শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:২৪, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

নাজমুন নাহার
অনলাইন ভার্সন
কেন আমি পৃথিবী ঘুরি?

চোখ বন্ধ করলেই আমি এখন এক মিনিটে পৃথিবী থেকে ঘুরে আসতে পারি, পৃথিবীকে ভালোবাসতে পারি। আমি এত শক্তি কোথায় পাই? সত্যি কথা, আমার ভাবনার মাঝেই সব শক্তি নিহিত। এ পৃথিবীকে দেখার জন্য আমার স্বপ্নই ছিল একমাত্র সম্বল। তারপর ধীরে ধীরে আমি স্বপ্ন আর ভাবনার শক্তিকে নিয়ে বাঁধার দেওয়ালগুলোকে ভেঙ্গেছি এক এক করে। বড় করে ভাবতে শিখিয়েছি নিজের স্বপ্নকে। আমি নিজেকে এখন পৃথিবীর মতো করে ভাবতে পারি। এই ভাবনাগুলো আমাকে শ্রেষ্ঠ সুখ দেয়।

পারবো না এই শব্দটিকে আমি কবর দিয়েছি। সব হবে, সব পারবো এমন পজেটিভ চিন্তা আমাকে ধাবিত করেছে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর পথে পথে। কিছুটা পথ পার হওয়ার পর আমি দেখলাম-''কোন ভাবনাকে গভীরভাবে ভালবাসালে সে ভাবনা ফুল হয়ে ফুটে।" 

আমি ধীরে ধীরে আমার ভাবনার গভীরে হারাতে থাকলাম, আমি সুন্দর করে ভাবতে ভাবতে অনেক ট্রেজার পেতে থাকলাম। আমি বুঝতে পেরেছি আমি এই পৃথিবীকে খুব গভীরভাবে ভালোবেসেছি। 'তারপর শুরু হলো আমার স্বপ্নের অভিযাত্রা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে আমি লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের চিহ্ন এঁকে দিতে পারবো। আমার ভেতর এই উন্মাদনা আমাকে তাড়িত করেছে ভীষণভাবে।

সুন্দর সুন্দর ভাবনাগুলো আমাকে অনেক সুন্দর সুন্দর পথে নিয়ে গেছে। যখনই হেরেছি আবার তখনই উঠে দাঁড়িয়েছি। আমার প্রতিদিনের উত্তেজনা এবং কৌতূহল বাড়তে থাকলো নতুন পরিবেশে বসবাস করার জন্য। নিজের দেশের বাইরে প্রথম যাত্রার পর আমি দেখতে পেয়েছি আমার জীবনযাত্রাই একমাত্র জীবনযাপন নয়। বিভিন্ন সংস্কৃতি, মূল্যবোধ আর এই অপরূপ পৃথিবীতে কত কি অপূর্ব জিনিস রয়েছে তা আমি না দেখলে বুঝতে পারতাম না, জানতে পারতাম না! আমি ধীরে ধীরে পৃথিবী দেখতে দেখতে আমার মনের ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছি। আমি শিখলাম পৃথিবীর বুকে হাঁটতে হাঁটতে-'বাহুবলের চেয়ে হৃদয়ের বল অনেক শক্তিশালী'। হৃদয়ের শক্তি দিয়ে অনেক কিছু জয় করা যায়। আমি বুঝতে পারলাম টাকাপয়সা দিয়ে ইমারত করা যায় কিন্তু পৃথিবীর এই বিস্তর পথে হাঁটা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছে শক্তি, মনের সাহস। তাই আমি সেই সাহসকে ধারণ করে সকল কষ্টকে হাতের মুঠোয় নিয়েছি পুরো পৃথিবীকে দেখার জন্য। 

তারপর, পাথর বাঁধ ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমি হেঁটেছি, কখনো কোন পর্বত ভ্যালিতে সূর্যোদয় উঠলে কেমন লাগে দেখতে তা দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছি দুর্গম পথে। কত না সুন্দর সেই সূর্যোদয়ের আলোর বিচ্ছুরণ। যা আমার শরীর মনক জাগ্রত করেছে। কোন অসম্ভবেই আমি ভেঙে পড়িনি।  

আমার চোখে যদি কখনো পানি ঝরতো আমি সে কান্নাকে পর্বত ছোঁয়ার শক্তিতে রূপান্তরিত করেছি। নতুন কোন দেশে যখন নতুন কিছু দেখতাম আমি উচ্ছ্বসিত হতাম, আমার অনেক খুশি লাগতো, আমার সুখটা ঝরে পড়তো চরম উচ্ছ্বাসে। তখন আমার পথের কষ্টগুলো ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যেত। 

আমার আরো ভালো লাগতো যখন আমি পৃথিবীর হাজার বর্ন আর রঙের মানুষের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতাম একই মানুষ হিসেবে। আমার ভেতরটা ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকলো। আমি জীবনের কুক্ষিগত চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকলাম ধীরে ধীরে। পৃথিবীর পথের মাঝে নানা রঙ্গের ধুলো বালির সাথি আমি নিজেকে রাঙাতে থাকলাম। সেই ধুলোবালি মেখে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে আরো পোক্ত করতে থাকলাম। আমি বুঝলাম স্বপ্ন থেমে থাকার নয়। আমি নিজেকে ভাসাতে থাকলাম ভারতের পাঁচমারির পর্বত ভ্যালি থেকে থেকে আইসল্যান্ডের ল্যান্ডমান্না লুগাড় ভ্যালিতে। তারপর আমি আটলান্টিক থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ক্যারাবিয়ান সাগরের নিজেকে ভাসাতে থাকলাম। 

আমি মহাসমুদ্র পার হয়ে বুলগেরিয়ার কৃষ্ণসাগর থেকে ভাসতে থাকলাম জর্ডানের মৃত সাগর পর্যন্ত। আবার আমি ভাসতে থাকলাম গ্রীসের আজিয়ানা সমুদ্র থেকে কোস্টারিকার প্যাসিফিক সমুদ্রের কনসাল সৈকত পর্যন্ত। আমি সেনেগালের গোলাপি রংয়ের রোসো নদী পার হতে হতে গাম্বিয়ার বাঞ্জুল নদীতে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে থাকলাম। আমি সুমেরীয় সভ্যতা থেকে পেরুর আদিম সভ্যতার চিহ্ন মাচুপিচুর আগুস কালিয়ানতেস টাউনের জলপ্রপাতের শব্দ শুনতে শুনতে কয়েক হাজার সিঁড়ি পার হয়ে উঠেছিলাম উরুবামবা পর্বতের চূড়ায়। 

তারপর আমি ১৪২০০ ফুট উঁচু রেইনবো পর্বত সামিটে যাওয়ার পথে শ্বাসরুদ্ধ আল্টিচুডের মাঝে মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছি লাল-সবুজ পতাকাকে সেই পর্বত সামিটে উড়িয়ে উড়িয়ে। আমি আমার ২৩ ঘণ্টার পর্বত ভ্যালিতে পায়ে হাঁটার অভিযাত্রাকে সম্ভব আমার মনের শক্তি দিয়ে। আমি পোর্তো রিকোর রেইনফরেস্ট থেকে ব্রাজিলের অ্যামাজন পর্যন্ত যাওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করেছি। আমি কলম্বিয়ার মেডিজিন শহর থেকে যেতে যেতে ইকুয়েডরের কিতো শহরের বিষুবরেখার উপরে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। 

আমি গিনি কোনাক্রির মধ্যরাতে জঙ্গলে আটকা পড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভয়াবহ পথ পাড়ি দিয়েছি লাল-সবুজের পতাকা মাথায় বেঁধে। ২৬ ঘণ্টা আটকে থাকার সেই ভয়াবহ রুদ্ধশ্বাস যাত্রাপথে আমি নিজেকে শক্ত রেখেছি। আমি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ থেকে গিনি কোনাক্রি যাত্রাপথে আড়াই দিন না খেয়ে থাকার সময় ভয়াবহ সময় পার করেছি।

পৃথিবীর বহু কঠিন পথকে অতিক্রম করার সেই মহাআনন্দে ভাসতে ভাসতে পৃথিবীর আরো অনেক কঠিন পথ আমি পাড়ি দিয়েছি একাই। আমি কেনিয়ার নাকুরু শহরের সাদা আর গোলাপী রঙের ফ্লামিংগো বক পাখির নৃত্য দেখতে দেখতে সোয়াজিল্যান্ড দেশের মানজিনি আদিবাসীদের নৃত্যের তালে তালে ঘুমিয়েছি পর্বত ভ্যালির কুঁড়েঘরে। আমি নীল নদের উৎস উগান্ডার জিনজা শহর থেকে মিশরের নীল নদের অন্ত পর্যন্ত গিয়েছি। আমি আর্জেন্টিনার মেন্দোজা শহরের উকো ভ্যালি থেকে উরুগুয়ের পূনতা ডেল এসতা পর্যন্ত বৃষ্টিঝরা পথের গভীর মমতা দেখতে দেখতে পার হয়েছি শত শত কিলোমিটার পথ। কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপ থেকে লাওসের ফোর থাউজেন্ড আইল্যান্ডে যাওয়ার পথে প্রচন্ড ঝড়ের মুখে পড়ে অভিযাত্রী কাফেলাদের সাথে সীমান্ত শহরে ভিড়েছি ভয়ানক বিজলী চমকানো মধ্যরাতে। সে ভয়ানক ঝড়ের রাতে মরক্কোর দুনিয়া নামের অভিযাত্রী মেয়েটি আমাকে আঁকড়ে বেঁচে ছিল ঝড়ের মাঝে সেই ভয়ানক ডালপালা ভেঙ্গে পড়া পথের মাঝে। 

আমি জর্জিয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হতে হতে বেঁচেছি পাহাড়ের বুকে বুক বিছিয়ে। আমি গুয়াতেমালা থেকে রক্তঝরা পায়ে এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া হয়ে কোস্টারিকা পর্যন্ত গিয়েছি লাল সবুজের পতাকা হাতে। আমি সুয়েজ খাল থেকে অভিযাত্রা করতে করতে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের সংযুক্তিতে পানামা খাল পর্যন্ত গিয়েছি। আমি তুরস্ক আর আর্মেনিয়ার আরারাত পর্বত ভাগাভাগি নিয়ে আরিয়ানার মুখে ইয়ারবান শহরের ডাউনটাউনে বসে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের হাহাকারের গল্প শুনেছি। আমি মৌরিতানিয়ায়র মালি দূতাবাসে প্যারিসের ছেলে ক্লারিয়ো'র চোখে বন্দি করে রাখা মাকে মালির ডেজার্টে উগ্রপন্থীর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার আকুতি দেখেছি। আবার আমি পশ্চিম সাহারা মরুভূমির বুকে চন্দ্র সুখ আবিষ্কার করতে করতে লিবিয়ার সাহারায ২০০ বছর বেঁচে থাকা কচ্ছপকে আবিষ্কার করেছি। আমি মরুভূমিতে বোরকা পরিহিত বেদুইন নারীর জীবনকে দেখতে দেখতে ইথিওপিয়ার হামার আদিবাসীর একখণ্ড কাপড় জড়িয়ে থাকা তরুণীর মাঝে জীবনের বৈচিত্র খুজে পেয়েছি। 

আমি আলবানিয়ার দেতি মাউন্টেন থেকে ছোট্ট একটি পর্বতকন্যার ঘাড়ে বিশাল কাঠের বোঝা নিয়ে নামতে দেখে কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। আবার আমি একই কষ্টকে দেখেছি ইথিওপিয়ার কনসো ভ্যালির আদিবাসী সেই ছোট্ট মেয়েটির ১০ কেজি ওজনের গ্যালন পানি নিয়ে ১২ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে। এভাবে পৃথিবীর মাঝে অচেনা মানুষের কষ্ট দেখে নিজেকে শুদ্ধ করেছি আমি বারবার। আমি শক্তি পেয়েছি বুর্কিনা ফাসোর ওয়াগাদু শহরের বুকে প্রচন্ড রোদের মাঝে তরুণীরা বোরকা পরে মাথার উপর তরকারির জুড়ি বেঁধে পেছনে ছোট বাচ্চাকে বেঁধে বাইক চালিয়ে যখন বাজারে যাচ্ছিল। প্রচন্ড তাপমাত্রায় তরকারি বিক্রি করতে করতে সেই ঘাম ঝরা পরিশ্রমী তরুণীদের চোখে মুখে আমি দেখেছি অপার শক্তির বিস্ময়! আমি নিজেকে আবিষ্কার করেছি ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ বিহীন প্রত্যন্ত আফ্রিকার আদিবাসীদের ছোট ছোট গ্রামে। 

আবার আমি সিয়েরা লিয়নের বন্ধু ডোরাকে বিদায় বলতে বলতে চেক রিপাবলিকের ব্রওনিয়োর সাথে গুয়াতেমালার ফিউগো ভলকানিক এন্টিগুয়া টাউনের বুকে হারিয়েছি। আমি রুয়ান্ডার আটকে পড়া সীমান্তের মাঝে সানতানিয়া মেয়েটির ভালোবাসা মেখে মেখে বুরুন্ডির এস্তাসকে খুঁজে পেয়েছি কিগালি শহরের রেস্তোরাঁর টেবিলে। আমি বতসোয়ানা থেকে সাউথ আফ্রিকার পথে যেতে যেতে ফ্রান্সিস টাউনের মেয়ে ইতুমেলেঙ্গের সাথে কাফেলা বেঁধেছি। সেই মেয়েটি জোহান্সবার্গ শহরে আমাকে কালো চাদরে জড়িয়ে কৌশলে রক্ষা করেছে ওই শহরের শটগান হাতে ঘোরা বেপরোয়া যুবকদের বুলেট থেকে। আমি জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের বুকে প্রবাহিত হওয়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের মাঝে ব্রিজে দাঁড়িয়ে ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক ছুঁয়ে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ১৭ কোটি মানুষের একটি বাংলাদেশকে বাকি পৃথিবীর প্রতিটি দেশে বয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছি। 

আমি আইভরিকোস্টের আসিনি দ্বীপের বাচ্চাদের মিষ্টি হাসি দেখতে দেখতে পৌঁছেছি ঘানা মিশনারীর বাচ্চাদের হাসিমাখা চাহনিতে। আমি আইরিশ এক যুবকের চাহনিতে কলম্বিয়ার পাস্তো সীমান্ত শহরের ভালোবাসা মেখে পাড়ি দিয়েছি চিলির আতাকামা চন্দ্র ভ্যালির ১০০ বছরেও বৃষ্টি না হওয়া নগরীতে। 

আমি কায়রো শহরের জাদুঘরে নিপাত হওয়া শক্তিশালী ফেরাউনের পড়ে থাকা দীর্ঘকায় দেহ দেখতে দেখতে আবার খুঁজে পেয়েছি ইথিওপিয়ার জাদুঘরে পৃথিবীর সবচেয়ে আদি দীর্ঘকায় নারী লুসির দেহের কঙ্কালসার। আমি প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের মোনালিসাকে দেখেছি পশ্চিম আফ্রিকার বেনিনের পোর্তো নভোর আদিবাসী নারীর প্রতিবিম্বে আঁকা দেওয়াল চিত্রে। আমি তাইওয়ান থেকে ফিলিপাইনের পথে চীন সাগরের আকাশে প্লেন ক্রাশ হওয়া মুহূর্ত থেকে বাঁচতে বাঁচতে নিজেকে আবিষ্কার করেছি ম্যানিলা শহরের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ইরাপশনের মাঝে। 
আমি ক্লান্ত হতাহত হয়ে হয়ে ম্যানিলায় মধ্যরাতের ঘুমের ভেতর বাবাকে স্বপ্ন দেখতে দেখতে কেঁদে উঠেছি। বাবা আমাকে স্বপ্নের ভেতরে বলেছে-ভয় নেই! ভয় নেই! এই দেখো আমি আছি। ঘুম ভেঙ্গে দেখি বাবা নেই, কিন্তু আমার শক্তি আমি পেয়েছি বাবার দেখানো সেই স্বপ্ন থেকে। তারপর আমি এক সময় পৃথিবীর এই দুর্দান্ত দুর্ভোগে করোনার মাঝে পড়তে পড়তে স্মৃতির মাঝে তুরস্কের ব্লু মস্ক' থেকে ভেসে আসা আজানের ডাক শুনতে শুনতে বোর্নিও ব্রুনাইয়ের এক সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠি ওমর আলী মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ডাকে। আমার শেষ হয় আপাতত ১৪০ দেশ সফরের অভিযাত্রা আগামীর স্বপ্ন নিয়ে। 

তারপর আমি ফিরে আসি এক পৃথিবীর স্মৃতি নিয়ে নিজের আবাসস্থলে। পৃথিবী নামক এক শক্তিশালী ভালোবাসা আমার দরজায় কড়া নাড়ে। আমি পৃথিবীর মাঝে সেই শক্তিশালী ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। আমি যেন তাকে ফেলে আসা পৃথিবীর পথে পথে দেখি বারবার। সে আমার আজন্মের ভালোবাসা হয়ে উঠতে থাকে। আমি তাকে ভাসাতে পারি পুরো পৃথিবীর মাঝে। সে আমার পায়ে পায়ে জড়িয়ে যায়। সে আমায় পথ দেখায়। সে আমাকে বারবার বলতে থাকে বাকী পথতো আর বেশি দূর নয়, তোমাকে যে যেতেই হবে শেষ পর্যন্ত। সে আমার উৎসাহ, সে আমার স্বপ্নের মাঝে বসবাস করতে শুরু করে। সে আমার শক্তির কেন্দ্র হয়ে আমাকে তাড়িত করে বারবার। সে আমাকে ছায়া মায়া দিয়ে রাখে। সে আমাকে দূর থেকে ডাকে গভীর ভালোবাসা দিয়ে। সে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়। সে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সে আমার স্বপ্নের মাঝে বিভোর হয়ে আসে। সে আমাকে হারানোর অজানা ভয়ে অজানা কষ্টে কেঁদে ওঠে। সে আমার বিগত বিজয়ের অধ্যায়গুলো পড়ে পড়ে সুখ পেতে থাকে। সে আমার কষ্টগুলো পড়ে পড়ে আমাকে সাবধানী হতে বলে। 

আমি তাকে বিশ্বাস দিয়ে আঁকতে থাকি আগামী অভিযাত্রার মানচিত্রের মাঝে। আমি হাসিমুখে বলি পৃথিবীর আর কিছুটা পথ পাড়ি দিয়ে আমি ফিরে আসবো তার কাছে। সে আমার বাংলাদেশ। সে আমার বুক থেকে বেরিয়ে আসা দীর্ঘশ্বাস। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুকে একসাথ করি আমি এখন তার ভালোবাসায়। সে আমার ভালোবাসার স্পন্দনে জেগে উঠে শতবার। সে আমার লাল-সবুজের পতাকার চিহ্ন। আমি এখন টুকরো টুকরো স্বপ্ন আঁকি। আমি তাকে এঁকেছি পৃথিবীর পথে পথে। তার উন্মুখ ভালবাসায় গড়িয়ে পড়া চোখের জল ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়ের সীমান্তের সেই অস্থির জলপ্রপাত ফোজদু ইগূয়াজু'র হৃদয় বেয়ে পড়তে দেখেছি। 

তার চোখের জলের মাঝে আমি দুই সীমান্তের দূরত্বকে একাকার হতে দেখেছি। তার চোখের জলে ব্রাজিলের সেই অবিনশ্বর প্রপাতকে দেখেছি প্যারাগুয়ের হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে অবলীলায় বেগবান হতে। যেন ব্রাজিল প্যারাগুয়ের হৃদয়কে আর প্যারাগুয়ে ব্রাজিলের হৃদয়কে আঁকড়ে ধরে আছে সেই অনন্তকাল ধরে প্রবাহিত হতে হতে। তার চোখের জলের ভালোবাসা আমি দেখেছি সেই সীমান্তের বন্ধনে। আমি সেই জল স্পর্শ করে, আমার চোখে, মুখে, আমার শরীরে মেখেছি! আমি হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসা পথের ক্লান্তিকে শক্তি করে নিয়েছি তার চোখের জলে। তার ভেতরের শক্তি আমার ভেতরে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমি দিনকে শতাব্দি বানাচ্ছি, শতাব্দীকে দিন বানাচ্ছি। আমি কালকে মহাকাল বানাচ্ছি, মহাকালকে কালের স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমি একাকার হয়ে ভাসছি এই পথ ওই পথ ঘুরে।

তার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল দিয়ে আমি একত্র করেছি দূরত্বের বন্ধন। আমি পায়ে পায়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে তৈরি করেছি নিখুঁত ভালোবাসার ব্রিজ। যেখানে দাঁড়িয়ে আমি বলছি- এই পুরো পৃথিবী তোমার আমার সবার ঘর। এখানে শুধু আদি অন্তের প্রবাহে যা কিছু বিরাজমান রয়েছে তার সবকিছুর মাঝে সকল মানুষ একই সূত্রে গাঁথা! পৃথিবীর কাছ থেকে আমি শিখেছি কঠিন জিনিসকে কিভাবে সহজ করে ভাবতে হয়, কঠিন পথকে কিভাবে পাড়ি দিতে হয়, বিপদে কিভাবে কৌশল অবলম্বন করতে হয়, মানুষকে কিভাবে আপন করে নিতে হয়। 

আমরা সবাই এই মহাবিশ্বের খলিফা। জীবন ভ্রমণে আমরা এসেছি আবার এই ভ্রমণের শেষ হলে আমরা ফিরে যাবো নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তাই আমি পৃথিবী ভ্রমণ করছি সকল পাথর পথ ভেঙ্গে ভেঙ্গে। পৃথিবীকে দেখে দেখে আমি নিজেকে গড়ি প্রতিদিন, প্রতিবার। 

লেখক: বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী, ১৪০ দেশ ভ্রমণকারী।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণে আরো জোর দিতে হবে
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
সর্বশেষ খবর
মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ
মেঘনায় ট্রলার ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান
জনগণই আওয়ামী লীগকে লকডাউন করেছে : সেলিমুজ্জামান

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা
নোংরা পরিবেশে ড্রিংক তৈরির অভিযোগে কারখানা সিলগালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
রাজাপুরে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন
কলাপাড়ায় স্কুলভিত্তিক আবহাওয়া ক্লাবের উদ্বোধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ
জকসু নির্বাচন ঘিরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি
গণভোটের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে একটি দল : তৃপ্তি

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা আটক

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু
সিলেটকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো হাসিনার মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম
ঢাকায় স্বাভাবিকভাবে চলছে গণপরিবহন, দূরপাল্লার যাত্রী কিছুটা কম

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘিরে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?
রুশ এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি গুপ্তচর?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার
সালাউদ্দিন টুকুর ছাতা উপহার

দেশগ্রাম

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন

ইকোনমিক জোন হবে আশাশুনি
ইকোনমিক জোন হবে আশাশুনি

দেশগ্রাম

নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক

নগর জীবন

নূরুল কবীর সম্পাদক পরিষদ সভাপতি
নূরুল কবীর সম্পাদক পরিষদ সভাপতি

নগর জীবন

চলতি মাসেই সাংবাদিক সুরক্ষা আইন পাস হবে
চলতি মাসেই সাংবাদিক সুরক্ষা আইন পাস হবে

নগর জীবন

স্বাগত জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট
স্বাগত জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট

নগর জীবন

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন

মানুষের প্রথম ও মৌলিক অধিকার হচ্ছে স্বাধীনতা
মানুষের প্রথম ও মৌলিক অধিকার হচ্ছে স্বাধীনতা

নগর জীবন