অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, মেহের আফরোজ শাওন, চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশ্না হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানাধীন এলাকায় এক হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলায় এই অভিনয়শিল্পীদের আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ভাটারা থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মামলার কার্যক্রম চলমান। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি আমরা। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
জানা যায়, গত মাসে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানায় এই আবেদন এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।
মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে।
মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, রোকেয়া প্রাচী, আশ্না হাবিব ভাবনা, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, আজিজুল হাকিমসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে।
এসব আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ জোগান দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আন্দোলনে অন্য আসামিদের ছোড়া গুলি বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে বিদ্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
ডিএমপির একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই মামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক