শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:০৮, বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা

বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব ও আওয়ামী লীগের নীতি নৈতিকতা নিয়ে আলোচনার আগে বিএনপি- জামায়াতের শাসনামলের একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছি।  

আচরণে ছটফটে, চোয়াল ও চিবুক থেকে একগুচ্ছ দাড়ি না ঝুললেও মাথার ওপর তেছড়া করে বসানো একটি মুখাবয়ব-এমন মূর্তিতে একটা লোককে দ্রুতপদে হেঁটে চলে যেতে দেখেছিলাম, তখন তাঁর দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল যে, চার্লি চ্যাপলিন ও ক্ষুদে পুরোহিত মিলিয়ে তৈরি একটি মূর্তি চলে যাচ্ছে। তার দু'চোখের দৃষ্টি সোনামুখি সূচের মুখের মতো তীক্ষ্ণ। যার দিকে তাকায় তার দেহে যেন সেই দৃষ্টি বিঁধতে থাকে। শত্রুমিত্র উভয়কেই সন্ত্রস্ত করে তোলার মতোই তাঁর চোখ। প্রতিহিংস কীটের প্রকৃতিতে একটা উদ্ভট কিছু রয়েছে। মেজাজ চড়িয়ে যখনই কথা বলেন তখনই বোঝা যায়, আজগুবি ও অবাস্তব কতগুলো ধারণায় তার মন ভরে রয়েছে। সে নিতান্ত হুজুগবাজ। মানসিক ব্যাধির মতো একটা ক্ষমতাবোধের মোহ তার মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। নিজের ক্ষমতা সম্বন্ধে ধারণা বাস্তবতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দলটি ছেড়ে চলে গেছেন অনেকেই যারা তার পিতার সাহচর্যে বেড়ে উঠেছিলেন। আর এখন যারা নেতা রয়েছেন, তারা কতগুলো খড়ের তৈরি দুর্বল মানুষ মাত্র।

লোকটির ত্রাস সঞ্চারকারী জিঘাংসা ও ক্রোধের জোর সফল হয়ে উঠতে পারেনি। ২৪টি লাশ অবশ্য ঝরেছে। ভয়ংকর ওই চোখ ফাঁকি দিয়ে মূল টার্গেট হওয়া ব্যক্তিটি প্রাণে বেঁচে যান,-যা ছিল নিতান্তই অলৌকিক এক ঘটনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই আগস্টকে ফের রক্তাক্ত করার ঘোষণা নতুন নয় বরং বারবার উচ্চারিত হয়েছে তার গুরুজনদের থেকে।  

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এই উক্তিটির কারণে কারো বুক ধরফর করে কিনা জানিনা-তবে আব্দুল জলিলের "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলার সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে না ফেলাই ভালো। আওয়ামী লীগের ভান্ডারে মুক্তিযুদ্ধসহ গণ-অভ্যুত্থানের নানা সাফল্য থাকলেও ওই "ত্রিশ এপ্রিল" ফর্মুলাকে মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল জলিল ওই ফর্মুলা দিয়ে বরং নেতাকর্মীদের বিপদে ঢেলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ঘাবড়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে "জনতার মঞ্চ" অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মুখে তাদের ক্ষমতাচ্যুতির অতীতটা এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছিল। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর তত্ত্ব প্রতিহিংসার পাল্টা একটা তত্ত্ব হলে ভালো। আর যদি পরিকল্পিত কোন ফর্মুলা হয়ে থাকে তাহলে তা প্রকৃতি কি হবে? কারারুদ্ধ বেগম জিয়াকে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে বের করে আনবেন তারা? মানে কি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে। অবশ্য এ পরিকল্পনা একেবারে অগণতান্ত্রিক নয়, গণঅভ্যুত্থানের একাধিক ইতিহাস রয়েছে। যা আমাদের হৃদয়কে এখনও উদ্বেলিত করে। 

ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটেছিল। তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চুলোয় দিয়ে মুক্তি দিতে হয়েছিল শেখ মুজিবকে। জনসমুদ্র শেখ মুজিবকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধি দেয় বটে কিন্তু তাঁর কথায় কিন্তু দেশ চলেনি। শাসনক্ষমতায় আইয়ুবের স্থলে আরেক জেনারেল ইয়াহিয়ার আবির্ভাব ঘটেছিল। এ সবই অর্জনের মূলে ছিল আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও দশ নেতার নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা। বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে হুট করে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়নি। সত্তরের অবাধ নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ রায় অর্জন করতে হয়েছে। একাত্তরের মার্চে ন্যায়সঙ্গত ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্র যখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-তখনই জনগণ গর্জে উঠেছে। এরপর থেকেই কার্যত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। ২৫ মার্চ গণহত্যারর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও তাঁরই নির্দেশনায় মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। 

কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটি গণসংগঠনের পক্ষে এ যাবৎ কোন অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার নজীর নেই। বরং নির্বাচিত ক্ষমতাসীন হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগকেই দু-দুবার সামরিক অভ্যুত্থানের লেবাস দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। প্রথমবার ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। প্রসঙ্গত ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করলেও মোট ২৩৭টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই লাভ করে ১৪৩টি। অপরদিকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে শেরেবাংলার কেএসপি পায় মাত্র ৪০টি আসন। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভবিষ্যত বাণী অনুযায়ী মোটে ৯টি আসনই পেয়েছিল। প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলেও তা করেনি। যুক্তফ্রন্ট চুক্তিতে ছিল, প্রাদেশিক পরিষদ নেতা অর্থাৎ পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন শেরেবাংলা আর পাকিস্তান গণপরিষদ নেতা হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাই হয়েও ছিলেন তারা। অবিভক্ত বাংলার দুই প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর ত্রিমুখী কোন্দলের মুখে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় সেই বিজয় ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ১৩ মাস সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান এবং আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে পূর্বপাকিস্তান শাসন করলেও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে দেশবিদেশে নানারকম ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধারণা করছে। জন্মলগ্ন থেকেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান দলটির নীতিনৈতিকতায় ফুটে ওঠে। 

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দলটির আত্মপ্রকাশই ঘটেছিলো-নিম্নে উপর্যুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে।
"সাম্রাজ্যবাদী-সরীসৃপের ফোঁসফোঁস শব্দ সমাজের আনাচে-কানাচে সর্বত্র শোনা যাইতেছে-সেই ফোঁসফোঁস শব্দ যেন এই যুগের সঙ্গীত। আমাদের কওমী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী মুসলিম লীগ এই সরীসৃপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইয়া তাহাদের বিষদাঁত উৎপাটন করিতে বদ্ধপরিকর।"

পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম মেনিফেস্টোর ভাষা ছিলো এমনই। কালক্রমে মেনিফেস্টো থেকে কথাগুলো উধাও হয়েছে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের সেই ফোঁসফোঁস শব্দগুলো এখনও কি আওয়ামী লীগ শুনতে পায় না? আওয়ামী লীগকে সরীসৃপের বিরুদ্ধে তেইশ বছর সংগ্রাম করে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ এবং পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রূপান্তর ঘটলেও সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। বরং স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের চার নেতার জীবনও কেড়ে নেয়।

খুনি মোশতাক রাষ্ট্রপতির ভাষণে বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে অন্যকোনো পন্থায় ক্ষমতা থেকে সরানোর পথ সামনে না থাকায় সামরিক বাহিনীকে এই হত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হতেন না আর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিটটা আসলে হত্যাকারীও নিতে পারেনি বরং পুরোপুরি নিয়েছেন জেনারেল জিয়া। সেই সূত্র ধরেই তো বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের রাজনীতি। স্বভাবতই এটা তারা মনপ্রাণে বিশ্বাস করে বলেই বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার সহ্য করতে পারেন না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা হীন চিন্তারই ফলশ্রুতি। 

দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি বা বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের কোন কর্মসূচিও দেখা যাচ্ছে না। তাহলে ১০ ডিসেম্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে কি কারণে? তাহলে কী
আরও একটি ২১ আগস্টের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসরমান তারা? ক্ষমতায় থেকে গোটা প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলাও যখন জাতির পিতার কন্যার লক্ষভ্রষ্ট হয়, তখন ক্ষমতার বাইরে থেকে বর্তমান শোচনীয় অবস্থায় আরেকটি গ্রেনেড হামলার চিন্তা নিশ্চয়ই করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহনের দিন আর নেই। আমি একটি টকশোতে বলেছিলাম, সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো একটি রাজনৈতিক দলপ্রধানের হাত থেকে সেনানিবাসের বাড়িটির দখল অবমুক্তকরণ। এখন যেমনি করে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত হতে পারছে-সেটা সেনানিবাসের বাড়ি অবমুক্ত করা না হলে সম্ভব হতো না। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত এখনও ছোবল দিতে চাইবে-কিন্তু তাই বলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নতজানু অবস্থান গ্রহণ করবেন-তা হতে পারে না। বিশেষত যে দল স্বাধীনতার নেতৃত্বাদানকারী, সেই দলের প্রধান আর তিনি যদি হন জাতির পিতা কন্যা তবে তো নতজানুর প্রশ্নই নেই। এজন্য বীরদর্পে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে অন্যের মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে-অথচ তাদের দেশেই অনেক হত্যার বিচার হয় না। মানবাধিকারের কথা বলা হয় অথচ, আমার মা-বাবা-ভাইদের হত্যাকারীদের ঠাঁই দেয়। দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে দেয় না। 

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের মূলেও ছিল বিদেশী ষড়যন্ত্র। দেশ-জাতির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক মধুর নয়, এটাকে পূঁজি করতে চাচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহানুভূতিও যথেষ্ট রয়েছে। বিরোধীদের ক্ষমতায় ফিরতে হলে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতাদখল করে দল গঠনের যে নজীর সৃষ্টি করেছেন, এখনকার বাস্তবতায় সেই সুযোগও নেই। 

"মানবতার চূড়ান্ত মুক্তি সংগ্রাম যাহাতে বিলম্বিত না হয়, সেজন্য জনতাকে তাহাদের সমস্ত ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভেদ বিসর্জন দিয়া এককাতারে সমবেত হইতে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন আবেদন জানাইতেছে"-এই উচ্চারণ করেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। জনতা ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েই রচনা করেছিলো, চুয়ান্নোর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নোর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতায় লেপ্টে আছে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত এবং আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। জনতা ঠিকই আওয়ামী লীগের আহবানে নিজেদের উৎসর্গ করেছিল, কিন্তু দলগত বিভেদ বিসর্জন দেয়ার আহবান নেতাদের মধ্যে পুরোপুরি সাড়া ফেলতে পারেনি। যে কারণে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়লাভের পরও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। 

আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন সদস্য শেরেবাংলার কেএসপিতে এবং আওয়ামী লীগ ভেঙে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ হলে প্রায় ২৪ জন সদস্য আইন পরিষদে ফ্লোরক্রসিং করেন। গোলাম মোহাম্মদ ও ইস্কান্দার মির্জা আওয়ামী লীগ ও কেএসপির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকটতর করে তোলেন যে আইন পরিষদ কক্ষেই স্পিকার শাহেদ আলী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সুযোগে ইস্কান্দার মির্জাকে খেদিয়ে আইয়ুব খান দশ বছরের জন্য বাঙালিকে গোলাম করে রাখেন। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই বাহাত্তরের সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি বিধান করে ফ্লোর ক্রসিং বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ এক দলের প্রতীকে বিজয়ী হয়ে আরেক দলে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়। সবকিছুতেই জনতা সমস্ত ব্যক্তিগত বিভেদ বিসর্জন দিয়েছিল। বিসর্জন দেয়নি বরং নেতারাই। তারা অনেকে ছয় দফার বিরোধিতা করেন। আবার অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নেতারাই দলে দলে গিয়ে খুনি মোশতাকের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছে। ওয়ান ইলেভেনকালীনও আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার প্রতি দলীয় নেতাদের আস্থা আনুগত্যের পরিমাণ। 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই যে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসলেও সরকারের ভেতরেই ভূত চেপে বসেছিল। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন, সিইসি সাঈদ, সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন সবই আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত। এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাকে মনে করা হচ্ছিল নির্ভেজাল। কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল হলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম বিপর্যয়ের। ওই ফলাফলের জের দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে হত্যা, ধর্ষণ আর সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনে। সেই বিভীষিকার কথা মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।

আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে কঠিনতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। বহু নেতাকে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের হাতে জীবন দিতে হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া এমপি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি, মমতাজ উদ্দিন, মঞ্জুরুল ইমাম এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ শীর্ষনেতারা বেঁচে গেলেও জীবন কেড়ে নেয় নারী নেত্রী বেগম আইভী রহমান, মোস্তাক আহমেদ সেন্টুসহ ২৫ নেতাকর্মীর। এই আগস্টেই দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের কথা মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হেফাজতের তাণ্ডবের কথাও তো সেদিনকারের ঘটনা। 

সাম্রাজ্যবাদী সরীসৃপের বিষদাঁত উৎপাটন করা যায়নি আজও। ১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে-বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু চলছে। এই সব ভ্রান্ত তত্ত্ব দিয়ে বিএনপির সাধারণ কর্মীদের বিপথগামী পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এতে করে সরকারের সুযোগ হবে কর্মীদের গণহারে জেল-জুলুমের শিকার হতে। আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল ৩০ এপ্রিল ফর্মুলা দিয়ে হাস্যকরে পরিণত হয়েছিলেন-তার কোন ক্ষতি হয়নি-ক্ষতি যা হবার সাধারণ নেতাকর্মীদের হয়েছিল। কৃতবিদ্য মানুষের মনের সুক্ষ্ম অনুভূতি ও আবেদন নিজের মন দিয়ে উপলব্ধি করার শক্তি ও ক্ষমতা নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধু কন্যার আছে। তাই সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রুখে দেয়ার সাহসও তার আছে। যে সাহস শেখ হাসিনাকে দিয়েছে সততা ও দেশপ্রেম। 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
সর্বশেষ খবর
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

৮ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক
তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স
দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের
কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম
ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!
মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

২০ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ

দেশগ্রাম

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে

পূর্ব-পশ্চিম

অবহিতকরণ সভা
অবহিতকরণ সভা

দেশগ্রাম

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম