শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৯ আগস্ট, ২০১৫

আগাম নির্বাচন হলেও এই বিএনপি কি পারবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
আগাম নির্বাচন হলেও এই বিএনপি কি পারবে?

দেশে মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। বিএনপির এই দাবিটি পুরনোও, দশম সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই তারা এ দাবি করে আসছে। শাসক লীগ পৌনঃপুনিকভাবে বিএনপির দাবি নাকচ করে এলেও এখন তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য প্রদানে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছেন বলে মনে হয়। বাইরের গণতান্ত্রিক দুনিয়ার মনোভাবও আমরা জানি। তারা প্রায় সবাই সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে প্রকাশ্যেই তাদের মনোভাব ব্যক্ত করছে। সম্প্রতি মনে হচ্ছে, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পর্দার আড়ালে কিছু কথাবার্তাও হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটফোরের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, '২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনের পর থেকে সহিংসতায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসবেন। তবে দলটি নতুন একটি নির্বাচন চায়। অনড় অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার সরে আসার ফলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সমঝোতার। সামনের সপ্তাহ, মাসগুলোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পর্দার অন্তরালে নতুন করে সমঝোতা আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে'।

গণতান্ত্রিক রাজনীতি হচ্ছে সমঝোতার ও বোঝাপড়ার রাজনীতি; তবে কোনো অবস্থায়ই 'ভাগাভাগির' রাজনীতি নয়। আবার সমঝোতা ও বোঝাপড়ার মানে একজনের কাছে অপরজনের আত্দসমর্পণও নয়। সবলের কাছে দুর্বলের মাথানত করতে বাধ্য হওয়া তো নয়ই। এই রাজনীতির সারমর্ম হচ্ছে, আমি আমার চিন্তা ও বিশ্বাসের অবস্থান থেকে আমার নীতি-আদর্শের কথা বলব, আমার কর্মপরিকল্পনার কথা বলব, আপনি আপনারটা বলবেন। কেউ কাউকে বাধা দেব না। জনগণ যেটা সত্য বলে রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব দুজন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, গণতন্ত্রের মৌলিক এ বিষয়টি বাংলাদেশে অবহেলিত। দেশে গণতান্ত্রিক সহনশীলতার অনুপস্থিতিই হিংসা আর হানাহানির রাজনীতিকে উসকে দিচ্ছে। অথচ এ ভূখণ্ডে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বী গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিসমূহের মধ্যে হানাহানির পরিবর্তে পারস্পরিক সমঝোতা ও বোঝাপড়ার বহু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে।

'৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনেও সমঝোতা ও বোঝাপড়ার এক দুর্লভ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা লক্ষ্য করেছি। সমঝোতা ও বোঝাপড়াটা ছিল এমন যে, সব বাঙালির ভোট এক বাঙ্ েআসতে হবে, গণরায়ে বাঙালির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হতে হবে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংসদীয় দলের নেতৃত্ব বাঙালির হাতে আনতে হবে। তার ভিত্তিতেই মওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জন করলেন। স্লোগান দিলেন- 'ভোটের আগে ভাত চাই'। আওয়ামী লীগের 'মাথা মোটা' কিছু নেতা মওলানা ভাসানীর সেই নির্বাচন বর্জন নিয়ে এখনো হাস্যকর কিছু কথা বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই বিষয়ে কখনো একটা টুঁ শব্দও করেননি নির্বাচনের পর। মওলানা ভাসানী ওইভাবে নির্বাচন বর্জন না করলে তার দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) কমপক্ষে ১০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। ভোটপাগলদের থামানো যেত না। তখন ধারণা ছিল, ১২ থেকে ১৫ জন জিততে পারলেও কমপক্ষে আরও ৪০টি আসনে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষের বাঙালির ভোট ভাগ হতো এবং মুসলিম লীগ পূর্ব পাকিস্তানে কিছু আসন পেয়ে যেত। তাহলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারত। তাহলে রাজনীতির দৃশ্যপটও পাল্টে যেত। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে পরে; কিন্তু তার আগেই আমরা মতাদর্শগত লড়াইয়ে এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পাকিস্তানিদের চরমভাবে হারিয়ে দিয়েছি। গণতন্ত্রের শর্ত পূরণে পাকিস্তানিদের বাধ্য করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন গণতান্ত্রিক পন্থায়। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত তিনি ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। বাইরে মওলানা ভাসানী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তি তাকে শক্তি জুুগিয়েছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হোক আর আলোচনা ছাড়াই হোক, 'কমন গোল' বা একই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সমঝোতা ও বোঝাপড়া এভাবেই হয়ে যায়, হতে হয়। না হলে যে বিপদ আসে, তা একজনের জন্য আসে না।

বাংলাদেশে এখন যে সংকট চলছে, অবশ্যই তা গণতন্ত্রের সংকট। ক্ষমতার লড়াই গণতন্ত্রের এ সংকটকে অতিশয় তীব্র করে তুলেছে। নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক শাসনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ-প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবেই। রায় দেবে জনগণ। জনগণের রায়ের প্রতি যেমন সম্মান দেখাতে হবে, একইভাবে জনগণ যাতে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে তাদের রায় ঘোষণা করতে পারে, অর্থাৎ তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে তার নিশ্চয়তাও অবশ্যই থাকতে হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রশাসন বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ কাকে দিল। এ বিষয়টি নিয়েই দেশে রাজনৈতিক বিরোধ এখন তুঙ্গে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে বিদায়ী সরকারই নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তবে কিছু রুটিন কাজের মধ্যেই তাদের দায়িত্ব পালন সীমাবদ্ধ থাকে। সে ব্যবস্থাটা আমাদের দেশেও ছিল। '৭৫-পরবর্তীকালের শাসকরা '৯১-পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা অনুসরণ করলেও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তা ছিল সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে। এরপর সাংবিধানিক নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা একের প্রতি অপরে বিশ্বাস হারান। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার এমন ন্যক্কারজনকভাবে কারচুপি করে যে, ক্ষমতাসীনদের ওপর বিরোধী দলের সন্দেহ-অবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। জোর আওয়াজ ওঠে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি খালেদা জিয়ার সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানতে বাধ্য করে। সপ্তম, অষ্টম এবং নবম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ড. ফখরুদ্দীন (মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার নামেই সমধিক পরিচিত) সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে 'অবিশ্বাস্য' ফল করে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকার ২০১১ সালে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দেয়। সর্বদলীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রায় একদলীয় সিদ্ধান্তে বাতিল করে দেওয়া গণতন্ত্রে নজিরবিহীন। আবারও তুমুল বিরোধের সূত্রপাত। বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটা সম্মানজনক সুযোগ বিরোধী দলের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং বিএনপিকে পছন্দনীয় মন্ত্রণালয় বেছে নেওয়ারও অফার দেন। খালেদা জিয়া সে প্রস্তাবে কেন রাজি হননি, তিনিই জানেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সেটি তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এবং অনেকে মনে করেন, সে সিদ্ধান্ত ছিল জামায়াত প্রভাবিত। জামায়াতের বর্তমান লক্ষ্য তো কারও অজানা নয়। ভুল সরকারও করেছে, অনেক বড় ভুল। সংবিধানে (৬৫/২) একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠিত হওয়ার নির্দেশ থাকলেও ৩০০ আসনের সংসদে ১৫৩ আসনে কোনো নির্বাচনই করেনি তারা। বলা হয়েছে, সমঝোতার মাধ্যমে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এ সমঝোতা, বোঝাপড়া গণতন্ত্রের নয়; ভাগাভাগির। ভাগাভাগির এমন বিচিত্র সমঝোতা গণতন্ত্র অনুমোদন করে না।

এটা অবশ্যই সবার স্বীকার করা উচিত যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কোনো বিবেচনায়ই আদর্শ নির্বাচন ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরো-আমেরিকান বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, এমনকি জাতিসংঘ এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে বিবেচনা করেনি, এখনো করে না। মাঝে মাঝে তারা বাংলাদেশে আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে। কিন্তু সরকার তার অবস্থানে অনড়ই আছে। গত জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে উপলক্ষ করে বিএনপি তার গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে বলে স্পষ্ট হয়েছে। দুটি অবস্থানই নীতিগত। এক. ভারতনীতি, দুই. নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি। ভারতনীতির পরিবর্তনের কথা খালেদা জিয়া তার সর্বশেষ ভারত সফরকালেও একবার পরিষ্কার করেছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে ভারতের কংগ্রেস সরকারের অনেকটা প্রকাশ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান বিএনপির মনোভাব বিগড়ে দেয়। ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের লজ্জাজনক ভরাডুবিতে বিএনপি আবার উৎফুল্ল হয় এবং বিজয়ী দল বিজেপির সঙ্গে দৃঢ় একটা সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আবারও খালেদা জিয়া ভারতনীতিতে পরিবর্তনের কথা স্পষ্ট করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে খালেদা জিয়ার দলের সমর্থনও যে জরুরি তা না বোঝার মতো নাদান নন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এক হাতে যে তালি বাজে না তাও তিনি জানেন। বিএনপির প্রার্থনা তো একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন, যা হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনমুখী গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে তেমন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবির বিরোধিতা করার বোকামি কি করতে পারেন? আওয়ামী লীগের ওপর এ ব্যাপারে একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ বোধহয় সৃষ্টি হয়ে আছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়া তার দ্বিতীয় নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করে লীগ সরকারকে আরও একটু চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। এতদিন লড়েছেন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। সম্প্রতি তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, 'আমি বলছি না যে, তত্ত্বাবধায়কই হতে হবে'। বিষয়টি একেবারেই পরিষ্কার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নিরপেক্ষ হতে পারে। নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য আবারও একটি সর্বদলীয় সরকার হতে পারে নির্বাচনকালে। খালেদা জিয়ার এ প্রস্তাব গণতান্ত্রিক সমঝোতা ও বোঝাপড়ার প্রস্তাব। সর্বত্র একটা ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, উভয় পক্ষের মধ্যে একটা অদৃশ্য সমঝোতারই বোধহয় ফল এটা। সরকারের ভয় তো হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবেন না বলে সহসা কোনো নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ভয় পাচ্ছেন! তত্ত্বাবধায়ক না হলে বিপদটা তেমন নাও থাকতে পারে।

সরকারের প্রতিক্রিয়াটা ইদানীং সহনশীলই মনে হচ্ছে। শাসক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি দলে ও সরকারে অধিকতর শক্তিশালী হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি ক্ষমতার লড়াইয়ে তার স্পষ্ট বিজয় তাই প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বোঝাপড়াটা মনে হয় আরও দৃঢ় হয়েছে। এখন তার কথা দলের নীতিগত কথা বলেই ধরে নেওয়া যায়। তিনি প্রথমে বেগম জিয়ার বক্তব্যে কিছুটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানালেও সর্বশেষ তিনি বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো সময় একটা নির্বাচন হতেই পারে।' আমাদের সংবিধানেও বিষয়টি পরিষ্কার। ধারণা করা যায়, সরকার ও সরকারি দল যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তো একটা গোছানো দলও বটে। কিন্তু বিএনপির আশা যদি পূরণ হয়, অর্থাৎ একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন যদি হয়ও, দলটি কি এ মুহূর্তে সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত? দলের প্রতি জনসমর্থন থাকলেও তা ক্যাশ করার মতো সংগঠন কই তাদের? কর্মচারী দিয়ে চালাতে গিয়ে ইতিমধ্যে দলের বারোটা বাজানো হয়েছে। গুলশান অফিসের কর্মচারীদের চেনে না কে? এরা কবে থেকে বিএনপির লোক হয়েছে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে দলে। দলের প্রতি এদের আনুগত্যও প্রশ্নাতীত নয়। বিএনপির অকৃত্রিম নেতা-কর্মী-সংগঠকদের মূল্য দিয়ে, আওয়ামী লীগের মতো দলের পুনঃএকত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে বিএনপিকে এবং তা অতি দ্রুত। নেতৃত্বের বিষয়টিও ভাবতে হবে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের সংকট মাথায় রেখে নতুন যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো গড়ে তোলার কথাও ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভারতে নেহেরু-ইন্দিরা আবেগ এবারের নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারেননি সোনিয়া-রাহুল। রাহুল-উপদ্রব নাকি আরও ডুবিয়েছে কংগ্রেসকে। অপরদিকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করে একটি কমিটেড যৌথ-নেতৃত্বই বিজেপিকে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিএনপির প্রকৃত অনুসারীদের এসব সাত-পাঁচ সব ভেবে দলে নবজাগরণ সৃষ্টির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সাফল্য চাইলে এর কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর