জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত আরও সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়, যেখানে তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির একজন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (NINS) থেকে তিনজন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে দুজন।
আহতদের মধ্যে বিএমইউ’র আব্দুল জব্বারের মূত্রথলির পাশে এখনও একটি গুলি রয়ে গেছে। সিএমএইচের আশরাফুল পুরোপুরি প্যারালাইজড হয়ে পড়েছেন, যিনি গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনের সময় আহত হন। নিউরোসায়েন্সেসের এক তরুণ যোদ্ধার বাম পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। বাকি সবাই নার্ভ ইনজুরির কারণে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং কষ্টসাধ্য জীবন যাপন করছেন।
এই নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে আহত মোট ৪৭ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলো। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন। সম্প্রতি, গত ৭ মে আহত খোকন চন্দ্র বর্মন রাশিয়ায় মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির প্রথম ধাপ শেষে দেশে ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, সামনে আরও ২০ জনের অধিক আহতকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আহতদের সবাইকে এম্বুলেন্সে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা, ছাত্র প্রতিনিধি নাদিয়া, নুসরাত ও ইমরান।
আহতরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উন্নত চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পাশাপাশি, তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা