শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৮, সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ আপডেট:

দিল্লির চিঠি

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

জয়ন্ত ঘোষাল
অনলাইন ভার্সন
নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ভারতে-বাংলাদেশে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এবার মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হলো? সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে, এক বিচিত্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, সে ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কি বাইডেনকে কিছু বললেন? কেউ কেউ বলছেন, এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে মোদি আলোচনা করতে যাবেন কেন? আবার অনেকে বলছেন, না, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। আসল সত্যটা কী?

বিনীতভাবে পাঠকদের জানাতে চাই, রাজীব গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই তখন থেকে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংবাদিক হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছি। কখনো অটল বিহারি বাজপেয়ি, নরসিমা রাও, কখনো মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। এখন নরেন্দ্র মোদির যে মার্কিন সফর, সেটি অতীতের সফরগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে ফারাক আছে। কূটনীতির একটা নিজস্ব ধারাবাহিকতাও থাকে। অর্থাৎ সেটা বুশ, ওবামা, ক্লিনটন, ট্রাম্প থেকে বাইডেন, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। কাজেই নেহরু থেকে মোদি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু কূটনীতির একটা ধারাবাহিকতা সব সময় ছিল, আছে। সেখানে কিভাবে এবং কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বা হতে পারে না, সেটা প্রথমে বুঝে নিতে হয়।

বাইডেন ও মোদির যখন বৈঠক হয়, তখন সেটা ঠিক আমাদের পাড়ার সকালের চায়ের আড্ডা নয় যে মোদি বলবেন, ‘কী বাইডেন মশাই, আপনি বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছেন? আচ্ছা, বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আপনি যে এ রকম সব বললেন, এমনটা বললেন কেন? এটা কিন্তু আমাদের না পছন্দ। আর যাই বলুন, বাংলাদেশ নিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে ভারতের কোনো ক্ষতি হয়ে যায়।’ তখন বাইডেন আরে নরেন্দ্র বলে পিঠটা চাপড়ে দিয়ে বলবেন, ‘আপনি এত বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন কেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক এ রকম নয়। তাহলে কেমন?

প্রথমত আলোচনা হয়। সেখানে এ ধরনের আলোচনাগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হচ্ছে, কূটনৈতিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। যেখানে বাইডেনের সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল থাকে। যেখানে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব থাকবেন। আবার ভারতেরও একটা প্রতিনিধিদল থাকে, যেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের প্রতিনিধিদল থাকবে। দুই দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবে। আবার অনেক সময় ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়। অর্থাৎ সেখানে দুজনই থাকেন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি সেখানে থাকেন না। সাধারণত সেটা খুব কম হয়। আর যাই হোক, একজন দোভাষীকে তো থাকতেই হয়, যিনি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেবেন। আর এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর শুরু হয় তার পরের স্তরের আলোচনা। অনেক সময় সেটা আগেও হোম ওয়ার্ক করার জন্য হয়। আবার অনেক সময় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরও সেটা হতে থাকে। সেটা কখনো ভারতে, কখনো আমেরিকায় হয়।

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথএকটা উদাহরণ দিই, ধরুন, মোদি বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এসেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান। সেই জ্যাক সুলেভানের সঙ্গে অজিত দোভাল বৈঠক করেন, যেটা প্রধানমন্ত্রী স্তরে বা হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে হয় না, কিন্তু এনএসের স্তরে সে কথাটা বলা যায়, সেখানে অজিত দোভাল বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা যেন এমন কিছু না করে, যাতে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, সেখানে এমন কিছু যেন না হয়, যেটা বাংলাদেশকে আঘাত করতে গিয়ে ভারতও আহত না হয়। কেন ভারত বাংলাদেশ নিয়ে উত্থাপন করছে? সেটা যতটা বাংলাদেশের স্বার্থে, তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সার্বভৌম স্বার্থও জড়িয়ে আছে। অজিত দোভালও যখন এ কথাটা বলবেন, তখন তিনি বলবেন, এই উপমহাদেশে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও আপনারা এমন কোনো নীতি গ্রহণ করবেন না, যেটা ভারতের সার্বভৌম স্বার্থে আঘাত লাগে। আমরা এটাকে বলি, আন্ডারস্টুড ডিপ্লোম্যাসি। অর্থাৎ বুঝে নিতে হয়। স্পষ্ট ভাষায় চায়ের দোকানের মতো করে চোখে আঙুল দিয়ে কথা বলার প্রয়োজন কূটনীতিতে হয় না। অর্থাৎ কূটনীতিতে যেমন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইমপর্ট্যান্ট, শরীরের ভাষার পাশাপাশি নানা রকমের ইঙ্গিত, নানা রকমের সংকেত ইত্যাদিও থাকে।

এখানে নরেন্দ্র মোদির এবারের মার্কিন সফরে অনেক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিষয়টা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? তার কারণ নরেন্দ্র মোদি যাওয়ার আগেই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন বা অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন, সেটাতে তারা ডিসকারেজ করবে না। অর্থাৎ সেটাতে বাধা দেবে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। মোদি জি২০-এর শুধু ক্যাপ্টেন নন, তিনি এই উপমহাদেশেরও একজন বড় রাষ্ট্রনায়ক। চীন ও ভারতের মধ্যে একটা অক্ষগত জটিলতা এবং সংঘাত আছে। সুতরাং সেখানে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ যেসব দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করাটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আজকে চীন যদি মিয়ানমারে ড্রাগনের নিঃশ্বাস ফেলে, মিয়ানমার-চীন সম্পর্কের জন্য যদি ভারতের অসুবিধা হয় এবং এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়, তাহলে সেটা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না জানানোরও কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তো আবার প্রথম দুনিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, যার সঙ্গে চীনের সরাসরি সংঘাত আছে। সুতরাং জিওস্ট্র্যাটেজিক কারণেই কিন্তু এই আলাপ-আলোচনা হয়।

বারবার আমি বলছি, হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে সব সময় এগুলো এত খোলাখুলি, এত সবিস্তার আলোচনা হয় না। হয়, যদি সেটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান বৈঠক হয় এবং যখন রিট্রিট হয়। অর্থাৎ যখন কোনো রেকর্ড থাকে না, খোলামেলা আলোচনা হয়। আমরা জানি, গোধরা কাণ্ডের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আমেরিকার সমস্যা কম ছিল না। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, তখন আমেরিকা তাঁকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছিল এবং ভিসা দিত না। তারপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমেরিকা তাঁকে ভিসা দিতে বাধ্য হয়। তবে কোনো দিনই স্টেট ভিজিট কিন্তু হয়নি। সব সময় ওয়ার্কিং ভিজিট কিংবা অফিশিয়াল ভিজিট ইত্যাদি খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম স্টেট ভিজিট হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সফর বাইডেনও খুব বেশি করেন না। এর আগে একবার কোরিয়ার ক্ষেত্রে তিনি করেছিলেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির এবারের রাষ্ট্রীয় সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ আমেরিকারও কিন্তু ভারতকে বিশেষভাবে প্রয়োজন এবং ভারতকে আমেরিকাও যথেষ্ট খাতির-যত্ন এবার করেছেন বাইডেন। পুরো সফরটা যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে নরেন্দ্র মোদিকে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ থেকে ড্রোন দেওয়া পর্যন্ত সব ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জি২০ সম্মেলন হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানেও যেহেতু ভারত প্রধান ক্যাপ্টেন। সেই কারণে সব নেতাই আবার ভারতে আসবেন। সেখানে কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও জাপানে হিরোশিমায় নরেন্দ্র মোদির একটা বৈঠক হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর সম্পর্ক অটুট রেখেও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটা তাঁর কূটনীতির একটা সাফল্য। ন্যাটো সদস্য না হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করে তাঁর নিজের মর্যাদাটা তিনি রক্ষা করছেন। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদি সে কথা জানিয়েছেন।

এখানে একটা কথা বলব, আসলে আত্মসমর্পণ করলেই সুসম্পর্ক হয় না। বাংলাদেশ যখন ১৯৭১ সালে গঠন হয়, তখন আমেরিকার কী অবস্থান ছিল এবং সেই সময় থেকে বাংলাদেশও কিভাবে আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করে তার নিজের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করেছে, সেটা মুজিবুর রহমানের যে ঘোষিত নীতি, সেই ঘোষিত নীতির পর নিক্সন-ইন্দিরা ও ভারতের সম্পর্কের যে জটিলতা এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশে সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর আমেরিকাকেও কিন্তু সেই সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে মেনে নিতে হয়। সেই লড়াই কিন্তু আজও চলেছে। এবারও নরেন্দ্র মোদি তাঁর মার্কিন সফরে এই লড়াইয়ে লড়ে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট আশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন আর্থিক সংকট চরমে। সেখানে তিনটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত আমেরিকা। বাইডেনকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই ঋণমুক্তির ওয়ে আউট কী হতে পারে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বাইডেনকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। একটা ঋণমুক্তির রাস্তা বের করেছে সংসদ। এ অবস্থায় চীন একটা মস্ত বড় থ্রেট। সেখানে চীনের মোকাবেলায় ভারতকে সঙ্গে রাখা আমেরিকার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। যে কারণে এবারের দি ইকোনমিস্ট পত্রিকারও প্রচ্ছদ নিবন্ধ হচ্ছে যে আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড এখন ভারত। আমেরিকাকে ভারত যতই অপছন্দ করুক না কেন, ভারত আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড। এটা ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধের বিষয়।

এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এবারে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুটি তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রথমত, বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের জন্য ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আর দ্বিতীয়ত, স্বার্থগুলো যখন এই অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তখন ভারত সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নৈশ ভোজ হয়েছে। তিনি ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়েও ভারত ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের সঙ্গে ভারত আছে কি না, তা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলে। আর ভারত কথা বলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে। ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে বলার সুযোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাসন আমলে ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানসহ সার্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকির প্রসঙ্গ এসেছিল।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে ওয়াশিংটন যখন পৌঁছে গেছেন। এই সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে অজিত দোভাল বলেছিলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতের জাতীয় শর্ত ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া থেকে অন্য দেশগুলোর বিরত থাকা উচিত। বিষয়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওই সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ভারতের একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বরাত দিয়ে লিখেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। যেমন- বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনকালে আসামের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী উলফার কাছে ১০ ট্রাক সামরিক অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। এটা নিরাপত্তার মূল বিষয়। ওই সাংবাদিক এসব বিষয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের সমস্যার সৃষ্টি করা উচিত নয়- এমন প্রত্যাশার বিষয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এবং ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ওঠার কথা নাকচ করেননি। আবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে-তিনি এমনটাও সোজাসুজি বলেননি। 

বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, আমি দুটি বিষয় বলব, প্রথমত বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের বিষয়ে এবং ক্ষেত্র মুখে ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আগে যেমনটা বলেছি, একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল সমুন্নত রাখতে আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করি। আমরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করি। উন্মুক্ত সমৃদ্ধ নিরাপদ স্থিতিশীল ও স্থিতিস্থাপক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল এবং বিশ্ব গড়তে কাজ করার জন্য আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করার অপেক্ষায় রয়েছি।

ভারতের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আমেরিকা যে কাজ করতে প্রস্তুত সে কথা তো আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েই দিয়েছে। ভারতও যে বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। আর ভারতের নির্বাচন ২০২৪ সালের মে মাসে। তার আগেই এ বিষয়গুলোর জটিলতার জট ছাড়াতে আশা করা যায় আরো আলাপ-আলোচনা এগোবে। জি২০ সম্মেলন যখন দিল্লিতে হবে, তখন শেখ হাসিনাও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে দিল্লিতে আসবেন। তখন বাইডেনও থাকবেন। থাকবেন অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক। সেই সময় ভারতে মোদির সঙ্গেও হাসিনার একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সুতরাং সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে আরো স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ।

লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
বন্দর নিয়ে সদরে-অন্দরে মতলবি তৎপরতা
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কৃষি সমবায়ের সাফল্যগাথা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
ধূসর হয়ে পড়েছে যে স্বপ্ন
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে

এই মাত্র | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে নবম দিনের আপিল শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে নবম দিনের আপিল শুনানি চলছে

১ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ
বগুড়ায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমার বিশ্বজিতের সুরে কিশোরের নতুন গান
কুমার বিশ্বজিতের সুরে কিশোরের নতুন গান

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

ভার্জিনিয়ায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ঘাজালা
ভার্জিনিয়ায় ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ঘাজালা

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুরে দুই উপজেলা ও এক পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা
শেরপুরে দুই উপজেলা ও এক পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

লাবুশেনের ব্যাটে রানের ফোয়ারা
লাবুশেনের ব্যাটে রানের ফোয়ারা

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ত্রিপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
ত্রিপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

রায়পুরায় স্কুল শিক্ষিকাকে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা গ্রামবাসীর
রায়পুরায় স্কুল শিক্ষিকাকে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা গ্রামবাসীর

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন
উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে বাংলাদেশকে অনুরোধ মিয়ানমারের
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে বাংলাদেশকে অনুরোধ মিয়ানমারের

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সকালে ডিম খাওয়ার ৫ উপকার
সকালে ডিম খাওয়ার ৫ উপকার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সিরাজগঞ্জে অটোচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, তিনজন গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জে অটোচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, তিনজন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ বচ্চন
দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ বচ্চন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতির উদ্যোগে মুক্ত দুই ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
শাবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতির উদ্যোগে মুক্ত দুই ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আশুলিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৬ ইটভাটা
আশুলিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৬ ইটভাটা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাফ নদে ৬ রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ
নাফ নদে ৬ রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ‘বুড়ো দল’ নিয়ে সমালোচনা স্টিভ ওয়াহর
অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ‘বুড়ো দল’ নিয়ে সমালোচনা স্টিভ ওয়াহর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতের দাবিতে মানববন্ধন
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাঙামাটিতে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাঙামাটিতে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে বাফুফের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা
অবশেষে বাফুফের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস
আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শার্শায় তরিকুল ইসলাম স্মরণে দোয়া মাহফিল
শার্শায় তরিকুল ইসলাম স্মরণে দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে ৫ মাদক কারবারি গ্রেফতার
চাঁদপুরে ৫ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

১১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল
ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর
ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

ভুল নকশায় ভোগান্তি
ভুল নকশায় ভোগান্তি

রকমারি নগর পরিক্রমা

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

প্রথম পৃষ্ঠা

এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর
ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর

মাঠে ময়দানে

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে
ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে

দেশগ্রাম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর
জকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট ২২ ডিসেম্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক
নিবন্ধন পেতে ইসির সামনে অনশনে ‘আমজনতা’র তারেক

নগর জীবন

গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা
গণসংহতির ৯৩ আসনে প্রার্থী যারা

পেছনের পৃষ্ঠা