১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৩

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ পেলো হৃদস্পন্দন

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ পেলো হৃদস্পন্দন

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার।

বিশ্ববাসীর কাছে আজ এক অবাক বিস্ময়ের নাম সার্বভৌম বাংলাদেশ-যে দেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ছিলো শুধুই কষ্ট আর বেদনার পরতে পরতে মোড়ানো। তবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা ঘটনাপঞ্জিতে আলোকজ্যোতির উদগিরণ সময়ের বিচারে আমাদের অনন্য সত্তায় আচ্ছাদিত করেছে। বাঙালি জাতিকে গর্বে মাথা উঁচু করতে শিখিয়েছে, পৌঁছে দিয়েছে সুবিশাল উচ্চতায়। এই নত শিরের বাঙালি এমন অবস্থানে যে একদিনে যায়নি তার প্রমাণ কিংবা সাক্ষী তাও ওই ইতিহাসই বহন করে চলেছে। শোষিত বাঙালির প্রবঞ্চনা আর দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি যেমন একদিনে হয়নি, তেমনি তার পরিশোধনও স্বল্প সময়ে হয়নি-এ যে বহু পুরাতন!

সেই ১৯৪৭ থেকে শুরু হয়ে বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন অতঃপর শিক্ষা আন্দোলন পার হয়ে ১৯৬৬ সালের ছয় দফাতে গড়ায়-বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নের আকাঙ্ক্ষা চুরমার করতে আনা হয় ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। পরবর্তী সময়ে ছয় দফাকে একদফায় রূপদান শেষে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় বাঙালির ক্ষয়িষ্ণু মনে আশার আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়। সবশেষ একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির আড়ষ্টতা কাটিয়ে স্বাধীনতার শক্তি আধার রূপে সাড়ে সাত কোটি মানুষকে দীক্ষিত করলে তারা মরণপণ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়।

সর্বোপরি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত ধ্বনিতে এই বাংলার দামাল ছেলে, কৃষক-মজুর, কামার-কুমার-তাঁতী-জেলে, বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী, সাংবাদিক-কবি-লেখক, ভবঘুরেসহ সকলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হয়। ইতিহাসের এ সকল অবিচ্ছেদ্য ঘটনাপঞ্জির অমোঘ আধান ও মুক্তিযুদ্ধের অনন্য শক্তিধারের মূলে এক মহামানব, বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বাঙালির আঁধার ঘরের মানিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এতক্ষণে যে ঐতিহাসিক ক্ষণ ও ঘটনাপঞ্জি কিংবা আবহের বর্ণনা করা হয়েছে তার প্রতিটি পদক্ষেপেই যার অমর কীর্তি ও প্রজ্ঞালোক প্রেরণাদায়ক হয়ে বাঙালিকে সুসংগঠিত করেছে তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শোষিতের প্রতি তার মমত্ব ও আবেদন তাকে ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। তিনি তার কর্ম, গুণ ও প্রজ্ঞা দিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, হয়েছেন বাংলার মুক্তিদাতা মহান পুরুষ জনক জ্যোতির্ময়। সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিতের পথদ্রষ্টা হয়ে তিনি অর্জন করেছেন বিরল সম্মাননা। জাতি হিসেবে বাঙালিরা আজ গর্বে মাথা উঁচু করে বলতে পারে আমরা বাঙালি-আমরা বীরের জাতি, আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক।

আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু সদ্য স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির অনন্য কারিগর যার সম্মুখসমর, দিকনির্দেশনা, ভিশন-মিশনের আলোকে ও কঠিন ত্যাগে আমাদের এই সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান বিজয় অর্জন তখনও পর্যন্ত সেই মহামানবের কোনো সন্ধান নেই। কোথায় আছেন বাঙালি জাতির পিতা? কেমন আছেন তিনি? তার জন্য অপেক্ষারত সাড়ে সাত কোটি বাঙালি-তখনও যেন কেমন এক অসম্পূর্ণতা তাড়া করে ফিরছে সমগ্র বাংলাদেশকে। বাঙালির আকাঙ্ক্ষা ও অপেক্ষার পালা, অপেক্ষা যেন সমস্ত তরুলতা, বৃক্ষরাজি, আকাশ-বাতাস বাংলার শোষিত মানুষের, শুধুই এক মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য। আর কেনইবা হবে না এমন অপেক্ষার সারি দীর্ঘতম? এ তো স্বাধীন বাংলাদেশের অবয়ব তৈরি হয়েছে মাত্র-পোড়ামাটির ধ্বংসস্তুপ, লাশের ছড়াছড়ি, বেদনাহত সকল বাঙালির  হৃদয়ে যেন পূর্ণতার বিন্দুমাত্র লেশ নেই। অন্তরে আকাঙ্ক্ষা, কখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অবয়বে প্রাণ সঞ্চার হবে? কখন আসবেন তিনি? যিনি এই বাংলাকে, বাংলা ভাষাকে বাঙালির জন্য উপহার দিলেন, উপহার দিলেন আমাদের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা এবং আমার সোনার বাংলা সুমধুর জাতীয় সংগীত। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল কী সারা দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর অন্তরে দাগ কাটতে পারে?-যখন  আমাদের প্রবাহমান গতিধারাকে সামনে অগ্রসরের মহান নেতৃত্ব বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি? তাইতো বুঝি বাঙালির অপেক্ষার শেষ নেই। বাঙালির অন্তরে কামনা ফিরে পেতে তাদের স্বাধীনতার মহানায়ক মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে-যিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয়ের উন্মুক্ত বাতায়ন খুলে দিয়েছেন, অমানুষিক নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করে জীবনবাজি রেখে সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদের করে দিয়েছেন। তাইতো বাংলার মাটি, আকাশ-বাতাস মর্মর ধ্বনিতে অপেক্ষারত, অপেক্ষারত সকলেই বলছে-এসো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তোমার বিশাল হৃদয়ে আমাদের একটুখানি আশ্রয় দাও, আমরা একটু তোমার সাথে আলিঙ্গন করি, তোমার আবেশে আবেশিত হই।

অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চিত, শোষিত এবং নির্যাতিত মানুষের চিরকষ্ট ও বেদনার প্রচ্ছদ দূর করা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের পড়ন্ত বিকেলে তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান। সদ্য স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে যেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হৃদস্পন্দন পেলো-জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবয়বও পেল পূর্ণাঙ্গতা।

বঙ্গবন্ধু একটি খোলা ট্রাকে করে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষমাণ লাখো জনতার উদ্দেশে রওনা হন। বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নে বদ্ধপরিকর বঙ্গবন্ধু আবেগআপ্লুত হয়ে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন। মা-মাটি-মানুষের প্রতি দরদ তাকে সর্বদাই আবেশিত করতো-তিনি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ‘‘আজ আমি বক্তৃতা করতে পারছি না আপনারা বুঝতে পারেন। ‘নম নম নম সুন্দরী মম, জননী জন্মভূমি, গঙ্গার তীর সিক্ত সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।’  আমার জীবন যখন আমি ঢাকায় নামছি, তখন আমি চোখের পানি রাখতে পারি নাই। আমি জানতাম না, যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, যে বাংলাদেশকে আমি এত ভালবাসি, সেই বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা?  আজ আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, আমার ভাইদের কাছে, আমার মা’দের কাছে, আমার বোনদের কাছে, বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলার মানুষ আজ আমার স্বাধীন।”

আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির অনন্য কারিগর যার সম্মুখসমর, দিকনির্দেশনা, ভিশন-মিশনের আলোকে আমাদের এই সার্বভৌম বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন করে, সেই মহামানবের জন্য অপেক্ষারত সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে উজ্জীবিত করতেই কি তবে আজ থেকে নয় দশক পূর্বে আমাদের প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন-
“শিখরে শিখরে কেতন তোমার
রেখে যাবে নব নব,
দুর্গম-মাঝে পথ করে দিবে ...
জীবনের ব্রত তব।”

এ যেন রাজনীতির মহাকবি, বাঙালির মুক্তিদাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের অনুসঙ্গ। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ সংকটকালেও তোমার সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্যুত হবে না। তাইতো সকল দেশবাসীর কামনা-এসো বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা তোমার বিশাল হৃদয় আমাদের যে ঋণের ভারে জর্জরিত করেছে সেই ঋণকে আরো একটু সম্প্রসারিত করো, বিনম্র চিত্তে তোমার আকাঙ্ক্ষায় আমাদের উদ্দীপ্ত করো। এদেশ বিনির্মাণে তোমার কর্মপরিকল্পনা ও প্রত্যয় গর্ব ও অহংকারের প্রাচুর্য হয়ে সারা বিশ্বে বিচ্ছুরিত হোক সূর্যের আলোকচ্ছটার ন্যায়। 

গণমানুষের সম্পৃক্তকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সত্ত্বার জাগরণ ঘটানোর কঠিন মনোবল, অনুধাবন ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানবহিতৈষী মনোভাব যে বাঙালির মুক্তির উপায় তা তিনি হৃদয়ে ধারণ করতেন বলেই বঙ্গবন্ধু বাঙালির অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। তাইতো তার আহ্বান আপামর জনতার কাছে শুধুমাত্র আহ্বানই ছিলোনা, তা ছিলো আজ্ঞা পালনের ব্রত। এই ব্রতের গুণেই বাঙালি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর দক্ষ নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার দুর্লভ স্বাক্ষর রাখতে পেরেছে। নেতৃত্বের প্রজ্ঞা ও সৌজন্যের কারণেই যেমন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার আগেই পরম বন্ধু ভারতের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে সেদেশ হয়ে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তেমনি দেশের স্বার্থের বাইরে কোনো আপস নয়-এ ব্যাপারে দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণেই স্বাধীনতার সহযোগী পরম বন্ধু যশ্বস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে পারেন বাংলাদেশ থেকে দ্রুত ভারতীয় সেনা ফেরত নেওয়ার কথা। দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের কাজে সফলতার সাথে আত্মনিয়োগ করতে পেরেছিলেন-বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ শুরু করেছিলেন, শুধুই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে। শত রিক্ততার বক্ষ ভেদি বঙ্গবন্ধু বাঙালির জীবনের জয় ছিনিয়ে আনতে মেধা ও মননে প্রকৃত চিত্তাকর্ষক শক্তির যোগসূত্র স্থাপনসহ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আলোকে কর্মসম্পাদন শুরু করেছিলেন। শুরু করেছিলেন হাজারো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, বহুমাত্রিক পরিকল্পনা নিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ। এ যেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি- 

“রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন। ব্যক্ত হোক জীবনের জয়...” -এর  মতো করেই জীবনের জয়গানে বাঙালিকে স্বনির্ভরতায় পূর্ণ করার কাজ, বাঙালির দুঃখ মোচনের কাজ। কিন্তু একদল লোভী, ভিরু কাপুরুষ, এদেশীয় স্বার্থন্বেষী চক্র তথা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা তা শেষ করতে দিল না। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে বর্বরোচিত কায়দায় নির্মমভাবে হত্যা করে। শারীরিকভাবে তিনি আর আমাদের মাঝে ফিরবেন না একথা ঠিক তবে তার দেখানো পথে, পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাঙালি অনুরণিত হয়ে চলেছে এবং ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে তার অনন্য সৃষ্টি। বাংলা, বাঙালি আর বঙ্গবন্ধুকে কখনও আলাদা করা যাবে না-যাবে না বঙ্গবন্ধুর অমিয়ধারা মুছে ফেলা। তাইতো পঞ্চাশ বছর পরও জাতির পিতার আবেশধন্য হয়ে বর্তমান প্রজন্ম শত-সহস্রাধিক আঙ্গিকে তাকে নিজ নিজ কর্মে পেতে অপেক্ষারত। যতদিন এ পৃথিবীর গতি অব্যাহত থাকবে ততদিন আমাদের এই অনন্ত চাওয়ার মাঝেই বাঙালির প্রাণপুরুষ জাতিরাষ্ট্রের স্রষ্টা বেঁচে থাকবেন। হে পিতা, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিনম্রচিত্তে জানাই তোমায় শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক : প্রফেসর, পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর