তাঁতশিল্প রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রেয়াতি শুল্কে অবিলম্বে পলিয়েস্টার সুতা আমদানির পথ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতি। সমিতির সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মরে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের বাঁচান। আমাদের প্রায় ৫০ ভাগ তাঁত এখন বন্ধ। সেখানে কর্মরত ৬০ লাখ শ্রমিক বেকার। আপনাদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, তাঁতি সমাজের এই বুকফাটা কান্না শুনে অবিলম্বে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশের সমগ্র তাঁতি সমাজের পক্ষ থেকে তিনি এ দাবি জানান। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তাঁতি সমিতির সহসভাপতি মো. শাহজাহান, নির্বাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেন, আলী হোসেন, মন্জু রানী প্রামাণিক, মো. আইয়ুব আলী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পলিয়েস্টার সুতা আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় সারা দেশে দেশীয় তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। মাত্র ৭৫ টাকা পাউন্ডের কটন সুতার দাম তিন থেকে চার গুণ বাড়িয়ে দিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে তথাকথিত এই সিন্ডিকেট। ফলে ২৪ লাখ দেশি তাঁতের মধ্যে ১৫ লাখ তাঁতই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, গত দুই বছরে এই খাত থেকে বিটিএমএর যোগসাজশে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।