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। এজন্য নিরাপদ খাদ্যের মেলা আয়োজন জরুরি। কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। প্রধান আলোচক ছিলেন- এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ড. আলী আফজাল।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম।
গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন বক্তা কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা টেকসই কৃষি উৎপাদন, জলবায়ু সহনশীল ফসল এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, নীতিনির্ধারক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ