আইসিসি সহযোগী দেশের কাছে এবারই প্রথম সিরিজ হারল, এমন নয়। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি হেরেছিল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সিরিজ হারল সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে। অথচ মরুরাজ্যটির বিপক্ষে পরিষ্কার ফেবারিট ছিলেন লিটন দাসরা। কারণ, এর আগে কখনোই আমিরাতের বিপক্ষে হারেনি। সেটা টি-২০, কিংবা ওয়ানডেতেও নয়। ফেবারিট হলেও এবার শারজাহতে টানা দুই ম্যাচ হেরে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছে। এমন অসহায় সিরিজ হারে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা। হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সাবেক অধিনায়ক এমন হারের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি, ‘আমিরাতের কাছে কেন হারল, আমি জানি না। কিন্তু এমন হারের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’ ‘মরুশহর’ শারজাহতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি লিটন বাহিনী জিতেছিল ২৭ রানে। দ্বিতীয়টি হেরে যায় ২০৫ রান করে। সিরিজে হঠাৎ যোগ হওয়া তৃতীয় ম্যাচটি লিটন বাহিনী হেরেছে যাচ্ছেতাইভাবে। ব্যাটারদের বাজে ব্যাটিংয়ে ৫ বল হাতে রেখে হেরে যায় ৭ উইকেটে। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় জয়। একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে দেশটির প্রথম সিরিজ জয়। এমন ঐতিহাসিক জয়ে ঈদের আনন্দে ভেসে গেছে দেশের ক্রিকেট। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অজুহাত খুঁজেছেন হারের। অধিনায়ক লিটন দাস হারের জন্য দোষ দিয়েছেন রাতের শিশিরকে, ‘আমিরাত খুবই ভালো খেলেছে, ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তারা তেমন আতঙ্কিত হয়নি, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’ আইসিসি সহযোগী দেশগুলো তুলনামূলকভাবে টি-২০ ম্যাচ বেশি খেলে। কারণ, আইসিসির নিয়মিত অনুযায়ী যে কোনো দেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো আর্ন্তজাতিক টি-২০ ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এজন্যই আইসিসি সহযোগী দেশগুলো বেশি পরিমাণ টি-২০ ম্যাচ খেলে।
বাংলাদেশও এই ফরম্যাটের ম্যাচগুলো খেলে। আমিরাত বেশি টি-২০ ম্যাচ খেলে ছন্দে রয়েছে। তারপরও হাবিবুল বাশার কোনোভাবেই আমিরাতের কাছে সিরিজ হার মেনে নিতে পারেননি, ‘আমিরাতের কাছে একটি ম্যাচ হারতেই পারেন। তাই বলে সিরিজ হার, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। শুধু এটুকু বলব, কেন হারল, তার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।’
আমিরাতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজ খেলেছে দুটি। ম্যাচ জিতেছে ৪টি এবং হেরেছে ২টি। আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ শেষ। লিটন বাহিনীর পরবর্তী মিশন পাকিস্তান সফর। দেশটির লাহোরে ২৮ ও ৩০ মে এবং ১ জুন তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।