দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, সব ধরনের প্রলোভন ও প্ররোচনার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এমন কাজ করা যাবে না।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের দুই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে দরিদ্রদের জীবন মানে উন্নয়নের জন্য। গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প প্রণয়নে ওভারলেপিং পরিহার করতে হবে। এসব প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে অতি দরিদ্ররা এই কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সামগ্রী কেনাকাটায় আগে অনেক অনিয়মের অভিযোগ শোনা যেত। সেজন্য এখন কম্বল, টিন ও শুকনো খাবার জেলা পর্যায়ে কেনা হচ্ছে। এতে দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তথা পিআইওদের আগের সকল বদনাম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনারা শুনে অবাক হবেন যে প্রকল্প কর্মকর্তারা অসুস্থতার কারণে বদলির কথা বলেন কঠিন কাজের জায়গায়। এটি অনেকাংশে হাস্যকর। কারণ অসুস্থতার কারণে তার একটু আরামদায়ক জায়গায় যাওয়া উচিত।
উপদেষ্টা জানান, উপজেলা পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী রাখার জন্য গোডাউন স্থাপনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুস্তাফিজুর রহমানসহ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ