৫ জুন, ২০২০ ১০:৩২

জনগণের জাকাত খাওয়া গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকের রক্তে তাজা হয়ে এখন তাদের চাকরিও খাবে?

পীর হাবিবুর রহমান

জনগণের জাকাত খাওয়া গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকের রক্তে তাজা হয়ে এখন তাদের চাকরিও খাবে?

পীর হাবিবুর রহমান

গার্মেন্ট মালিকরা কি মনে করে? দেশের অর্থনীতিতে বড় রফতানি আয় তারা আনেন ঠিকই। কিন্তু আমাদের সস্তা শ্রমিকের ঘামে ভেজা, রক্ত পানি করা শ্রমেই তো তারা আনেনই না, বিত্তশালী হন। তারা বিদেশে অঢেল সম্পদ দেশে বিত্তবৈভব ক্ষমতা বিলাসি জীবন ভোগ করেন। সারাজীবন সরকার তাদের দুধে ভাতে পুষেছে, আর তারা জনগণের টাকায় হৃষ্টপুষ্ট হয়েছেন।

একসময় ইনটেনসিভ পেতেন। ২০০৯ সালে বিশ্বঅর্থনৈতিক মন্দাকালে তাদেরকে জনগণের পাঁচ হাজার কোটি টাকা জাকাত দিতে হয়েছে। ফেরত দিতে হয়নি। জনগণের জাকাত খাওয়া গার্মেন্ট মালিকরা করোনার প্রথম প্রতিরোধ পর্ব ভেঙ্গে কারখানা খুলে শ্রমিকদের অমানুষের মতোন পথে নামিয়ে আনেন চাকরি রক্ষার হুমকিতে।করোনাও ছড়ান। তাদের বড় সখ ছিলো আবার পাঁচ হাজার কোটি টাকা জাকাত খাবেন প্রণোদনার প্যাকেজের নামে। পরে দেখেন সরকার দুই শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। তবু বেতন বোনাস দিতে বিলম্ব করেছে। শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে।

এখন গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন সামনে শ্রমিক ছাটাই করবেন। করোনার বিপদকালে কি নির্মম ঘোষণা। আর কতো শোষণ? কত টাকা আর বানাবেন। দুই তিনমাস ভর্তুকি দিতে পারেন না কেনো? এতো বছরের লাভ কই?লাভ না হলে এ ব্যবসা করেন কেনো? বিকল্প ব্যবসায় গেলেই পারতেন। এতো বছর শ্রমিকের রক্ত খেয়ে তাজা হয়েছেন, এখন চাকরি খাবেন! বাহ! প্রহসনের সীমা থাকা উচিত। মনে রাখবেন এই দিন দিন না, আরও দিন আছে।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর