চলনবিলসহ পাবনার বিভিন্ন বিলাঞ্চলে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে অসময়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিচু জমিতে থাকা ইরি ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি এ এলাকায় দেখা দিয়েছে শ্রমিকসংকট। ধান কাটতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ধান পেকে গেছে। আমরা ভেবেছিলাম কয়েক দিনের মধ্যে কাইট্টা নিব। কিন্তু হঠাৎ পানি আইসা সব তলাইয়া দিল। এখন যদি কাটা না যায়, তাহলে ধান গাছেই পচে যাইব।’ স্থানীয়রা বলছেন, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন বিলে নতুন করে পানি ঢুকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। চলনবিলের ছাইকোলা, নিমাইচরা, মাগুড়া, লক্ষ্মীকোল, তারাপুর, আদাবাড়িয়া, বাশবাড়িয়া, দিলপাশার, পাটুল, নৌবাড়িয়া, শ্রীপুর, জয়রামপুর, বাশবাড়িয়া, বিশাকোল, কয়ড়া এলাকার কৃষকরা এখন দিশেহারা। বড় বিল, গম বিলম গাজনার বিলের কৃষকরা এ সমস্যার পাশাপাশি পড়েছেন শ্রমিকসংকটে। স্থানীয়রা বলছেন, ইরি ধান পুরোপুরি কাটার আগেই পানি উঠে যায়। অনেক জমির ধান এখন পানির নিচে। কেউ কোমরসমান পানিতে দাঁড়িয়ে ধান কাটছেন, আবার কেউ ভেলা তৈরি করে ধান কেটে মাঠ থেকে তুলে আনার চেষ্টা করছেন। আটঘরিয়ার বাঐকোলা গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন জানান, এই পানিত ধান কাটলেও শুকানো সম্ভব না। কোথায় রাখব? যন্ত্র নাই, সাহায্য নাই। আমরা খুব কষ্টে আছি। এ ছাড়া শ্রমিক পাওয়াও খুব কষ্টকর। কৃষকরা বলছেন, আগাম বন্যায় ধান কাটার সময় ও সুযোগ না পেয়ে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আধা-পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। কৃষক নেতা মো. আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, এসব বিলের ফসল হারালে শুধু কৃষক নয়, গোটা এলাকার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চাটমোহর উপজেলায় ৯ হাজার ২১৩ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০ হেক্টর নিচু জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। একইভাবে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০ হেক্টর নিচু জমি রয়েছে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. শারমীন জাহান বলেন, উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী ও বড়াল নদীতে আকস্মিক বর্ষা ও ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে খাদ্যশস্য ভান্ডারখ্যাত খানমরিচ, দিলপাশার ও অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নিচু এলাকায় ২ শতাধিক হেক্টর জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। তবে ডুবে যাওয়া ধান দু-একদিনের মধ্যে কৃষক কেটে ঘরে তুললে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে। এ কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
শিরোনাম
- আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি
- পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
- আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে
- স্বেচ্ছাসেবক দলনেতার পদত্যাগ
- প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন শানায়া কাপুর
- দুবাইয়ে ই-বাইক, ই-স্কুটার নিষিদ্ধ নিয়ে বিতর্ক
- ছবি থেকে ভিডিও তৈরির সুবিধা আনলো গুগলের জেমিনি
- রাতে বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
- ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ
- টেস্ট ক্রিকেটে ১০ বছর পর ঘটলো সেই বিরল ঘটনা
- ‘ডন-৩’ সিনেমায় শাহরুখ ফিরছেন কোন চরিত্রে?
- অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
- সিরিজ শুরুর আগেই স্কোয়াডে পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ার
- বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
- ক্লাব ফুটবলে নেই আগ্রহ, অন্য কিছুতে নজর ডাচ কোচের
- অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালেন হৃতিক
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০
- ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
- যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
অসময়ে বন্যায় বিপাকে কৃষক
তলিয়ে গেছে ধান শ্রমিক সংকট
এস এ আসাদ, পাবনা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর