শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাগরে সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আসা মানে এসে গেছে বর্ষা। সেই মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশালের অনেক এলাকায় বৃষ্টি ও বজ বৃষ্টি হয়েছে। টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সাগরে অবস্থানরত নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে গতকাল ছিল জ্যৈষ্ঠের ২৭ তারিখ। অর্থাৎ, আষাঢ় আসতে দেরি নেই।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে আজ শনিবার টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত এগোতে পারে। এই হিসেবে চললে সোমবারের মধ্যে চট্টগ্রাম উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আজ শনিবারও একই রকম থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি অথবা বজ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারীবর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর