রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বাঘমারা থেকে অস্ত্রের মুখে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচ-ছয়জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত বাঘমারা ভিতরপাড়ার কার্বারি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মং শৈ থুই মারমাকে (৫০) অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাঘমারা ভিতরপাড়ার বাসিন্দা আথুই মং মারমা ও উচনু মারমা জানান, রাতে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা পুরো পাড়া ঘেরাও করে অস্ত্রের মুখে কার্বারি (সমাজপতি) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মং শৈ থুই মারমাকে অস্ত্রের মুখে নিজ ঘর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাঘমারা সেনাবাহিনী ও পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভোররাতে পুলিশ রোয়াংছড়ি উপজেলার নাচালংপাড়া থেকে ক্যনুপ্রু মারমা ও মুরুক্ষ্যং মুখপাড়া থেকে থোয়াইচিংউ মারমা নামে দুজনকে আটক করেছে। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর আলী অপহরণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহূতকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ নেতা অপহরণের ঘটনায় জেএসএসকে দায়ী করে বলেন, ইউপি নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পরিকল্পিতভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অপহূত মং শৈ থুই মারমা রাজবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য জেএসএসের ক্যাডাররা তাকে অপহরণ করেছে। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছর ১৩ জুন জেএসএস সন্ত্রাসীরা রোয়াংছড়ি উপজেলার জামছড়িপাড়ার নিজ বাসা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মংপু মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতিসহ সিনিয়র নেতারা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দলীয় সফরে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে এলেই অপহূত নেতার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর