২৬ জুন, ২০২০ ০৮:৩৭

দুঃস্বপ্নের মতো একেকটি দিন

সোহেল সানি

দুঃস্বপ্নের মতো একেকটি দিন

জীবনের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি দিকভ্রান্ত আজ। করোনা বদলে দিয়েছে কর্মমুখর জনপদের চেহারা। মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যবসাবাণিজ্য। দুঃস্বপ্নের মতো একেকটি কর্মহীন দিন। অনিশ্চয়তার মুখে পরীক্ষা-শিক্ষাজীবন।

প্রধানমন্ত্রী একাই যেনো লড়ছেন করোনার বিরুদ্ধে। মন্ত্রীরা যেনো তার মুখের দিকে তাকিয়ে। শোনা যায়,  প্রধানমন্ত্রী নাখোশও কোনো কোনো  মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে। উপুর্যুপরি ব্যর্থতার ও অযোগ্যতার প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমে। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার মতো মন্ত্রীর দেখা জনগণ কখনোই পায়নি। এ যাত্রাও পাবে না। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের গুঞ্জন শুনে নড়েচড়ে বসছেন মন্ত্রীরা।

এদিকে জনগণও আর ঘরমুখো থাকছে না। কর্মহীন হয়ে পড়ছে হাজার হাজার শ্রমিক।  এ অবস্থা চলতে থাকলে কি হবে আর্থসামাজিক অবস্থা? করোনার মৃত্যুভীতিতেও মানুষের মানবিকমূল্যবোধের দেখা মিলছে না। সর্বদর্শী জীবন, সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে, মিথ্যারই জয়জয়কার এ উৎকণ্ঠার দিনগুলোতেও। জীবনপথের স্বাভাবিকী গতি-প্রকৃতি আজ দিকভ্রান্ত। লুটপাট। সর্বত্র লুকোচুরি।

অথচ, অপরিসীম দেশপ্রেম নিয়ে স্বপ্নহারাক্রান্ত্র জাতিটাকে গড়ে তোলার অকাতর স্পৃহা প্রধানমন্ত্রীর। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে 
দেশ ও জাতিগঠনের দায় বঙ্গবন্ধু কন্যার একার! মন্ত্রী-আমলাদের কোনো দায় নেই। তাদের কল্যাণেই অর্থবৈভবহীন বর্ণচোরাও সর্বস্বচুরির সুযোগ হাতিয়ে নিয়েছেন। রূপকথার গল্পের মতেো বেরিয়ে এসেছে অনেকের কাহিনী এবং কীর্তিকলাপ। জনগণ চায়, এই অশুভ শক্তির রাশ টেনে ধরা হোক।

আসছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। যখন করোনা এসে মানুষের কর্মজীবন থেকে ছন্দিত অগ্রসরমান জীবনধারার ছন্দ পতন ঘটিয়েছে।
সত্যের মর্মমূলে মিথ্যার অনুপ্রবিষ্টতা রুখতে হবে। এ কাজে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হলে সামনে অপেক্ষা করছে অন্ধকার, ধ্বংস। প্রজন্মকে অবশীভাব, ভাবোন্মাদী জীনতত্ত্বের আগ্রাসী আক্রোশে উদ্ভূত মিথ্যাপবাদের গ্লানিবোধ আঁকড়ে ধরেছে অক্টোপাসের মতো। কুশিক্ষার প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রেখেছে গোটা জীবনসমাজকে। এ করোনায়ও থামছে না ইয়াবা নামক ভয়াল মাদকের থাবা। পরবর্তিনীর অশুভের ছুরিকাঘাতে জীবনপ্রবাহে বয়ে যাচ্ছে প্রলয়। মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের জীবনের সম্ভাবনীয় অধ্যায়ে প্রকৃষ্ট অধ্যায়ন, ফাঁপা বেলুনের মতো ফেটে যাচ্ছে। তাঁরপরও কি থমকে দাঁড়াবার জীবন নামক যন্ত্রটা। শুধু অবসাদ, অবসন্ন গ্রাস করেনি বরং সঞ্চয়ে ঘটেছে, অবসংযোগের হানা। বর্তমান বা আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনাময় জীবন কতটা ফলপ্রসূ? জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই মনে গেঁথে দিয়ে গেছেন, "তুমি জীবনকে সংগ্রামমুখর করে গড়ে তোলো, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই কর, হয়ত এ পথ বিপদসংকুল। তাতে মৃত্যু হলেও বেঁচে থাকা যায়।" কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা। তারপর কে? কৈ সেই যোগ্য উত্তরসূরী? কবে মিলবে তার দেখা? যার হাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নশীল বাষ্ট্র। 
শেখ হাসিনার অবর্তমানে আমরা সেই ভবিষ্যত নেতাকে কি দেখতে পাচ্ছি? 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর