শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৩৩, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বিএনপি কেন সংবিধান ছুড়ে ফেলতে চায়

মো. জাকির হোসেন
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি কেন সংবিধান ছুড়ে ফেলতে চায়

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্রের এমন এক জীবন পদ্ধতি, যা রাষ্ট্র স্বয়ং নিজের জন্য বেছে নেয়।’ কোনো রাষ্ট্রের সংবিধান হচ্ছে এমন মূল্যবান দলিল, যেখানে বর্ণিত আইন-কানুন, নীতি-নির্দেশনার আলোকে রচিত হয় রাষ্ট্রের অন্যান্য আইন-কানুন, বিধি-বিধান, যা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। এটি সাধারণ আইনের মতো সহজে পরিবর্তনীয় না হলেও কিছু শর্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্র-সমাজ ও জনসাধারণের প্রয়োজনে সংবিধানে সংযোজন-বিয়োজন-পরিবর্তন করা যেতে পারে। লিখিত, অলিখিত সব সংবিধানেই সংশোধনের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান গত ৫১ বছরে ১৭ বার সংশোধন তথা সংযোজন-বিয়োজন-পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও এর কয়েকটি সংশোধনী নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে এবং কোনো কোনো সংশোধনী সংবিধানের অভিভাবক সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বাতিল ঘোষিতও হয়েছে।

দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও কয়েক লাখ কন্যা-জায়া-জননীর চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১১ জানুয়ারি মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ওই দিনই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। ১৯৭০-এর ডিসেম্বর এবং ১৯৭১-এর জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা নতুন এই গণপরিষদের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হন। প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ মোট ৪৬৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হলেও মুক্তিযুদ্ধে নিহত, স্বাভাবিক মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা, দেশত্যাগ ইত্যাদি কারণে ৬৬ জন সদস্য বাদ পড়েন। বাকি ৪০৩ জন নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে গণপরিষদে একটি খসড়া প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মোট সদস্য ছিলেন ৩৪ জন। ৩৪ সদস্যের কমিটির ২৪ জনই ছিলেন আইনজীবী, যাঁদের মধ্যে পাঁচজন ইংল্যান্ডে শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার ছিলেন। কমিটির অন্য ১০ জন সদস্যের মধ্যে চারজন অধ্যাপক, একজন ডাক্তার, একজন সাংবাদিক ও তিনজন সমাজকর্মী ছিলেন।

সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন কমিটি ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেন। প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সপ্তাহ সময় দিয়ে আগ্রহী সংগঠন ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংবিধান সম্পর্কে প্রস্তাব আহবান করা হয়। সংবাদপত্র, রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এই আহবান জানানো হয়। কমিটি সংবিধান বিষয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ৯৮টি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। তার মানে, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সংবিধান তৈরি করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ, উত্তম ও কার্যকর সংবিধান প্রণয়ন করার লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ভারত ও ইংল্যান্ড সফর করে সেখানকার পার্লামেন্টের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তা ছাড়া সংবিধানকে অপেক্ষাকৃত ত্রুটিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে কমিটি একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করে। খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি ৪৭টি বৈঠকে মিলিত হয়ে পূর্বনির্ধারিত ১৯৭২ সালের ১০ জুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়।

কমিটিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সর্বসম্মতিক্রমে কোনো কোনো সময়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে কমিটির ছয়জন সদস্য ভিন্নমত প্রদান করেন। ভিন্নমত প্রদানকারীদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন আওয়ামী লীগের ও অন্যজন ছিলেন তৎকালীন মোজাফফর ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বিরোধীদলীয় সদস্য ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পক্ষ থেকে সর্বাধিক আপত্তি উত্থাপিত হয়। তিনি ২৪টি আপত্তি উত্থাপন করেন, তাঁর মূল আপত্তি ছিল—সংবিধানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়নি, সংসদে আসনসংখ্যা ৩৫০ জন করা, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন না রাখা এবং সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করা। অন্য সদস্যদের ভিন্নমত ছিল—ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ, দলত্যাগ বা বহিষ্কারজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিরুদ্ধে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের বিষয় সংযোজন। প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে জানা যায় যে কমিটিতে উন্মুক্ত পরিবেশে আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধীদলীয় একমাত্র সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ওই সময় বলেছিলেন, ‘কমিটির সদস্যগণ খোলা মন নিয়ে সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।’ (বাংলাদেশ গণপরিষদ বিতর্ক, খণ্ড-২, সংখ্যা ১, ১২ আক্টোবর, ১৯৭২, পৃষ্ঠা-২৭)। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথার প্রত্যয়ন মেলে কমিটির আওয়ামী লীগদলীয় সদস্য আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কিংবা তাঁর সরকার কোনো সময়েই আমাদের প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা করেননি, আমরাও হইনি।’ (বাংলাদেশ গণপরিষদ বিতর্ক, খণ্ড-২, সংখ্যা ৯, ২৫ আক্টোবর, ১৯৭২, পৃষ্ঠা-২৫৯)।

১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধানটি বিল আকারে গণপরিষদে উত্থাপন করা হয় ও ১৯ অক্টোবর সাধারণ আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। ১০টি বৈঠকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংবিধান বিলের ওপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ৪৭ জন সদস্য আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এই ৪৭ জনের মধ্যে ৪৪ জন আওয়ামী লীগের, একজন ন্যাপের ও দুজন স্বতন্ত্র সদস্য। ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সংবিধান বিলের দ্বিতীয় পাঠ তথা অনুচ্ছেদওয়ারি আলোচনা। এই আলোচনা ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দ্বিতীয় পাঠের সময় মোট ১৬৫টি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ৮৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সদস্যরা, আর ৮০টি প্রস্তাব আনেন বিরোধী ন্যাপ ও স্বতন্ত্র সদস্যরা। এর মধ্যে ৮৬টি সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয়। বেশির ভাগ সংশোধনী কার্যত সম্পাদকীয় ধরনের ছিল, যা মূলত ভাষাগত উৎকর্ষ সাধন কিংবা ভাবের সুস্পষ্টকরণ সম্পর্কিত। গুরুত্বপূর্ণ গৃহীত সংশোধনীর মধ্যে অন্যতম ছিল—এক. খসড়া সংবিধানের ৪২ অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এটি সংশোধন করে এই অনুচ্ছেদে একটি নতুন বিধান সংযোজন করা হয় এবং তার দ্বারা জাতীয় সংসদকে ‘ক্ষতিপূরণসহ অথবা বিনা ক্ষতিপূরণে’ ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে অধিগ্রহণের জন্য আইন প্রণয়নের অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়। দুই. খসড়া সংবিধান বিলের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয় যে কেবল সংসদ সদস্যরাই মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগলাভের যোগ্য হবেন। এই অনুচ্ছেদ সংশোধন করে একটি নতুন বিধান করা হয় যে সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিকেও মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা যাবে, তবে অনুরূপ ব্যক্তিকে মন্ত্রিত্ব বহাল রাখতে ছয় মাস সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। তিন. ৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া বিধানে দল থেকে বহিষ্কারের কারণে সংসদ সদস্য পদ হারানোর বিধান সংশোধন করে এটি বাদ দেওয়া হয়। চার. ৭৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ ছিল রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদান এবং বাণী প্রেরণ করতে পারবেন। এই অনুচ্ছেদটি সংশোধন করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রচলিত সর্বজনীন রীতি সংযোজন করে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির বাণী বা ভাষণ সম্পর্কে সংসদ আলোচনা করবে।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান বিলের তৃতীয় ও শেষ পাঠ অনুষ্ঠিত হয় এবং ওই দিনই গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধানটি গৃহীত হয়। কোনো সদস্য বিপক্ষে ভোট দেননি। নতুন সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তথা বিজয় দিবস থেকে বলবৎ হয় এবং ওই দিনই গণপরিষদের বিলুপ্তি ঘটে। গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এই সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’

শহীদের রক্তে লেখা এই সংবিধান বিএনপি বদলে ফেলতে চায়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি বাতিল করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ‘বাই চান্স’ বা ‘ভাগ্যক্রমে’ হয়েছে। তাই দেশের সংবিধানও অপরিকল্পিত। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি সেই সংবিধান নতুন করে প্রণয়ন করবে। যাঁরা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাঁদের সংবিধান তৈরি করার কোনো অধিকার ছিল না।’ অন্যদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘একদলীয় লোকেরা এই সংবিধান তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র দুজন সদস্য সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। তাঁরা কেউই সেই সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি। তাই এটি একনায়কদের সংবিধান। এই সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া না করে পুরোটাই ফেলে দিন। নতুন করে একটি সংবিধান তৈরি করুন। যেখানে মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমাদের দলের স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বলব আপনারা ঘোষণা দিন ক্ষমতায় গেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবেন। বর্তমান সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই সবার মতামত নিয়ে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’

প্রশ্ন হলো, শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান বিএনপি কেন বদলে ফেলতে চায়? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানে আছে, কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে নেই এমন কোনো বিষয় কি আছে? থাকলে সেটা কী? বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংবিধানে আছে কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে তা সংযোজন করা হয়নি, এমন বিষয় সংবিধানে সংযোজন করলেই তো সমাধান হয়ে যায়। এ জন্যই তো সংবিধানে সংশোধনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে তথা শহীদের রক্তের দাগ মুছে ফেলে নতুন করে কেন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে? তার মানে কি মুক্তিযুদ্ধকে তথা লাখ লাখ শহীদ ও কন্যা-জায়া-জননীর চরম আত্মত্যাগকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের মুছে ফেলতে চান? বাংলাদেশ ভাগ্যক্রমে স্বাধীন হয়নি। কয়েক দশকের সুদীর্ঘ রক্তপিচ্ছিল পথ বেয়ে অনেক মাইলফলক পেরিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বৈধ পদ্ধতিতে গণপরিষদ গঠিত হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণপরিষদ যে প্রক্রিয়ায় সংবিধান প্রণয়ন করে তার সব কটি ধাপ অনুসরণ করে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান বিল গণপরিষদে গৃহীত হয়েছে। এটি একদলীয় সংবিধান নয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অনেক দল অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মানুষ তাদের ভোট দেয়নি, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। কেউ কেউ সব রাজনৈতিক দল ও গণসংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়নের দাবি করেছিলেন। যৌক্তিক কারণেই তা গ্রহণ করা হয়নি। অনুরূপ কনভেনশন ডাকতে গেলে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বের পরিমাণ ও পদ্ধতি এবং প্রস্তাবিত কনভেনশনের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে গুরুতর আইনগত ও রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি হতো।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সোপান ছয় দফা ঘোষণা করলে তৎকালীন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। ডানপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে ছয় দফাকে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ধ্বংস করার কমিউনিস্ট ভারতের ষড়যন্ত্র বলা হয়। অন্যদিকে কিছু বামপন্থী ছয় দফার ভেতরে সিআইএকে আবিষ্কার করে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও ছয় দফার প্রবল সমালোচনা হয়। বিরোধিতা এতই প্রকট ছিল যে দলের মধ্যেই ভাঙন শুরু হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও রাজনৈতিক দলে বিভক্তি ছিল। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিধা ছিল। এমন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়ন অবাস্তব ধারণা। নানা মত-পথের মধ্যে সমন্বয় করতে না পারায় পাকিস্তানের ৯ বছর লেগেছে সংবিধান প্রণয়ন করতে। ভারতেরও তিন বছর লেগেছে। বাংলাদেশেও যদি সংবিধান প্রণয়নে কয়েক বছর লেগে যেত এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সংবিধান তৈরি করা হতো, তবে তা বাংলাদেশের সংবিধান নয়, পাকিস্তানের সংবিধানের রেপ্লিকা হতো।

গণপরিষদের সদস্যদের সংবিধান প্রণয়নের অধিকার নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তথা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অন্তর্বর্তী সংবিধানও বিতর্কিত হয়ে পড়বে। কারণ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। আর এই গণপরিষদের সদস্যরাই তো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছেন, যা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বলবৎ হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশবলে গণপরিষদ গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির গণপরিষদ আদেশকে যদি অবৈধ বলতে চান, তাহলে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রে দাঁড়িয়ে নতুন সংবিধান তৈরির কথা বলছেন সেই রাষ্ট্রের পাটাতনটিই ধসে পড়বে। উদাহরণস্বরূপ, অস্থায়ী সংবিধান আদেশ, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা আদেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, হাইকোর্ট, স্থানীয় পরিষদ, শিপিং করপোরেশন, ইনস্যুরেন্স করপোরেশন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বাংলা একাডেমি, বার কাউন্সিল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পিডিবি, টিসিবি, এনবিআর, বিআইডাব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর, শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, বিডিআরসহ (বিজিবি) অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রপতির আদেশে সৃষ্টি হয়েছে।

গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সমন্বয়ে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ার উপযোগী দলিল বাংলাদেশের সংবিধান। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই চারটি মূল আদর্শের ভিত্তিতে সংবিধান প্রণীত হয়েছে। এই চারটি আদর্শের পক্ষে জনগণ পাকিস্তান আমলেই আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে। এই আদর্শের জন্যই মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাহলে কেন এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে? সংবিধান ছুড়ে ফেলা মানে তো কিছু শব্দ আর বাক্যসংবলিত গ্রন্থ ছুড়ে ফেলা নয়। তার মানে মুক্তিযুদ্ধকে ছুড়ে ফেলা। শহীদের রক্ত আর কন্যা-জায়া-জননীর আত্মত্যাগ মুছে ফেলা। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক অস্বীকার করা।

লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
সর্বশেষ খবর
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রোম সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ইয়াবা মামলায় সাজা: পাঁচ বছর কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর লুটপাটের প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা
সততার সাহস : ভুল স্বীকারের মর্যাদা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, পাঁচ দিনেও মেলেনি খোঁজ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা
কুয়াকাটায় শৈবাল চাষ নিয়ে কর্মশালা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’
‘জামায়াতের পিআর নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জে শোবার ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢামেক মর্গে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস
লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয় : ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৪

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
অগ্নিদুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ
ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত সুইডেন কোচ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
অক্টোবরের ১৩ দিনে এলো ১২৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা
জবিতে শিক্ষার্থীদের থিসিস গবেষণায় বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
টাঙ্গাইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?
কেন ভারত এখন আফগানকে সমাদরে কাছে টানছে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন

নগর জীবন

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের
শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অধ্যক্ষ পরিষদের

খবর

মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

খবর