শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৯ আগস্ট, ২০১৫

আগাম নির্বাচন হলেও এই বিএনপি কি পারবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
আগাম নির্বাচন হলেও এই বিএনপি কি পারবে?

দেশে মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচন নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। বিএনপির এই দাবিটি পুরনোও, দশম সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই তারা এ দাবি করে আসছে। শাসক লীগ পৌনঃপুনিকভাবে বিএনপির দাবি নাকচ করে এলেও এখন তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য প্রদানে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছেন বলে মনে হয়। বাইরের গণতান্ত্রিক দুনিয়ার মনোভাবও আমরা জানি। তারা প্রায় সবাই সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে প্রকাশ্যেই তাদের মনোভাব ব্যক্ত করছে। সম্প্রতি মনে হচ্ছে, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পর্দার আড়ালে কিছু কথাবার্তাও হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটফোরের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, '২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনের পর থেকে সহিংসতায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসবেন। তবে দলটি নতুন একটি নির্বাচন চায়। অনড় অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার সরে আসার ফলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সমঝোতার। সামনের সপ্তাহ, মাসগুলোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পর্দার অন্তরালে নতুন করে সমঝোতা আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে'।

গণতান্ত্রিক রাজনীতি হচ্ছে সমঝোতার ও বোঝাপড়ার রাজনীতি; তবে কোনো অবস্থায়ই 'ভাগাভাগির' রাজনীতি নয়। আবার সমঝোতা ও বোঝাপড়ার মানে একজনের কাছে অপরজনের আত্দসমর্পণও নয়। সবলের কাছে দুর্বলের মাথানত করতে বাধ্য হওয়া তো নয়ই। এই রাজনীতির সারমর্ম হচ্ছে, আমি আমার চিন্তা ও বিশ্বাসের অবস্থান থেকে আমার নীতি-আদর্শের কথা বলব, আমার কর্মপরিকল্পনার কথা বলব, আপনি আপনারটা বলবেন। কেউ কাউকে বাধা দেব না। জনগণ যেটা সত্য বলে রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব দুজন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, গণতন্ত্রের মৌলিক এ বিষয়টি বাংলাদেশে অবহেলিত। দেশে গণতান্ত্রিক সহনশীলতার অনুপস্থিতিই হিংসা আর হানাহানির রাজনীতিকে উসকে দিচ্ছে। অথচ এ ভূখণ্ডে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বী গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিসমূহের মধ্যে হানাহানির পরিবর্তে পারস্পরিক সমঝোতা ও বোঝাপড়ার বহু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে।

'৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনেও সমঝোতা ও বোঝাপড়ার এক দুর্লভ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা লক্ষ্য করেছি। সমঝোতা ও বোঝাপড়াটা ছিল এমন যে, সব বাঙালির ভোট এক বাঙ্ েআসতে হবে, গণরায়ে বাঙালির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হতে হবে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংসদীয় দলের নেতৃত্ব বাঙালির হাতে আনতে হবে। তার ভিত্তিতেই মওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জন করলেন। স্লোগান দিলেন- 'ভোটের আগে ভাত চাই'। আওয়ামী লীগের 'মাথা মোটা' কিছু নেতা মওলানা ভাসানীর সেই নির্বাচন বর্জন নিয়ে এখনো হাস্যকর কিছু কথা বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই বিষয়ে কখনো একটা টুঁ শব্দও করেননি নির্বাচনের পর। মওলানা ভাসানী ওইভাবে নির্বাচন বর্জন না করলে তার দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) কমপক্ষে ১০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। ভোটপাগলদের থামানো যেত না। তখন ধারণা ছিল, ১২ থেকে ১৫ জন জিততে পারলেও কমপক্ষে আরও ৪০টি আসনে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষের বাঙালির ভোট ভাগ হতো এবং মুসলিম লীগ পূর্ব পাকিস্তানে কিছু আসন পেয়ে যেত। তাহলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারত। তাহলে রাজনীতির দৃশ্যপটও পাল্টে যেত। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে পরে; কিন্তু তার আগেই আমরা মতাদর্শগত লড়াইয়ে এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পাকিস্তানিদের চরমভাবে হারিয়ে দিয়েছি। গণতন্ত্রের শর্ত পূরণে পাকিস্তানিদের বাধ্য করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন গণতান্ত্রিক পন্থায়। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত তিনি ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। বাইরে মওলানা ভাসানী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তি তাকে শক্তি জুুগিয়েছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হোক আর আলোচনা ছাড়াই হোক, 'কমন গোল' বা একই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সমঝোতা ও বোঝাপড়া এভাবেই হয়ে যায়, হতে হয়। না হলে যে বিপদ আসে, তা একজনের জন্য আসে না।

বাংলাদেশে এখন যে সংকট চলছে, অবশ্যই তা গণতন্ত্রের সংকট। ক্ষমতার লড়াই গণতন্ত্রের এ সংকটকে অতিশয় তীব্র করে তুলেছে। নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক শাসনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ-প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবেই। রায় দেবে জনগণ। জনগণের রায়ের প্রতি যেমন সম্মান দেখাতে হবে, একইভাবে জনগণ যাতে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে তাদের রায় ঘোষণা করতে পারে, অর্থাৎ তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে তার নিশ্চয়তাও অবশ্যই থাকতে হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রশাসন বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ কাকে দিল। এ বিষয়টি নিয়েই দেশে রাজনৈতিক বিরোধ এখন তুঙ্গে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে বিদায়ী সরকারই নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তবে কিছু রুটিন কাজের মধ্যেই তাদের দায়িত্ব পালন সীমাবদ্ধ থাকে। সে ব্যবস্থাটা আমাদের দেশেও ছিল। '৭৫-পরবর্তীকালের শাসকরা '৯১-পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা অনুসরণ করলেও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তা ছিল সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে। এরপর সাংবিধানিক নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা একের প্রতি অপরে বিশ্বাস হারান। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার এমন ন্যক্কারজনকভাবে কারচুপি করে যে, ক্ষমতাসীনদের ওপর বিরোধী দলের সন্দেহ-অবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। জোর আওয়াজ ওঠে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি খালেদা জিয়ার সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানতে বাধ্য করে। সপ্তম, অষ্টম এবং নবম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ড. ফখরুদ্দীন (মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার নামেই সমধিক পরিচিত) সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে 'অবিশ্বাস্য' ফল করে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকার ২০১১ সালে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দেয়। সর্বদলীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রায় একদলীয় সিদ্ধান্তে বাতিল করে দেওয়া গণতন্ত্রে নজিরবিহীন। আবারও তুমুল বিরোধের সূত্রপাত। বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটা সম্মানজনক সুযোগ বিরোধী দলের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং বিএনপিকে পছন্দনীয় মন্ত্রণালয় বেছে নেওয়ারও অফার দেন। খালেদা জিয়া সে প্রস্তাবে কেন রাজি হননি, তিনিই জানেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সেটি তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এবং অনেকে মনে করেন, সে সিদ্ধান্ত ছিল জামায়াত প্রভাবিত। জামায়াতের বর্তমান লক্ষ্য তো কারও অজানা নয়। ভুল সরকারও করেছে, অনেক বড় ভুল। সংবিধানে (৬৫/২) একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠিত হওয়ার নির্দেশ থাকলেও ৩০০ আসনের সংসদে ১৫৩ আসনে কোনো নির্বাচনই করেনি তারা। বলা হয়েছে, সমঝোতার মাধ্যমে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এ সমঝোতা, বোঝাপড়া গণতন্ত্রের নয়; ভাগাভাগির। ভাগাভাগির এমন বিচিত্র সমঝোতা গণতন্ত্র অনুমোদন করে না।

এটা অবশ্যই সবার স্বীকার করা উচিত যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কোনো বিবেচনায়ই আদর্শ নির্বাচন ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরো-আমেরিকান বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, এমনকি জাতিসংঘ এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে বিবেচনা করেনি, এখনো করে না। মাঝে মাঝে তারা বাংলাদেশে আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে। কিন্তু সরকার তার অবস্থানে অনড়ই আছে। গত জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে উপলক্ষ করে বিএনপি তার গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছে বলে স্পষ্ট হয়েছে। দুটি অবস্থানই নীতিগত। এক. ভারতনীতি, দুই. নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি। ভারতনীতির পরিবর্তনের কথা খালেদা জিয়া তার সর্বশেষ ভারত সফরকালেও একবার পরিষ্কার করেছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে ভারতের কংগ্রেস সরকারের অনেকটা প্রকাশ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান বিএনপির মনোভাব বিগড়ে দেয়। ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের লজ্জাজনক ভরাডুবিতে বিএনপি আবার উৎফুল্ল হয় এবং বিজয়ী দল বিজেপির সঙ্গে দৃঢ় একটা সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আবারও খালেদা জিয়া ভারতনীতিতে পরিবর্তনের কথা স্পষ্ট করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে খালেদা জিয়ার দলের সমর্থনও যে জরুরি তা না বোঝার মতো নাদান নন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এক হাতে যে তালি বাজে না তাও তিনি জানেন। বিএনপির প্রার্থনা তো একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন, যা হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনমুখী গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে তেমন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবির বিরোধিতা করার বোকামি কি করতে পারেন? আওয়ামী লীগের ওপর এ ব্যাপারে একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ বোধহয় সৃষ্টি হয়ে আছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়া তার দ্বিতীয় নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করে লীগ সরকারকে আরও একটু চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। এতদিন লড়েছেন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। সম্প্রতি তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, 'আমি বলছি না যে, তত্ত্বাবধায়কই হতে হবে'। বিষয়টি একেবারেই পরিষ্কার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নিরপেক্ষ হতে পারে। নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য আবারও একটি সর্বদলীয় সরকার হতে পারে নির্বাচনকালে। খালেদা জিয়ার এ প্রস্তাব গণতান্ত্রিক সমঝোতা ও বোঝাপড়ার প্রস্তাব। সর্বত্র একটা ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, উভয় পক্ষের মধ্যে একটা অদৃশ্য সমঝোতারই বোধহয় ফল এটা। সরকারের ভয় তো হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবেন না বলে সহসা কোনো নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ভয় পাচ্ছেন! তত্ত্বাবধায়ক না হলে বিপদটা তেমন নাও থাকতে পারে।

সরকারের প্রতিক্রিয়াটা ইদানীং সহনশীলই মনে হচ্ছে। শাসক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি দলে ও সরকারে অধিকতর শক্তিশালী হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছেন। অতি সম্প্রতি ক্ষমতার লড়াইয়ে তার স্পষ্ট বিজয় তাই প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বোঝাপড়াটা মনে হয় আরও দৃঢ় হয়েছে। এখন তার কথা দলের নীতিগত কথা বলেই ধরে নেওয়া যায়। তিনি প্রথমে বেগম জিয়ার বক্তব্যে কিছুটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানালেও সর্বশেষ তিনি বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো সময় একটা নির্বাচন হতেই পারে।' আমাদের সংবিধানেও বিষয়টি পরিষ্কার। ধারণা করা যায়, সরকার ও সরকারি দল যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তো একটা গোছানো দলও বটে। কিন্তু বিএনপির আশা যদি পূরণ হয়, অর্থাৎ একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন যদি হয়ও, দলটি কি এ মুহূর্তে সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত? দলের প্রতি জনসমর্থন থাকলেও তা ক্যাশ করার মতো সংগঠন কই তাদের? কর্মচারী দিয়ে চালাতে গিয়ে ইতিমধ্যে দলের বারোটা বাজানো হয়েছে। গুলশান অফিসের কর্মচারীদের চেনে না কে? এরা কবে থেকে বিএনপির লোক হয়েছে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে দলে। দলের প্রতি এদের আনুগত্যও প্রশ্নাতীত নয়। বিএনপির অকৃত্রিম নেতা-কর্মী-সংগঠকদের মূল্য দিয়ে, আওয়ামী লীগের মতো দলের পুনঃএকত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে বিএনপিকে এবং তা অতি দ্রুত। নেতৃত্বের বিষয়টিও ভাবতে হবে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের সংকট মাথায় রেখে নতুন যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো গড়ে তোলার কথাও ভাবতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভারতে নেহেরু-ইন্দিরা আবেগ এবারের নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারেননি সোনিয়া-রাহুল। রাহুল-উপদ্রব নাকি আরও ডুবিয়েছে কংগ্রেসকে। অপরদিকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করে একটি কমিটেড যৌথ-নেতৃত্বই বিজেপিকে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিএনপির প্রকৃত অনুসারীদের এসব সাত-পাঁচ সব ভেবে দলে নবজাগরণ সৃষ্টির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সাফল্য চাইলে এর কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৫৬ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান
‘বিএনপি ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’ বলা নিজামের পাশে তারেক রহমান

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’
‘অন্যান্য পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদের পেশাগত লাইসেন্স থাকা দরকার’

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু
বজ্রপাতে ট্রলি চালকের মৃত্যু

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম
৫ মে থেকে বাজারে আসবে সাতক্ষীরার আম

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

২০ মিনিট আগে | বাণিজ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯

২৫ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সিপিবি নেতা হাসান তারিক

২৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান
রাখাইনে করিডর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারের প্রতি সাইফুল হকের আহ্বান

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই
চট্টগ্রামে মৃগী রোগী আছে, পৃথক সেবা নেই

২৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০০ টাকার জন্য খুন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ
সংযোগ সড়কবিহীন সেতু, ১০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ
বগুড়ায় মাসব্যাপী অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা
গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন ডে ২০২৫ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
বগুড়ায় ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি
কলাপাড়ায় বসতবাড়িতে ডাকাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ
কসবায় ভারতীয় চশমা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে