হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশি নির্যাতনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুর রহিম শেরপুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে সহিংস কার্যক্রমে জড়িত থাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে ‘হলি টিভি২৪’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে গ্রেফতার হেফাজত নেতা-কর্মীদের পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের মনগড়া, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক, মানহানিকর ও ধর্মীয় উসকানিমূলক গুজব রটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় হলি টিভির মো. রানা মন্ডলকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে গুজব ছড়ানো আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। ২৬ এপ্রিল রানা মন্ডলকে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রানা তার ইউটিউব চ্যানেলে সংশ্লিষ্ট ভিডিওসহ একই রকম ছয় শতাধিক মনগড়া ভিডিও বানায়। রানা তার স্টুডিও থেকে আবদুর রহিমকে দিয়ে বিভ্রান্তিকর, মনগড়া ও উসকানিমূলক ভিডিওগুলো ধারণ করত। পরে এই ভিডিওর সঙ্গে অন্যান্য ভিডিওর কাটপিস সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করত। আবদুর রহিম বগুড়ার দাওয়াতুল হক আদর্শ মাদরাসায় পড়েন। পেশায় তিনি একজন ইমাম ও ওয়াজকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হেফাজতের জ্বালাও-পোড়াওকে সমর্থন করেন আবদুর রহিম। তিনি সহিংসতায় অভিযুক্ত হেফাজত নেতাদের মুক্তির জন্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রানা মন্ডলের সহযোগিতায় ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ও অসত্য প্রোপাগান্ডামূলক ভিডিও বানান।