প্লট বরাদ্দ নিয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা। ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ গোলাম রসূল ও ব্যারিস্টার নুরুল আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
এর আগে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় তার ব্যাখ্যা জানতে গত মঙ্গলবার রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাকে তলব করেন হাই কোর্ট। ওই দিন আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম বলেছিলেন, ২০০৪ সালে ফরিদা বেগম নামের এক ব্যক্তি রাজউক থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনের ফারুক স্মরণি রোডের প্লট নম্বর ১৯ প্লটটি (২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদকে) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন। এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন।
ওই সময় রাজউক একটি চিঠি দিয়ে ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করেন। বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল। এরপর রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাই কোর্টে রিট করেন খালিদ মাহমুদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাই কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত।
ওই রুলের শুনানিতে ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথির বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। আদালতের ওই আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে আবারও হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব আদেশ দেন।
