শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৮, সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ আপডেট:

দিল্লির চিঠি

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

জয়ন্ত ঘোষাল
অনলাইন ভার্সন
নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ভারতে-বাংলাদেশে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এবার মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হলো? সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে, এক বিচিত্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, সে ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কি বাইডেনকে কিছু বললেন? কেউ কেউ বলছেন, এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে মোদি আলোচনা করতে যাবেন কেন? আবার অনেকে বলছেন, না, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। আসল সত্যটা কী?

বিনীতভাবে পাঠকদের জানাতে চাই, রাজীব গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই তখন থেকে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংবাদিক হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছি। কখনো অটল বিহারি বাজপেয়ি, নরসিমা রাও, কখনো মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। এখন নরেন্দ্র মোদির যে মার্কিন সফর, সেটি অতীতের সফরগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে ফারাক আছে। কূটনীতির একটা নিজস্ব ধারাবাহিকতাও থাকে। অর্থাৎ সেটা বুশ, ওবামা, ক্লিনটন, ট্রাম্প থেকে বাইডেন, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। কাজেই নেহরু থেকে মোদি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু কূটনীতির একটা ধারাবাহিকতা সব সময় ছিল, আছে। সেখানে কিভাবে এবং কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বা হতে পারে না, সেটা প্রথমে বুঝে নিতে হয়।

বাইডেন ও মোদির যখন বৈঠক হয়, তখন সেটা ঠিক আমাদের পাড়ার সকালের চায়ের আড্ডা নয় যে মোদি বলবেন, ‘কী বাইডেন মশাই, আপনি বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছেন? আচ্ছা, বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আপনি যে এ রকম সব বললেন, এমনটা বললেন কেন? এটা কিন্তু আমাদের না পছন্দ। আর যাই বলুন, বাংলাদেশ নিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে ভারতের কোনো ক্ষতি হয়ে যায়।’ তখন বাইডেন আরে নরেন্দ্র বলে পিঠটা চাপড়ে দিয়ে বলবেন, ‘আপনি এত বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন কেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক এ রকম নয়। তাহলে কেমন?

প্রথমত আলোচনা হয়। সেখানে এ ধরনের আলোচনাগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হচ্ছে, কূটনৈতিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। যেখানে বাইডেনের সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল থাকে। যেখানে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব থাকবেন। আবার ভারতেরও একটা প্রতিনিধিদল থাকে, যেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের প্রতিনিধিদল থাকবে। দুই দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবে। আবার অনেক সময় ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়। অর্থাৎ সেখানে দুজনই থাকেন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি সেখানে থাকেন না। সাধারণত সেটা খুব কম হয়। আর যাই হোক, একজন দোভাষীকে তো থাকতেই হয়, যিনি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেবেন। আর এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর শুরু হয় তার পরের স্তরের আলোচনা। অনেক সময় সেটা আগেও হোম ওয়ার্ক করার জন্য হয়। আবার অনেক সময় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরও সেটা হতে থাকে। সেটা কখনো ভারতে, কখনো আমেরিকায় হয়।

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথএকটা উদাহরণ দিই, ধরুন, মোদি বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এসেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান। সেই জ্যাক সুলেভানের সঙ্গে অজিত দোভাল বৈঠক করেন, যেটা প্রধানমন্ত্রী স্তরে বা হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে হয় না, কিন্তু এনএসের স্তরে সে কথাটা বলা যায়, সেখানে অজিত দোভাল বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা যেন এমন কিছু না করে, যাতে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, সেখানে এমন কিছু যেন না হয়, যেটা বাংলাদেশকে আঘাত করতে গিয়ে ভারতও আহত না হয়। কেন ভারত বাংলাদেশ নিয়ে উত্থাপন করছে? সেটা যতটা বাংলাদেশের স্বার্থে, তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সার্বভৌম স্বার্থও জড়িয়ে আছে। অজিত দোভালও যখন এ কথাটা বলবেন, তখন তিনি বলবেন, এই উপমহাদেশে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও আপনারা এমন কোনো নীতি গ্রহণ করবেন না, যেটা ভারতের সার্বভৌম স্বার্থে আঘাত লাগে। আমরা এটাকে বলি, আন্ডারস্টুড ডিপ্লোম্যাসি। অর্থাৎ বুঝে নিতে হয়। স্পষ্ট ভাষায় চায়ের দোকানের মতো করে চোখে আঙুল দিয়ে কথা বলার প্রয়োজন কূটনীতিতে হয় না। অর্থাৎ কূটনীতিতে যেমন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইমপর্ট্যান্ট, শরীরের ভাষার পাশাপাশি নানা রকমের ইঙ্গিত, নানা রকমের সংকেত ইত্যাদিও থাকে।

এখানে নরেন্দ্র মোদির এবারের মার্কিন সফরে অনেক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিষয়টা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? তার কারণ নরেন্দ্র মোদি যাওয়ার আগেই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন বা অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন, সেটাতে তারা ডিসকারেজ করবে না। অর্থাৎ সেটাতে বাধা দেবে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। মোদি জি২০-এর শুধু ক্যাপ্টেন নন, তিনি এই উপমহাদেশেরও একজন বড় রাষ্ট্রনায়ক। চীন ও ভারতের মধ্যে একটা অক্ষগত জটিলতা এবং সংঘাত আছে। সুতরাং সেখানে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ যেসব দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করাটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আজকে চীন যদি মিয়ানমারে ড্রাগনের নিঃশ্বাস ফেলে, মিয়ানমার-চীন সম্পর্কের জন্য যদি ভারতের অসুবিধা হয় এবং এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়, তাহলে সেটা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না জানানোরও কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তো আবার প্রথম দুনিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, যার সঙ্গে চীনের সরাসরি সংঘাত আছে। সুতরাং জিওস্ট্র্যাটেজিক কারণেই কিন্তু এই আলাপ-আলোচনা হয়।

বারবার আমি বলছি, হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে সব সময় এগুলো এত খোলাখুলি, এত সবিস্তার আলোচনা হয় না। হয়, যদি সেটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান বৈঠক হয় এবং যখন রিট্রিট হয়। অর্থাৎ যখন কোনো রেকর্ড থাকে না, খোলামেলা আলোচনা হয়। আমরা জানি, গোধরা কাণ্ডের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আমেরিকার সমস্যা কম ছিল না। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, তখন আমেরিকা তাঁকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছিল এবং ভিসা দিত না। তারপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমেরিকা তাঁকে ভিসা দিতে বাধ্য হয়। তবে কোনো দিনই স্টেট ভিজিট কিন্তু হয়নি। সব সময় ওয়ার্কিং ভিজিট কিংবা অফিশিয়াল ভিজিট ইত্যাদি খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম স্টেট ভিজিট হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সফর বাইডেনও খুব বেশি করেন না। এর আগে একবার কোরিয়ার ক্ষেত্রে তিনি করেছিলেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির এবারের রাষ্ট্রীয় সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ আমেরিকারও কিন্তু ভারতকে বিশেষভাবে প্রয়োজন এবং ভারতকে আমেরিকাও যথেষ্ট খাতির-যত্ন এবার করেছেন বাইডেন। পুরো সফরটা যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে নরেন্দ্র মোদিকে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ থেকে ড্রোন দেওয়া পর্যন্ত সব ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জি২০ সম্মেলন হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানেও যেহেতু ভারত প্রধান ক্যাপ্টেন। সেই কারণে সব নেতাই আবার ভারতে আসবেন। সেখানে কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও জাপানে হিরোশিমায় নরেন্দ্র মোদির একটা বৈঠক হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর সম্পর্ক অটুট রেখেও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটা তাঁর কূটনীতির একটা সাফল্য। ন্যাটো সদস্য না হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করে তাঁর নিজের মর্যাদাটা তিনি রক্ষা করছেন। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদি সে কথা জানিয়েছেন।

এখানে একটা কথা বলব, আসলে আত্মসমর্পণ করলেই সুসম্পর্ক হয় না। বাংলাদেশ যখন ১৯৭১ সালে গঠন হয়, তখন আমেরিকার কী অবস্থান ছিল এবং সেই সময় থেকে বাংলাদেশও কিভাবে আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করে তার নিজের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করেছে, সেটা মুজিবুর রহমানের যে ঘোষিত নীতি, সেই ঘোষিত নীতির পর নিক্সন-ইন্দিরা ও ভারতের সম্পর্কের যে জটিলতা এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশে সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর আমেরিকাকেও কিন্তু সেই সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে মেনে নিতে হয়। সেই লড়াই কিন্তু আজও চলেছে। এবারও নরেন্দ্র মোদি তাঁর মার্কিন সফরে এই লড়াইয়ে লড়ে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট আশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন আর্থিক সংকট চরমে। সেখানে তিনটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত আমেরিকা। বাইডেনকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই ঋণমুক্তির ওয়ে আউট কী হতে পারে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বাইডেনকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। একটা ঋণমুক্তির রাস্তা বের করেছে সংসদ। এ অবস্থায় চীন একটা মস্ত বড় থ্রেট। সেখানে চীনের মোকাবেলায় ভারতকে সঙ্গে রাখা আমেরিকার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। যে কারণে এবারের দি ইকোনমিস্ট পত্রিকারও প্রচ্ছদ নিবন্ধ হচ্ছে যে আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড এখন ভারত। আমেরিকাকে ভারত যতই অপছন্দ করুক না কেন, ভারত আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড। এটা ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধের বিষয়।

এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এবারে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুটি তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রথমত, বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের জন্য ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আর দ্বিতীয়ত, স্বার্থগুলো যখন এই অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তখন ভারত সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নৈশ ভোজ হয়েছে। তিনি ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়েও ভারত ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের সঙ্গে ভারত আছে কি না, তা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলে। আর ভারত কথা বলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে। ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে বলার সুযোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাসন আমলে ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানসহ সার্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকির প্রসঙ্গ এসেছিল।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে ওয়াশিংটন যখন পৌঁছে গেছেন। এই সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে অজিত দোভাল বলেছিলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতের জাতীয় শর্ত ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া থেকে অন্য দেশগুলোর বিরত থাকা উচিত। বিষয়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওই সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ভারতের একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বরাত দিয়ে লিখেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। যেমন- বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনকালে আসামের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী উলফার কাছে ১০ ট্রাক সামরিক অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। এটা নিরাপত্তার মূল বিষয়। ওই সাংবাদিক এসব বিষয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের সমস্যার সৃষ্টি করা উচিত নয়- এমন প্রত্যাশার বিষয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এবং ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ওঠার কথা নাকচ করেননি। আবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে-তিনি এমনটাও সোজাসুজি বলেননি। 

বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, আমি দুটি বিষয় বলব, প্রথমত বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের বিষয়ে এবং ক্ষেত্র মুখে ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আগে যেমনটা বলেছি, একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল সমুন্নত রাখতে আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করি। আমরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করি। উন্মুক্ত সমৃদ্ধ নিরাপদ স্থিতিশীল ও স্থিতিস্থাপক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল এবং বিশ্ব গড়তে কাজ করার জন্য আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করার অপেক্ষায় রয়েছি।

ভারতের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আমেরিকা যে কাজ করতে প্রস্তুত সে কথা তো আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েই দিয়েছে। ভারতও যে বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। আর ভারতের নির্বাচন ২০২৪ সালের মে মাসে। তার আগেই এ বিষয়গুলোর জটিলতার জট ছাড়াতে আশা করা যায় আরো আলাপ-আলোচনা এগোবে। জি২০ সম্মেলন যখন দিল্লিতে হবে, তখন শেখ হাসিনাও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে দিল্লিতে আসবেন। তখন বাইডেনও থাকবেন। থাকবেন অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক। সেই সময় ভারতে মোদির সঙ্গেও হাসিনার একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সুতরাং সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে আরো স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ।

লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
সর্বশেষ খবর
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৌশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৌশভোজের আয়োজন

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৩০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৪৮ মিনিট আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম
চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান
১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন

সম্পাদকীয়

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক
খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পকলায় ভাসানে উজান
শিল্পকলায় ভাসানে উজান

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান

সম্পাদকীয়

বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

সম্পাদকীয়

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর
রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর

খবর