শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:০৮, বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা নিয়ে আলোচনার আগে বিএনপি- জামায়াতের শাসনামলের একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছি।  

আচরণে ছটফটে, চোয়াল ও চিবুক থেকে একগুচ্ছ দাড়ি না ঝুললেও মাথার ওপর তেছড়া করে বসানো একটি মুখাবয়ব-এমন মূর্তিতে একটা লোককে দ্রুতপদে হেঁটে চলে যেতে দেখেছিলাম, তখন তাঁর দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল যে, চার্লি চ্যাপলিন ও ক্ষুদে পুরোহিত মিলিয়ে তৈরি একটি মূর্তি চলে যাচ্ছে। তার দু'চোখের দৃষ্টি সোনামুখি সূচের মুখের মতো তীক্ষ্ণ। যার দিকে তাকায় তার দেহে যেন সেই দৃষ্টি বিঁধতে থাকে। শত্রুমিত্র উভয়কেই সন্ত্রস্ত করে তোলার মতোই তাঁর চোখ। প্রতিহিংস কীটের প্রকৃতিতে একটা উদ্ভট কিছু রয়েছে। মেজাজ চড়িয়ে যখনই কথা বলেন তখনই বোঝা যায়, আজগুবি ও অবাস্তব কতগুলো ধারণায় তার মন ভরে রয়েছে। সে নিতান্ত হুজুগবাজ। মানসিক ব্যাধির মতো একটা ক্ষমতাবোধের মোহ তার মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। নিজের ক্ষমতা সম্বন্ধে ধারণা বাস্তবতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দলটি ছেড়ে চলে গেছেন অনেকেই যারা তার পিতার সাহচর্যে বেড়ে উঠেছিলেন। আর এখন যারা নেতা রয়েছেন, তারা কতগুলো খড়ের তৈরি দুর্বল মানুষ মাত্র।

লোকটির ত্রাস সঞ্চারকারী জিঘাংসা ও ক্রোধের জোর সফল হয়ে উঠতে পারেনি। ২৪টি লাশ অবশ্য ঝরেছে। ভয়ংকর ওই চোখ ফাঁকি দিয়ে মূল টার্গেট হওয়া ব্যক্তিটি প্রাণে বেঁচে যান,-যা ছিল নিতান্তই অলৌকিক এক ঘটনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই আগস্টকে ফের রক্তাক্ত করার ঘোষণা নতুন নয় বরং বারবার উচ্চারিত হয়েছে তার গুরুজনদের থেকে।  

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এই উক্তিটির কারণে কারো বুক ধরফর করে কিনা জানিনা-তবে আব্দুল জলিলের "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলার সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে না ফেলাই ভালো। আওয়ামী লীগের ভান্ডারে মুক্তিযুদ্ধসহ গণ-অভ্যুত্থানের নানা সাফল্য থাকলেও ওই "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলাকে মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল জলিল ওই ফর্মুলা দিয়ে বরং নেতাকর্মীদের বিপদে ঢেলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ঘাবড়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে "জনতার মঞ্চ" অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মুখে তাদের ক্ষমতাচ্যুতির অতীতটা এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছিল। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব প্রতিহিংসার পাল্টা একটা তত্ত্ব হলে ভালো। আর যদি পরিকল্পিত কোন ফর্মুলা হয়ে থাকে তাহলে তা প্রকৃতি কি হবে? কারারুদ্ধ বেগম জিয়াকে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে বের করে আনবেন তারা? মানে কি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে। অবশ্য এ পরিকল্পনা একেবারে অগণতান্ত্রিক নয়, গণঅভ্যুত্থানের একাধিক ইতিহাস রয়েছে। যা আমাদের হৃদয়কে এখনও উদ্বেলিত করে। 

ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটেছিল। তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চুলোয় দিয়ে মুক্তি দিতে হয়েছিল শেখ মুজিবকে। জনসমুদ্র শেখ মুজিবকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধি দেয় বটে কিন্তু তাঁর কথায় কিন্তু দেশ চলেনি। শাসনক্ষমতায় আইয়ুবের স্থলে আরেক জেনারেল ইয়াহিয়ার আবির্ভাব ঘটেছিল। এ সবই অর্জনের মূলে ছিল আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও দশ নেতার নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা। বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে হুট করে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়নি। সত্তরের অবাধ নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ রায় অর্জন করতে হয়েছে। একাত্তরের মার্চে ন্যায়সঙ্গত ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্র যখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-তখনই জনগণ গর্জে উঠেছে। এরপর থেকেই কার্যত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। ২৫ মার্চ গণহত্যারর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও তাঁরই নির্দেশনায় মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। 

কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটি গণসংগঠনের পক্ষে এ যাবৎ কোন অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার নজীর নেই। বরং নির্বাচিত ক্ষমতাসীন হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগকেই দু-দুবার সামরিক অভ্যুত্থানের লেবাস দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। প্রথমবার ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। প্রসঙ্গত ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করলেও মোট ২৩৭টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই লাভ করে ১৪৩টি। অপরদিকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে শেরেবাংলার কেএসপি পায় মাত্র ৪০টি আসন। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী মোটে ৯টি আসনই পেয়েছিল। প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলেও তা করেনি। যুক্তফ্রন্ট চুক্তিতে ছিল, প্রাদেশিক পরিষদ নেতা অর্থাৎ পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন শেরেবাংলা আর পাকিস্তান গণপরিষদ নেতা হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাই হয়েও ছিলেন তারা। অবিভক্ত বাংলার দুই প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর ত্রিমুখী কোন্দলের মুখে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় সেই বিজয় ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ১৩ মাস সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান এবং আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে পূর্বপাকিস্তান শাসন করলেও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে দেশবিদেশে নানারকম ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধারণা করছে। জন্মলগ্ন থেকেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান দলটির নীতিনৈতিকতায় ফুটে ওঠে। 

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দলটির আত্মপ্রকাশই ঘটেছিলো-নিম্নে উপর্যুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে।
"সাম্রাজ্যবাদী-সরীসৃপের ফোঁসফোঁস শব্দ সমাজের আনাচে-কানাচে সর্বত্র শোনা যাইতেছে-সেই ফোঁসফোঁস শব্দ যেন এই যুগের সঙ্গীত। আমাদের কওমী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী মুসলিম লীগ এই সরীসৃপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইয়া তাহাদের বিষদাঁত উৎপাটন করিতে বদ্ধপরিকর।"

পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম মেনিফেস্টোর ভাষা ছিলো এমনই। কালক্রমে মেনিফেস্টো থেকে কথাগুলো উধাও হয়েছে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের সেই ফোঁসফোঁস শব্দগুলো এখনও কি আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না? আওয়ামী লীগকে সরীসৃপের বিরুদ্ধে তেইশ বছর সংগ্রাম করে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ এবং পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রূপান্তর ঘটলেও সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। বরং স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের চার নেতার জীবনও কেড়ে নেয়।

খুনি মোশতাক রাষ্ট্রপতির ভাষণে বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে অন্যকোনো পন্থায় ক্ষমতা থেকে সরানোর পথ সামনে না থাকায় সামরিক বাহিনীকে এই হত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হতেন না আর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিটটা আসলে হত্যাকারীও নিতে পারেনি বরং পুরোপুরি নিয়েছেন জেনারেল জিয়া। সেই সূত্র ধরেই তো বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের রাজনীতি। স্বভাবতই এটা তারা মনপ্রাণে বিশ্বাস করে বলেই বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার সহ্য করতে পারেন না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা হীন চিন্তারই ফলশ্রুতি। 

দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি বা বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের কোন কর্মসূচিও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে ১০ ডিসেম্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে কি কারণে? তাহলে কী
আরও একটি ২১ আগস্টের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসরমান তারা? ক্ষমতায় থেকে গোটা প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলাও যখন জাতির পিতার কন্যার লক্ষভ্রষ্ট হয়, তখন ক্ষমতার বাইরে থেকে বর্তমান শোচনীয় অবস্থায় আরেকটি গ্রেনেড হামলার চিন্তা নিশ্চয়ই করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহনের দিন আর নেই। আমি একটি টকশোতে বলেছিলাম, সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো একটি রাজনৈতিক দলপ্রধানের হাত থেকে সেনানিবাসের বাড়িটির দখল অবমুক্তকরণ। এখন যেমনি করে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত হতে পারছে-সেটা সেনানিবাসের বাড়ি অবমুক্ত করা না হলে সম্ভব হতো না। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত এখনও ছোবল দিতে চাইবে-কিন্তু তাই বলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নতজানু অবস্থান গ্রহণ করবেন-তা হতে পারে না। বিশেষত যে দল স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী, সেই দলের প্রধান আর তিনি যদি হন জাতির পিতা কন্যা তবে তো নতজানুর প্রশ্নই নেই। এজন্য বীরদর্পে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে অন্যের মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে-অথচ তাদের দেশেই অনেক হত্যার বিচার হয় না। মানবাধিকারের কথা বলা হয় অথচ, আমার মা-বাবা-ভাইদের হত্যাকারীদের ঠাঁই দেয়। দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে দেয় না। 

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের মূলেও ছিল বিদেশী ষড়যন্ত্র। দেশ-জাতির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক মধুর নয়, এটাকে পূঁজি করতে চাচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহানুভূতিও যথেষ্ট রয়েছে। বিরোধীদের ক্ষমতায় ফিরতে হলে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতাদখল করে দল গঠনের যে নজীর সৃষ্টি করেছেন, এখনকার বাস্তবতায় সেই সুযোগও নেই। 

"মানবতার চূড়ান্ত মুক্তি সংগ্রাম যাহাতে বিলম্বিত না হয়, সেজন্য জনতাকে তাহাদের সমস্ত ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভেদ বিসর্জন দিয়া এককাতারে সমবেত হইতে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন আবেদন জানাইতেছে"-এই উচ্চারণ করেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। জনতা ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েই রচনা করেছিলো, চুয়ান্নোর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নোর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতায় লেপ্টে আছে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত এবং আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। জনতা ঠিকই আওয়ামী লীগের আহবানে নিজেদের উৎসর্গ করেছিল, কিন্তু দলগত বিভেদ বিসর্জন দেয়ার আহবান নেতাদের মধ্যে পুরোপুরি সাড়া ফেলতে পারেনি। যে কারণে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়লাভের পরও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। 

আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন সদস্য শেরেবাংলার কেএসপিতে এবং আওয়ামী লীগ ভেঙে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ হলে প্রায় ২৪ জন সদস্য আইন পরিষদে ফ্লোরক্রসিং করেন। গোলাম মোহাম্মদ ও ইস্কান্দার মির্জা আওয়ামী লীগ ও কেএসপির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকটতর করে তোলেন যে আইন পরিষদ কক্ষেই স্পিকার শাহেদ আলী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সুযোগে ইস্কান্দার মির্জাকে খেদিয়ে আইয়ুব খান দশ বছরের জন্য বাঙালিকে গোলাম করে রাখেন। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই বাহাত্তরের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি বিধান করে ফ্লোর ক্রসিং বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ এক দলের প্রতীকে বিজয়ী হয়ে আরেক দলে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়। সবকিছুতেই জনতা সমস্ত ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েছিল। বিসর্জন দেয়নি বরং নেতারাই। তারা অনেকে ছয় দফার বিরোধিতা করেন। আবার অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নেতারাই দলে দলে গিয়ে খুনি মোশতাকের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছে। ওয়ান ইলেভেনকালীনও আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার প্রতি দলীয় নেতাদের আস্থা আনুগত্যের পরিমাণ। 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই যে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসলেও সরকারের ভেতরেই ভূত চেপে বসেছিল। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন, সিইসি সাঈদ, সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন সবই আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত। এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাকে মনে করা হচ্ছিল নির্ভেজাল। কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল হলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিপর্যয়ের। ওই ফলাফলের জের দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে হত্যা, ধর্ষণ আর সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনে। সেই বিভীষিকার কথা মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।

আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে কঠিনতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। বহু নেতাকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের হাতে জীবন দিতে হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া এমপি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি, মমতাজ উদ্দিন, মঞ্জুরুল ইমাম এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ শীর্ষনেতারা বেঁচে গেলেও জীবন কেড়ে নেয় নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান, মোস্তাক আহমেদ সেন্টুসহ ২৫ নেতাকর্মীর। এই আগস্টেই দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের কথা মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হেফাজতের তাণ্ডবের কথাও তো সেদিনকারের ঘটনা। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা যায়নি আজও। ১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে-বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু চলছে। এই সব ভ্রান্ত তত্ত্ব দিয়ে বিএনপির সাধারণ কর্মীদের বিপথগামী পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এতে করে সরকারের সুযোগ হবে কর্মীদের গণহারে জেল-জুলুমের শিকার হতে। আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল ৩০ এপ্রিল ফর্মুলা দিয়ে হাস্যকরে পরিণত হয়েছিলেন-তার কোন ক্ষতি হয়নি-ক্ষতি যা হবার সাধারণ নেতাকর্মীদের হয়েছিল। কৃতবিদ্য মানুষের মনের সুক্ষ্ম অনুভূতি ও আবেদন নিজের মন দিয়ে উপলব্ধি করার শক্তি ও ক্ষমতা নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধু কন্যার আছে। তাই সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রুখে দেয়ার সাহসও তার আছে। যে সাহস শেখ হাসিনাকে দিয়েছে সততা ও দেশপ্রেম। 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

এই মাত্র | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু
বরিশালে দুর্ঘটনায় মুদি দোকানির মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে
সরকার ৫ দেশে নতুন মিশন খুলছে

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
বগুড়ায় পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা
কলাপাড়ায় শিয়াল শিকারের অপরাধে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন
বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন
অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন
ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের ডান পা বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন