শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:২৪, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

নাজমুন নাহার
অনলাইন ভার্সন
কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

চোখ বন্ধ করলেই আমি এখন এক মিনিটে পৃথিবী থেকে ঘুরে আসতে পারি, পৃথিবীকে ভালোবাসতে পারি। আমি এত শক্তি কোথায় পাই? সত্যি কথা, আমার ভাবনার মাঝেই সব শক্তি নিহিত। এ পৃথিবীকে দেখার জন্য আমার স্বপ্নই ছিল একমাত্র সম্বল। তারপর ধীরে ধীরে আমি স্বপ্ন আর ভাবনার শক্তিকে নিয়ে বাঁধার দেওয়ালগুলোকে ভেঙ্গেছি এক এক করে। বড় করে ভাবতে শিখিয়েছি নিজের স্বপ্নকে। আমি নিজেকে এখন পৃথিবীর মতো করে ভাবতে পারি। এই ভাবনাগুলো আমাকে শ্রেষ্ঠ সুখ দেয়।

পারবো না এই শব্দটিকে আমি কবর দিয়েছি। সব হবে, সব পারবো এমন পজেটিভ চিন্তা আমাকে ধাবিত করেছে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর পথে পথে। কিছুটা পথ পার হওয়ার পর আমি দেখলাম-''কোন ভাবনাকে গভীরভাবে ভালবাসালে সে ভাবনা ফুল হয়ে ফুটে।" 

আমি ধীরে ধীরে আমার ভাবনার গভীরে হারাতে থাকলাম, আমি সুন্দর করে ভাবতে ভাবতে অনেক ট্রেজার পেতে থাকলাম। আমি বুঝতে পেরেছি আমি এই পৃথিবীকে খুব গভীরভাবে ভালোবেসেছি। 'তারপর শুরু হলো আমার স্বপ্নের অভিযাত্রা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে আমি লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের চিহ্ন এঁকে দিতে পারবো। আমার ভেতর এই উন্মাদনা আমাকে তাড়িত করেছে ভীষণভাবে।

সুন্দর সুন্দর ভাবনাগুলো আমাকে অনেক সুন্দর সুন্দর পথে নিয়ে গেছে। যখনই হেরেছি আবার তখনই উঠে দাঁড়িয়েছি। আমার প্রতিদিনের উত্তেজনা এবং কৌতূহল বাড়তে থাকলো নতুন পরিবেশে বসবাস করার জন্য। নিজের দেশের বাইরে প্রথম যাত্রার পর আমি দেখতে পেয়েছি আমার জীবনযাত্রাই একমাত্র জীবনযাপন নয়। বিভিন্ন সংস্কৃতি, মূল্যবোধ আর এই অপরূপ পৃথিবীতে কত কি অপূর্ব জিনিস রয়েছে তা আমি না দেখলে বুঝতে পারতাম না, জানতে পারতাম না! আমি ধীরে ধীরে পৃথিবী দেখতে দেখতে আমার মনের ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছি। আমি শিখলাম পৃথিবীর বুকে হাঁটতে হাঁটতে-'বাহুবলের চেয়ে হৃদয়ের বল অনেক শক্তিশালী'। হৃদয়ের শক্তি দিয়ে অনেক কিছু জয় করা যায়। আমি বুঝতে পারলাম টাকাপয়সা দিয়ে ইমারত করা যায় কিন্তু পৃথিবীর এই বিস্তর পথে হাঁটা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছে শক্তি, মনের সাহস। তাই আমি সেই সাহসকে ধারণ করে সকল কষ্টকে হাতের মুঠোয় নিয়েছি পুরো পৃথিবীকে দেখার জন্য। 

তারপর, পাথর বাঁধ ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি হেঁটেছি, কখনো কোন পর্বত ভ্যালিতে সূর্যোদয় উঠলে কেমন লাগে দেখতে তা দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছি দুর্গম পথে। কত না সুন্দর সেই সূর্যোদয়ের আলোর বিচ্ছুরণ। যা আমার শরীর মনক জাগ্রত করেছে। কোন অসম্ভবেই আমি ভেঙে পড়িনি।  

আমার চোখে যদি কখনো পানি ঝরতো আমি সে কান্নাকে পর্বত ছোঁয়ার শক্তিতে রূপান্তরিত করেছি। নতুন কোন দেশে যখন নতুন কিছু দেখতাম আমি উচ্ছ্বসিত হতাম, আমার অনেক খুশি লাগতো, আমার সুখটা ঝরে পড়তো চরম উচ্ছ্বাসে। তখন আমার পথের কষ্টগুলো ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যেত। 

আমার আরো ভালো লাগতো যখন আমি পৃথিবীর হাজার বর্ন আর রঙের মানুষের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতাম একই মানুষ হিসেবে। আমার ভেতরটা ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকলো। আমি জীবনের কুক্ষিগত চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকলাম ধীরে ধীরে। পৃথিবীর পথের মাঝে নানা রঙ্গের ধুলো বালির সাথি আমি নিজেকে রাঙাতে থাকলাম। সেই ধুলোবালি মেখে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে আরো পোক্ত করতে থাকলাম। আমি বুঝলাম স্বপ্ন থেমে থাকার নয়। আমি নিজেকে ভাসাতে থাকলাম ভারতের পাঁচমারির পর্বত ভ্যালি থেকে থেকে আইসল্যান্ডের ল্যান্ডমান্না লুগাড় ভ্যালিতে। তারপর আমি আটলান্টিক থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ক্যারাবিয়ান সাগরের নিজেকে ভাসাতে থাকলাম। 

আমি মহাসমুদ্র পার হয়ে বুলগেরিয়ার কৃষ্ণসাগর থেকে ভাসতে থাকলাম জর্ডানের মৃত সাগর পর্যন্ত। আবার আমি ভাসতে থাকলাম গ্রীসের আজিয়ানা সমুদ্র থেকে কোস্টারিকার প্যাসিফিক সমুদ্রের কনসাল সৈকত পর্যন্ত। আমি সেনেগালের গোলাপি রংয়ের রোসো নদী পার হতে হতে গাম্বিয়ার বাঞ্জুল নদীতে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে থাকলাম। আমি সুমেরীয় সভ্যতা থেকে পেরুর আদিম সভ্যতার চিহ্ন মাচুপিচুর আগুস কালিয়ানতেস টাউনের জলপ্রপাতের শব্দ শুনতে শুনতে কয়েক হাজার সিঁড়ি পার হয়ে উঠেছিলাম উরুবামবা পর্বতের চূড়ায়। 

তারপর আমি ১৪২০০ ফুট উঁচু রেইনবো পর্বত সামিটে যাওয়ার পথে শ্বাসরুদ্ধ আল্টিচুডের মাঝে মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছি লাল-সবুজ পতাকাকে সেই পর্বত সামিটে উড়িয়ে উড়িয়ে। আমি আমার ২৩ ঘণ্টার পর্বত ভ্যালিতে পায়ে হাঁটার অভিযাত্রাকে সম্ভব আমার মনের শক্তি দিয়ে। আমি পোর্তো রিকোর রেইনফরেস্ট থেকে ব্রাজিলের অ্যামাজন পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করেছি। আমি কলম্বিয়ার মেডিজিন শহর থেকে যেতে যেতে ইকুয়েডরের কিতো শহরের বিষুবরেখার উপরে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। 

আমি গিনি কোনাক্রির মধ্যরাতে জঙ্গলে আটকা পড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভয়াবহ পথ পাড়ি দিয়েছি লাল-সবুজের পতাকা মাথায় বেঁধে। ২৬ ঘণ্টা আটকে থাকার সেই ভয়াবহ রুদ্ধশ্বাস যাত্রাপথে আমি নিজেকে শক্ত রেখেছি। আমি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ থেকে গিনি কোনাক্রি যাত্রাপথে আড়াই দিন না খেয়ে থাকার সময় ভয়াবহ সময় পার করেছি।

পৃথিবীর বহু কঠিন পথকে অতিক্রম করার সেই মহাআনন্দে ভাসতে ভাসতে পৃথিবীর আরো অনেক কঠিন পথ আমি পাড়ি দিয়েছি একাই। আমি কেনিয়ার নাকুরু শহরের সাদা আর গোলাপী রঙের ফ্লামিংগো বক পাখির নৃত্য দেখতে দেখতে সোয়াজিল্যান্ড দেশের মানজিনি আদিবাসীদের নৃত্যের তালে তালে ঘুমিয়েছি পর্বত ভ্যালির কুঁড়েঘরে। আমি নীল নদের উৎস উগান্ডার জিনজা শহর থেকে মিশরের নীল নদের অন্ত পর্যন্ত গিয়েছি। আমি আর্জেন্টিনার মেন্দোজা শহরের উকো ভ্যালি থেকে উরুগুয়ের পূনতা ডেল এসতা পর্যন্ত বৃষ্টিঝরা পথের গভীর মমতা দেখতে দেখতে পার হয়েছি শত শত কিলোমিটার পথ। কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপ থেকে লাওসের ফোর থাউজেন্ড আইল্যান্ডে যাওয়ার পথে প্রচন্ড ঝড়ের মুখে পড়ে অভিযাত্রী কাফেলাদের সাথে সীমান্ত শহরে ভিড়েছি ভয়ানক বিজলী চমকানো মধ্যরাতে। সে ভয়ানক ঝড়ের রাতে মরক্কোর দুনিয়া নামের অভিযাত্রী মেয়েটি আমাকে আঁকড়ে বেঁচে ছিল ঝড়ের মাঝে সেই ভয়ানক ডালপালা ভেঙ্গে পড়া পথের মাঝে। 

আমি জর্জিয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হতে হতে বেঁচেছি পাহাড়ের বুকে বুক বিছিয়ে। আমি গুয়াতেমালা থেকে রক্তঝরা পায়ে এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া হয়ে কোস্টারিকা পর্যন্ত গিয়েছি লাল সবুজের পতাকা হাতে। আমি সুয়েজ খাল থেকে অভিযাত্রা করতে করতে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের সংযুক্তিতে পানামা খাল পর্যন্ত গিয়েছি। আমি তুরস্ক আর আর্মেনিয়ার আরারাত পর্বত ভাগাভাগি নিয়ে আরিয়ানার মুখে ইয়ারবান শহরের ডাউনটাউনে বসে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের হাহাকারের গল্প শুনেছি। আমি মৌরিতানিয়ায়র মালি দূতাবাসে প্যারিসের ছেলে ক্লারিয়ো'র চোখে বন্দি করে রাখা মাকে মালির ডেজার্টে উগ্রপন্থীর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার আকুতি দেখেছি। আবার আমি পশ্চিম সাহারা মরুভূমির বুকে চন্দ্র সুখ আবিষ্কার করতে করতে লিবিয়ার সাহারায ২০০ বছর বেঁচে থাকা কচ্ছপকে আবিষ্কার করেছি। আমি মরুভূমিতে বোরকা পরিহিত বেদুইন নারীর জীবনকে দেখতে দেখতে ইথিওপিয়ার হামার আদিবাসীর একখণ্ড কাপড় জড়িয়ে থাকা তরুণীর মাঝে জীবনের বৈচিত্র খুজে পেয়েছি। 

আমি আলবানিয়ার দেতি মাউন্টেন থেকে ছোট্ট একটি পর্বতকন্যার ঘাড়ে বিশাল কাঠের বোঝা নিয়ে নামতে দেখে কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। আবার আমি একই কষ্টকে দেখেছি ইথিওপিয়ার কনসো ভ্যালির আদিবাসী সেই ছোট্ট মেয়েটির ১০ কেজি ওজনের গ্যালন পানি নিয়ে ১২ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে। এভাবে পৃথিবীর মাঝে অচেনা মানুষের কষ্ট দেখে নিজেকে শুদ্ধ করেছি আমি বারবার। আমি শক্তি পেয়েছি বুর্কিনা ফাসোর ওয়াগাদু শহরের বুকে প্রচন্ড রোদের মাঝে তরুণীরা বোরকা পরে মাথার উপর তরকারির জুড়ি বেঁধে পেছনে ছোট বাচ্চাকে বেঁধে বাইক চালিয়ে যখন বাজারে যাচ্ছিল। প্রচন্ড তাপমাত্রায় তরকারি বিক্রি করতে করতে সেই ঘাম ঝরা পরিশ্রমী তরুণীদের চোখে মুখে আমি দেখেছি অপার শক্তির বিস্ময়! আমি নিজেকে আবিষ্কার করেছি ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ বিহীন প্রত্যন্ত আফ্রিকার আদিবাসীদের ছোট ছোট গ্রামে। 

আবার আমি সিয়েরা লিয়নের বন্ধু ডোরাকে বিদায় বলতে বলতে চেক রিপাবলিকের ব্রওনিয়োর সাথে গুয়াতেমালার ফিউগো ভলকানিক এন্টিগুয়া টাউনের বুকে হারিয়েছি। আমি রুয়ান্ডার আটকে পড়া সীমান্তের মাঝে সানতানিয়া মেয়েটির ভালোবাসা মেখে মেখে বুরুন্ডির এস্তাসকে খুঁজে পেয়েছি কিগালি শহরের রেস্তোরাঁর টেবিলে। আমি বতসোয়ানা থেকে সাউথ আফ্রিকার পথে যেতে যেতে ফ্রান্সিস টাউনের মেয়ে ইতুমেলেঙ্গের সাথে কাফেলা বেঁধেছি। সেই মেয়েটি জোহান্সবার্গ শহরে আমাকে কালো চাদরে জড়িয়ে কৌশলে রক্ষা করেছে ওই শহরের শটগান হাতে ঘোরা বেপরোয়া যুবকদের বুলেট থেকে। আমি জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের বুকে প্রবাহিত হওয়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের মাঝে ব্রিজে দাঁড়িয়ে ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক ছুঁয়ে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ১৭ কোটি মানুষের একটি বাংলাদেশকে বাকি পৃথিবীর প্রতিটি দেশে বয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছি। 

আমি আইভরিকোস্টের আসিনি দ্বীপের বাচ্চাদের মিষ্টি হাসি দেখতে দেখতে পৌঁছেছি ঘানা মিশনারীর বাচ্চাদের হাসিমাখা চাহনিতে। আমি আইরিশ এক যুবকের চাহনিতে কলম্বিয়ার পাস্তো সীমান্ত শহরের ভালোবাসা মেখে পাড়ি দিয়েছি চিলির আতাকামা চন্দ্র ভ্যালির ১০০ বছরেও বৃষ্টি না হওয়া নগরীতে। 

আমি কায়রো শহরের জাদুঘরে নিপাত হওয়া শক্তিশালী ফেরাউনের পড়ে থাকা দীর্ঘকায় দেহ দেখতে দেখতে আবার খুঁজে পেয়েছি ইথিওপিয়ার জাদুঘরে পৃথিবীর সবচেয়ে আদি দীর্ঘকায় নারী লুসির দেহের কঙ্কালসার। আমি প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের মোনালিসাকে দেখেছি পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনের পোর্তো নভোর আদিবাসী নারীর প্রতিবিম্বে আঁকা দেওয়াল চিত্রে। আমি তাইওয়ান থেকে ফিলিপাইনের পথে চীন সাগরের আকাশে প্লেন ক্রাশ হওয়া মুহূর্ত থেকে বাঁচতে বাঁচতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি ম্যানিলা শহরের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ইরাপশনের মাঝে। 
আমি ক্লান্ত হতাহত হয়ে হয়ে ম্যানিলায় মধ্যরাতের ঘুমের ভেতর বাবাকে স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেঁদে উঠেছি। বাবা আমাকে স্বপ্নের ভেতরে বলেছে-ভয় নেই! ভয় নেই! এই দেখো আমি আছি। ঘুম ভেঙ্গে দেখি বাবা নেই, কিন্তু আমার শক্তি আমি পেয়েছি বাবার দেখানো সেই স্বপ্ন থেকে। তারপর আমি এক সময় পৃথিবীর এই দুর্দান্ত দুর্ভোগে করোনার মাঝে পড়তে পড়তে স্মৃতির মাঝে তুরস্কের ব্লু মস্ক' থেকে ভেসে আসা আজানের ডাক শুনতে শুনতে বোর্নিও ব্রুনাইয়ের এক সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠি ওমর আলী মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ডাকে। আমার শেষ হয় আপাতত ১৪০ দেশ সফরের অভিযাত্রা আগামীর স্বপ্ন নিয়ে। 

তারপর আমি ফিরে আসি এক পৃথিবীর স্মৃতি নিয়ে নিজের আবাসস্থলে। পৃথিবী নামক এক শক্তিশালী ভালোবাসা আমার দরজায় কড়া নাড়ে। আমি পৃথিবীর মাঝে সেই শক্তিশালী ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। আমি যেন তাকে ফেলে আসা পৃথিবীর পথে পথে দেখি বারবার। সে আমার আজন্মের ভালোবাসা হয়ে উঠতে থাকে। আমি তাকে ভাসাতে পারি পুরো পৃথিবীর মাঝে। সে আমার পায়ে পায়ে জড়িয়ে যায়। সে আমায় পথ দেখায়। সে আমাকে বারবার বলতে থাকে বাকী পথতো আর বেশি দূর নয়, তোমাকে যে যেতেই হবে শেষ পর্যন্ত। সে আমার উৎসাহ, সে আমার স্বপ্নের মাঝে বসবাস করতে শুরু করে। সে আমার শক্তির কেন্দ্র হয়ে আমাকে তাড়িত করে বারবার। সে আমাকে ছায়া মায়া দিয়ে রাখে। সে আমাকে দূর থেকে ডাকে গভীর ভালোবাসা দিয়ে। সে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়। সে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সে আমার স্বপ্নের মাঝে বিভোর হয়ে আসে। সে আমাকে হারানোর অজানা ভয়ে অজানা কষ্টে কেঁদে ওঠে। সে আমার বিগত বিজয়ের অধ্যায়গুলো পড়ে পড়ে সুখ পেতে থাকে। সে আমার কষ্টগুলো পড়ে পড়ে আমাকে সাবধানী হতে বলে। 

আমি তাকে বিশ্বাস দিয়ে আঁকতে থাকি আগামী অভিযাত্রার মানচিত্রের মাঝে। আমি হাসিমুখে বলি পৃথিবীর আর কিছুটা পথ পাড়ি দিয়ে আমি ফিরে আসবো তার কাছে। সে আমার বাংলাদেশ। সে আমার বুক থেকে বেরিয়ে আসা দীর্ঘশ্বাস। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুকে একসাথ করি আমি এখন তার ভালোবাসায়। সে আমার ভালোবাসার স্পন্দনে জেগে উঠে শতবার। সে আমার লাল-সবুজের পতাকার চিহ্ন। আমি এখন টুকরো টুকরো স্বপ্ন আঁকি। আমি তাকে এঁকেছি পৃথিবীর পথে পথে। তার উন্মুখ ভালবাসায় গড়িয়ে পড়া চোখের জল ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়ের সীমান্তের সেই অস্থির জলপ্রপাত ফোজদু ইগূয়াজু'র হৃদয় বেয়ে পড়তে দেখেছি। 

তার চোখের জলের মাঝে আমি দুই সীমান্তের দূরত্বকে একাকার হতে দেখেছি। তার চোখের জলে ব্রাজিলের সেই অবিনশ্বর প্রপাতকে দেখেছি প্যারাগুয়ের হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে অবলীলায় বেগবান হতে। যেন ব্রাজিল প্যারাগুয়ের হৃদয়কে আর প্যারাগুয়ে ব্রাজিলের হৃদয়কে আঁকড়ে ধরে আছে সেই অনন্তকাল ধরে প্রবাহিত হতে হতে। তার চোখের জলের ভালোবাসা আমি দেখেছি সেই সীমান্তের বন্ধনে। আমি সেই জল স্পর্শ করে, আমার চোখে, মুখে, আমার শরীরে মেখেছি! আমি হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসা পথের ক্লান্তিকে শক্তি করে নিয়েছি তার চোখের জলে। তার ভেতরের শক্তি আমার ভেতরে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমি দিনকে শতাব্দি বানাচ্ছি, শতাব্দীকে দিন বানাচ্ছি। আমি কালকে মহাকাল বানাচ্ছি, মহাকালকে কালের স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমি একাকার হয়ে ভাসছি এই পথ ওই পথ ঘুরে।

তার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল দিয়ে আমি একত্র করেছি দূরত্বের বন্ধন। আমি পায়ে পায়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে তৈরি করেছি নিখুঁত ভালোবাসার ব্রিজ। যেখানে দাঁড়িয়ে আমি বলছি- এই পুরো পৃথিবী তোমার আমার সবার ঘর। এখানে শুধু আদি অন্তের প্রবাহে যা কিছু বিরাজমান রয়েছে তার সবকিছুর মাঝে সকল মানুষ একই সূত্রে গাঁথা! পৃথিবীর কাছ থেকে আমি শিখেছি কঠিন জিনিসকে কিভাবে সহজ করে ভাবতে হয়, কঠিন পথকে কিভাবে পাড়ি দিতে হয়, বিপদে কিভাবে কৌশল অবলম্বন করতে হয়, মানুষকে কিভাবে আপন করে নিতে হয়। 

আমরা সবাই এই মহাবিশ্বের খলিফা। জীবন ভ্রমণে আমরা এসেছি আবার এই ভ্রমণের শেষ হলে আমরা ফিরে যাবো নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তাই আমি পৃথিবী ভ্রমণ করছি সকল পাথর পথ ভেঙ্গে ভেঙ্গে। পৃথিবীকে দেখে দেখে আমি নিজেকে গড়ি প্রতিদিন, প্রতিবার। 

লেখক: বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী, ১৪০ দেশ ভ্রমণকারী।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
সর্বশেষ খবর
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৪০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে

নগর জীবন

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত

নগর জীবন