রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশকে উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১০০ বছরে কেমন হবে বাংলাদেশ সে পরিকল্পনাও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে ‘দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
রেলমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনালসহ কক্সবাজারে বহু উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সমান বিশাল সমুদ্র যেটি আমরা পেয়েছি, এ সমুদ্রের যে সম্পদ এটিকে আহরণ করার জন্য সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। এ সুদূর পরিকল্পনার কারণে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটন ছাড়াও অর্থনৈতিক কর্মকাে র জন্য কক্সবাজার হবে বড় ধরনের হাব। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কক্সবাজারের গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে রেলকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। একটি অকেজো ও পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল রেল মন্ত্রণালয়কে। প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন, যে কোনো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে সে দেশ অনেক পিছিয়ে থাকে।
তাই তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় এ খাতকে সচল করেছেন। ২০১১ সালে রেল মন্ত্রণায়লকে আলাদা করেছেন। ইতিমধ্যে দেশের সব জেলায় রেল পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। তারমধ্যে তিনি কক্সবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এখানে রেলপথ নির্মাণের কাজ ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ।