৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে হাজারও পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন অবস্থায় থাকা প্রার্থীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে পিএসসি’র প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন তারা।
প্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদিকে বেকারত্বও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক প্রার্থী বলেন, সরকারি হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এসব পদ পূরণ না করায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর্মক্ষমতার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। অথচ নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। সেগুলো হলো
১. দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
২. প্রাথমিক ও যুব উন্নয়নসহ যেসব মন্ত্রণালয়ে নন-ক্যাডার পদ রয়েছে, সেখানে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে।
৩. বিসিএসের নামে অনুমোদিত সব পদ ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীরা মনে করেন, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারের বিভিন্ন খাত সচল হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে। তারা বলেন, বেকারত্ব নিরসনে ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই এখন সময়ের দাবি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক