শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:২৪, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

নাজমুন নাহার
অনলাইন ভার্সন
কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

চোখ বন্ধ করলেই আমি এখন এক মিনিটে পৃথিবী থেকে ঘুরে আসতে পারি, পৃথিবীকে ভালোবাসতে পারি। আমি এত শক্তি কোথায় পাই? সত্যি কথা, আমার ভাবনার মাঝেই সব শক্তি নিহিত। এ পৃথিবীকে দেখার জন্য আমার স্বপ্নই ছিল একমাত্র সম্বল। তারপর ধীরে ধীরে আমি স্বপ্ন আর ভাবনার শক্তিকে নিয়ে বাঁধার দেওয়ালগুলোকে ভেঙ্গেছি এক এক করে। বড় করে ভাবতে শিখিয়েছি নিজের স্বপ্নকে। আমি নিজেকে এখন পৃথিবীর মতো করে ভাবতে পারি। এই ভাবনাগুলো আমাকে শ্রেষ্ঠ সুখ দেয়।

পারবো না এই শব্দটিকে আমি কবর দিয়েছি। সব হবে, সব পারবো এমন পজেটিভ চিন্তা আমাকে ধাবিত করেছে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর পথে পথে। কিছুটা পথ পার হওয়ার পর আমি দেখলাম-''কোন ভাবনাকে গভীরভাবে ভালবাসালে সে ভাবনা ফুল হয়ে ফুটে।" 

আমি ধীরে ধীরে আমার ভাবনার গভীরে হারাতে থাকলাম, আমি সুন্দর করে ভাবতে ভাবতে অনেক ট্রেজার পেতে থাকলাম। আমি বুঝতে পেরেছি আমি এই পৃথিবীকে খুব গভীরভাবে ভালোবেসেছি। 'তারপর শুরু হলো আমার স্বপ্নের অভিযাত্রা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে আমি লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের চিহ্ন এঁকে দিতে পারবো। আমার ভেতর এই উন্মাদনা আমাকে তাড়িত করেছে ভীষণভাবে।

সুন্দর সুন্দর ভাবনাগুলো আমাকে অনেক সুন্দর সুন্দর পথে নিয়ে গেছে। যখনই হেরেছি আবার তখনই উঠে দাঁড়িয়েছি। আমার প্রতিদিনের উত্তেজনা এবং কৌতূহল বাড়তে থাকলো নতুন পরিবেশে বসবাস করার জন্য। নিজের দেশের বাইরে প্রথম যাত্রার পর আমি দেখতে পেয়েছি আমার জীবনযাত্রাই একমাত্র জীবনযাপন নয়। বিভিন্ন সংস্কৃতি, মূল্যবোধ আর এই অপরূপ পৃথিবীতে কত কি অপূর্ব জিনিস রয়েছে তা আমি না দেখলে বুঝতে পারতাম না, জানতে পারতাম না! আমি ধীরে ধীরে পৃথিবী দেখতে দেখতে আমার মনের ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছি। আমি শিখলাম পৃথিবীর বুকে হাঁটতে হাঁটতে-'বাহুবলের চেয়ে হৃদয়ের বল অনেক শক্তিশালী'। হৃদয়ের শক্তি দিয়ে অনেক কিছু জয় করা যায়। আমি বুঝতে পারলাম টাকাপয়সা দিয়ে ইমারত করা যায় কিন্তু পৃথিবীর এই বিস্তর পথে হাঁটা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছে শক্তি, মনের সাহস। তাই আমি সেই সাহসকে ধারণ করে সকল কষ্টকে হাতের মুঠোয় নিয়েছি পুরো পৃথিবীকে দেখার জন্য। 

তারপর, পাথর বাঁধ ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি হেঁটেছি, কখনো কোন পর্বত ভ্যালিতে সূর্যোদয় উঠলে কেমন লাগে দেখতে তা দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছি দুর্গম পথে। কত না সুন্দর সেই সূর্যোদয়ের আলোর বিচ্ছুরণ। যা আমার শরীর মনক জাগ্রত করেছে। কোন অসম্ভবেই আমি ভেঙে পড়িনি।  

আমার চোখে যদি কখনো পানি ঝরতো আমি সে কান্নাকে পর্বত ছোঁয়ার শক্তিতে রূপান্তরিত করেছি। নতুন কোন দেশে যখন নতুন কিছু দেখতাম আমি উচ্ছ্বসিত হতাম, আমার অনেক খুশি লাগতো, আমার সুখটা ঝরে পড়তো চরম উচ্ছ্বাসে। তখন আমার পথের কষ্টগুলো ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যেত। 

আমার আরো ভালো লাগতো যখন আমি পৃথিবীর হাজার বর্ন আর রঙের মানুষের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতাম একই মানুষ হিসেবে। আমার ভেতরটা ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকলো। আমি জীবনের কুক্ষিগত চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকলাম ধীরে ধীরে। পৃথিবীর পথের মাঝে নানা রঙ্গের ধুলো বালির সাথি আমি নিজেকে রাঙাতে থাকলাম। সেই ধুলোবালি মেখে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে আরো পোক্ত করতে থাকলাম। আমি বুঝলাম স্বপ্ন থেমে থাকার নয়। আমি নিজেকে ভাসাতে থাকলাম ভারতের পাঁচমারির পর্বত ভ্যালি থেকে থেকে আইসল্যান্ডের ল্যান্ডমান্না লুগাড় ভ্যালিতে। তারপর আমি আটলান্টিক থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ক্যারাবিয়ান সাগরের নিজেকে ভাসাতে থাকলাম। 

আমি মহাসমুদ্র পার হয়ে বুলগেরিয়ার কৃষ্ণসাগর থেকে ভাসতে থাকলাম জর্ডানের মৃত সাগর পর্যন্ত। আবার আমি ভাসতে থাকলাম গ্রীসের আজিয়ানা সমুদ্র থেকে কোস্টারিকার প্যাসিফিক সমুদ্রের কনসাল সৈকত পর্যন্ত। আমি সেনেগালের গোলাপি রংয়ের রোসো নদী পার হতে হতে গাম্বিয়ার বাঞ্জুল নদীতে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে থাকলাম। আমি সুমেরীয় সভ্যতা থেকে পেরুর আদিম সভ্যতার চিহ্ন মাচুপিচুর আগুস কালিয়ানতেস টাউনের জলপ্রপাতের শব্দ শুনতে শুনতে কয়েক হাজার সিঁড়ি পার হয়ে উঠেছিলাম উরুবামবা পর্বতের চূড়ায়। 

তারপর আমি ১৪২০০ ফুট উঁচু রেইনবো পর্বত সামিটে যাওয়ার পথে শ্বাসরুদ্ধ আল্টিচুডের মাঝে মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছি লাল-সবুজ পতাকাকে সেই পর্বত সামিটে উড়িয়ে উড়িয়ে। আমি আমার ২৩ ঘণ্টার পর্বত ভ্যালিতে পায়ে হাঁটার অভিযাত্রাকে সম্ভব আমার মনের শক্তি দিয়ে। আমি পোর্তো রিকোর রেইনফরেস্ট থেকে ব্রাজিলের অ্যামাজন পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করেছি। আমি কলম্বিয়ার মেডিজিন শহর থেকে যেতে যেতে ইকুয়েডরের কিতো শহরের বিষুবরেখার উপরে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। 

আমি গিনি কোনাক্রির মধ্যরাতে জঙ্গলে আটকা পড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভয়াবহ পথ পাড়ি দিয়েছি লাল-সবুজের পতাকা মাথায় বেঁধে। ২৬ ঘণ্টা আটকে থাকার সেই ভয়াবহ রুদ্ধশ্বাস যাত্রাপথে আমি নিজেকে শক্ত রেখেছি। আমি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ থেকে গিনি কোনাক্রি যাত্রাপথে আড়াই দিন না খেয়ে থাকার সময় ভয়াবহ সময় পার করেছি।

পৃথিবীর বহু কঠিন পথকে অতিক্রম করার সেই মহাআনন্দে ভাসতে ভাসতে পৃথিবীর আরো অনেক কঠিন পথ আমি পাড়ি দিয়েছি একাই। আমি কেনিয়ার নাকুরু শহরের সাদা আর গোলাপী রঙের ফ্লামিংগো বক পাখির নৃত্য দেখতে দেখতে সোয়াজিল্যান্ড দেশের মানজিনি আদিবাসীদের নৃত্যের তালে তালে ঘুমিয়েছি পর্বত ভ্যালির কুঁড়েঘরে। আমি নীল নদের উৎস উগান্ডার জিনজা শহর থেকে মিশরের নীল নদের অন্ত পর্যন্ত গিয়েছি। আমি আর্জেন্টিনার মেন্দোজা শহরের উকো ভ্যালি থেকে উরুগুয়ের পূনতা ডেল এসতা পর্যন্ত বৃষ্টিঝরা পথের গভীর মমতা দেখতে দেখতে পার হয়েছি শত শত কিলোমিটার পথ। কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপ থেকে লাওসের ফোর থাউজেন্ড আইল্যান্ডে যাওয়ার পথে প্রচন্ড ঝড়ের মুখে পড়ে অভিযাত্রী কাফেলাদের সাথে সীমান্ত শহরে ভিড়েছি ভয়ানক বিজলী চমকানো মধ্যরাতে। সে ভয়ানক ঝড়ের রাতে মরক্কোর দুনিয়া নামের অভিযাত্রী মেয়েটি আমাকে আঁকড়ে বেঁচে ছিল ঝড়ের মাঝে সেই ভয়ানক ডালপালা ভেঙ্গে পড়া পথের মাঝে। 

আমি জর্জিয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হতে হতে বেঁচেছি পাহাড়ের বুকে বুক বিছিয়ে। আমি গুয়াতেমালা থেকে রক্তঝরা পায়ে এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া হয়ে কোস্টারিকা পর্যন্ত গিয়েছি লাল সবুজের পতাকা হাতে। আমি সুয়েজ খাল থেকে অভিযাত্রা করতে করতে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের সংযুক্তিতে পানামা খাল পর্যন্ত গিয়েছি। আমি তুরস্ক আর আর্মেনিয়ার আরারাত পর্বত ভাগাভাগি নিয়ে আরিয়ানার মুখে ইয়ারবান শহরের ডাউনটাউনে বসে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের হাহাকারের গল্প শুনেছি। আমি মৌরিতানিয়ায়র মালি দূতাবাসে প্যারিসের ছেলে ক্লারিয়ো'র চোখে বন্দি করে রাখা মাকে মালির ডেজার্টে উগ্রপন্থীর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার আকুতি দেখেছি। আবার আমি পশ্চিম সাহারা মরুভূমির বুকে চন্দ্র সুখ আবিষ্কার করতে করতে লিবিয়ার সাহারায ২০০ বছর বেঁচে থাকা কচ্ছপকে আবিষ্কার করেছি। আমি মরুভূমিতে বোরকা পরিহিত বেদুইন নারীর জীবনকে দেখতে দেখতে ইথিওপিয়ার হামার আদিবাসীর একখণ্ড কাপড় জড়িয়ে থাকা তরুণীর মাঝে জীবনের বৈচিত্র খুজে পেয়েছি। 

আমি আলবানিয়ার দেতি মাউন্টেন থেকে ছোট্ট একটি পর্বতকন্যার ঘাড়ে বিশাল কাঠের বোঝা নিয়ে নামতে দেখে কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। আবার আমি একই কষ্টকে দেখেছি ইথিওপিয়ার কনসো ভ্যালির আদিবাসী সেই ছোট্ট মেয়েটির ১০ কেজি ওজনের গ্যালন পানি নিয়ে ১২ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে। এভাবে পৃথিবীর মাঝে অচেনা মানুষের কষ্ট দেখে নিজেকে শুদ্ধ করেছি আমি বারবার। আমি শক্তি পেয়েছি বুর্কিনা ফাসোর ওয়াগাদু শহরের বুকে প্রচন্ড রোদের মাঝে তরুণীরা বোরকা পরে মাথার উপর তরকারির জুড়ি বেঁধে পেছনে ছোট বাচ্চাকে বেঁধে বাইক চালিয়ে যখন বাজারে যাচ্ছিল। প্রচন্ড তাপমাত্রায় তরকারি বিক্রি করতে করতে সেই ঘাম ঝরা পরিশ্রমী তরুণীদের চোখে মুখে আমি দেখেছি অপার শক্তির বিস্ময়! আমি নিজেকে আবিষ্কার করেছি ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ বিহীন প্রত্যন্ত আফ্রিকার আদিবাসীদের ছোট ছোট গ্রামে। 

আবার আমি সিয়েরা লিয়নের বন্ধু ডোরাকে বিদায় বলতে বলতে চেক রিপাবলিকের ব্রওনিয়োর সাথে গুয়াতেমালার ফিউগো ভলকানিক এন্টিগুয়া টাউনের বুকে হারিয়েছি। আমি রুয়ান্ডার আটকে পড়া সীমান্তের মাঝে সানতানিয়া মেয়েটির ভালোবাসা মেখে মেখে বুরুন্ডির এস্তাসকে খুঁজে পেয়েছি কিগালি শহরের রেস্তোরাঁর টেবিলে। আমি বতসোয়ানা থেকে সাউথ আফ্রিকার পথে যেতে যেতে ফ্রান্সিস টাউনের মেয়ে ইতুমেলেঙ্গের সাথে কাফেলা বেঁধেছি। সেই মেয়েটি জোহান্সবার্গ শহরে আমাকে কালো চাদরে জড়িয়ে কৌশলে রক্ষা করেছে ওই শহরের শটগান হাতে ঘোরা বেপরোয়া যুবকদের বুলেট থেকে। আমি জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের বুকে প্রবাহিত হওয়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের মাঝে ব্রিজে দাঁড়িয়ে ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক ছুঁয়ে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ১৭ কোটি মানুষের একটি বাংলাদেশকে বাকি পৃথিবীর প্রতিটি দেশে বয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছি। 

আমি আইভরিকোস্টের আসিনি দ্বীপের বাচ্চাদের মিষ্টি হাসি দেখতে দেখতে পৌঁছেছি ঘানা মিশনারীর বাচ্চাদের হাসিমাখা চাহনিতে। আমি আইরিশ এক যুবকের চাহনিতে কলম্বিয়ার পাস্তো সীমান্ত শহরের ভালোবাসা মেখে পাড়ি দিয়েছি চিলির আতাকামা চন্দ্র ভ্যালির ১০০ বছরেও বৃষ্টি না হওয়া নগরীতে। 

আমি কায়রো শহরের জাদুঘরে নিপাত হওয়া শক্তিশালী ফেরাউনের পড়ে থাকা দীর্ঘকায় দেহ দেখতে দেখতে আবার খুঁজে পেয়েছি ইথিওপিয়ার জাদুঘরে পৃথিবীর সবচেয়ে আদি দীর্ঘকায় নারী লুসির দেহের কঙ্কালসার। আমি প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের মোনালিসাকে দেখেছি পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনের পোর্তো নভোর আদিবাসী নারীর প্রতিবিম্বে আঁকা দেওয়াল চিত্রে। আমি তাইওয়ান থেকে ফিলিপাইনের পথে চীন সাগরের আকাশে প্লেন ক্রাশ হওয়া মুহূর্ত থেকে বাঁচতে বাঁচতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি ম্যানিলা শহরের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ইরাপশনের মাঝে। 
আমি ক্লান্ত হতাহত হয়ে হয়ে ম্যানিলায় মধ্যরাতের ঘুমের ভেতর বাবাকে স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেঁদে উঠেছি। বাবা আমাকে স্বপ্নের ভেতরে বলেছে-ভয় নেই! ভয় নেই! এই দেখো আমি আছি। ঘুম ভেঙ্গে দেখি বাবা নেই, কিন্তু আমার শক্তি আমি পেয়েছি বাবার দেখানো সেই স্বপ্ন থেকে। তারপর আমি এক সময় পৃথিবীর এই দুর্দান্ত দুর্ভোগে করোনার মাঝে পড়তে পড়তে স্মৃতির মাঝে তুরস্কের ব্লু মস্ক' থেকে ভেসে আসা আজানের ডাক শুনতে শুনতে বোর্নিও ব্রুনাইয়ের এক সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠি ওমর আলী মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ডাকে। আমার শেষ হয় আপাতত ১৪০ দেশ সফরের অভিযাত্রা আগামীর স্বপ্ন নিয়ে। 

তারপর আমি ফিরে আসি এক পৃথিবীর স্মৃতি নিয়ে নিজের আবাসস্থলে। পৃথিবী নামক এক শক্তিশালী ভালোবাসা আমার দরজায় কড়া নাড়ে। আমি পৃথিবীর মাঝে সেই শক্তিশালী ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। আমি যেন তাকে ফেলে আসা পৃথিবীর পথে পথে দেখি বারবার। সে আমার আজন্মের ভালোবাসা হয়ে উঠতে থাকে। আমি তাকে ভাসাতে পারি পুরো পৃথিবীর মাঝে। সে আমার পায়ে পায়ে জড়িয়ে যায়। সে আমায় পথ দেখায়। সে আমাকে বারবার বলতে থাকে বাকী পথতো আর বেশি দূর নয়, তোমাকে যে যেতেই হবে শেষ পর্যন্ত। সে আমার উৎসাহ, সে আমার স্বপ্নের মাঝে বসবাস করতে শুরু করে। সে আমার শক্তির কেন্দ্র হয়ে আমাকে তাড়িত করে বারবার। সে আমাকে ছায়া মায়া দিয়ে রাখে। সে আমাকে দূর থেকে ডাকে গভীর ভালোবাসা দিয়ে। সে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়। সে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সে আমার স্বপ্নের মাঝে বিভোর হয়ে আসে। সে আমাকে হারানোর অজানা ভয়ে অজানা কষ্টে কেঁদে ওঠে। সে আমার বিগত বিজয়ের অধ্যায়গুলো পড়ে পড়ে সুখ পেতে থাকে। সে আমার কষ্টগুলো পড়ে পড়ে আমাকে সাবধানী হতে বলে। 

আমি তাকে বিশ্বাস দিয়ে আঁকতে থাকি আগামী অভিযাত্রার মানচিত্রের মাঝে। আমি হাসিমুখে বলি পৃথিবীর আর কিছুটা পথ পাড়ি দিয়ে আমি ফিরে আসবো তার কাছে। সে আমার বাংলাদেশ। সে আমার বুক থেকে বেরিয়ে আসা দীর্ঘশ্বাস। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুকে একসাথ করি আমি এখন তার ভালোবাসায়। সে আমার ভালোবাসার স্পন্দনে জেগে উঠে শতবার। সে আমার লাল-সবুজের পতাকার চিহ্ন। আমি এখন টুকরো টুকরো স্বপ্ন আঁকি। আমি তাকে এঁকেছি পৃথিবীর পথে পথে। তার উন্মুখ ভালবাসায় গড়িয়ে পড়া চোখের জল ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়ের সীমান্তের সেই অস্থির জলপ্রপাত ফোজদু ইগূয়াজু'র হৃদয় বেয়ে পড়তে দেখেছি। 

তার চোখের জলের মাঝে আমি দুই সীমান্তের দূরত্বকে একাকার হতে দেখেছি। তার চোখের জলে ব্রাজিলের সেই অবিনশ্বর প্রপাতকে দেখেছি প্যারাগুয়ের হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে অবলীলায় বেগবান হতে। যেন ব্রাজিল প্যারাগুয়ের হৃদয়কে আর প্যারাগুয়ে ব্রাজিলের হৃদয়কে আঁকড়ে ধরে আছে সেই অনন্তকাল ধরে প্রবাহিত হতে হতে। তার চোখের জলের ভালোবাসা আমি দেখেছি সেই সীমান্তের বন্ধনে। আমি সেই জল স্পর্শ করে, আমার চোখে, মুখে, আমার শরীরে মেখেছি! আমি হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসা পথের ক্লান্তিকে শক্তি করে নিয়েছি তার চোখের জলে। তার ভেতরের শক্তি আমার ভেতরে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমি দিনকে শতাব্দি বানাচ্ছি, শতাব্দীকে দিন বানাচ্ছি। আমি কালকে মহাকাল বানাচ্ছি, মহাকালকে কালের স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমি একাকার হয়ে ভাসছি এই পথ ওই পথ ঘুরে।

তার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল দিয়ে আমি একত্র করেছি দূরত্বের বন্ধন। আমি পায়ে পায়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে তৈরি করেছি নিখুঁত ভালোবাসার ব্রিজ। যেখানে দাঁড়িয়ে আমি বলছি- এই পুরো পৃথিবী তোমার আমার সবার ঘর। এখানে শুধু আদি অন্তের প্রবাহে যা কিছু বিরাজমান রয়েছে তার সবকিছুর মাঝে সকল মানুষ একই সূত্রে গাঁথা! পৃথিবীর কাছ থেকে আমি শিখেছি কঠিন জিনিসকে কিভাবে সহজ করে ভাবতে হয়, কঠিন পথকে কিভাবে পাড়ি দিতে হয়, বিপদে কিভাবে কৌশল অবলম্বন করতে হয়, মানুষকে কিভাবে আপন করে নিতে হয়। 

আমরা সবাই এই মহাবিশ্বের খলিফা। জীবন ভ্রমণে আমরা এসেছি আবার এই ভ্রমণের শেষ হলে আমরা ফিরে যাবো নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তাই আমি পৃথিবী ভ্রমণ করছি সকল পাথর পথ ভেঙ্গে ভেঙ্গে। পৃথিবীকে দেখে দেখে আমি নিজেকে গড়ি প্রতিদিন, প্রতিবার। 

লেখক: বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী, ১৪০ দেশ ভ্রমণকারী।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সর্বশেষ খবর
লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব
লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি
রুশ হামলার একদিন পরেও নিখোঁজ ২২ : জেলেনস্কি

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ

৩৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা