শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৮, সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ আপডেট:

দিল্লির চিঠি

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

জয়ন্ত ঘোষাল
অনলাইন ভার্সন
নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ভারতে-বাংলাদেশে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এবার মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হলো? সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে, এক বিচিত্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, সে ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কি বাইডেনকে কিছু বললেন? কেউ কেউ বলছেন, এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে মোদি আলোচনা করতে যাবেন কেন? আবার অনেকে বলছেন, না, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। আসল সত্যটা কী?

বিনীতভাবে পাঠকদের জানাতে চাই, রাজীব গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই তখন থেকে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংবাদিক হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছি। কখনো অটল বিহারি বাজপেয়ি, নরসিমা রাও, কখনো মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। এখন নরেন্দ্র মোদির যে মার্কিন সফর, সেটি অতীতের সফরগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে ফারাক আছে। কূটনীতির একটা নিজস্ব ধারাবাহিকতাও থাকে। অর্থাৎ সেটা বুশ, ওবামা, ক্লিনটন, ট্রাম্প থেকে বাইডেন, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। কাজেই নেহরু থেকে মোদি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু কূটনীতির একটা ধারাবাহিকতা সব সময় ছিল, আছে। সেখানে কিভাবে এবং কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বা হতে পারে না, সেটা প্রথমে বুঝে নিতে হয়।

বাইডেন ও মোদির যখন বৈঠক হয়, তখন সেটা ঠিক আমাদের পাড়ার সকালের চায়ের আড্ডা নয় যে মোদি বলবেন, ‘কী বাইডেন মশাই, আপনি বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছেন? আচ্ছা, বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আপনি যে এ রকম সব বললেন, এমনটা বললেন কেন? এটা কিন্তু আমাদের না পছন্দ। আর যাই বলুন, বাংলাদেশ নিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে ভারতের কোনো ক্ষতি হয়ে যায়।’ তখন বাইডেন আরে নরেন্দ্র বলে পিঠটা চাপড়ে দিয়ে বলবেন, ‘আপনি এত বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন কেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক এ রকম নয়। তাহলে কেমন?

প্রথমত আলোচনা হয়। সেখানে এ ধরনের আলোচনাগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হচ্ছে, কূটনৈতিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। যেখানে বাইডেনের সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল থাকে। যেখানে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব থাকবেন। আবার ভারতেরও একটা প্রতিনিধিদল থাকে, যেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের প্রতিনিধিদল থাকবে। দুই দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবে। আবার অনেক সময় ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়। অর্থাৎ সেখানে দুজনই থাকেন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি সেখানে থাকেন না। সাধারণত সেটা খুব কম হয়। আর যাই হোক, একজন দোভাষীকে তো থাকতেই হয়, যিনি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেবেন। আর এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর শুরু হয় তার পরের স্তরের আলোচনা। অনেক সময় সেটা আগেও হোম ওয়ার্ক করার জন্য হয়। আবার অনেক সময় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরও সেটা হতে থাকে। সেটা কখনো ভারতে, কখনো আমেরিকায় হয়।

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথএকটা উদাহরণ দিই, ধরুন, মোদি বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এসেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান। সেই জ্যাক সুলেভানের সঙ্গে অজিত দোভাল বৈঠক করেন, যেটা প্রধানমন্ত্রী স্তরে বা হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে হয় না, কিন্তু এনএসের স্তরে সে কথাটা বলা যায়, সেখানে অজিত দোভাল বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা যেন এমন কিছু না করে, যাতে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, সেখানে এমন কিছু যেন না হয়, যেটা বাংলাদেশকে আঘাত করতে গিয়ে ভারতও আহত না হয়। কেন ভারত বাংলাদেশ নিয়ে উত্থাপন করছে? সেটা যতটা বাংলাদেশের স্বার্থে, তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সার্বভৌম স্বার্থও জড়িয়ে আছে। অজিত দোভালও যখন এ কথাটা বলবেন, তখন তিনি বলবেন, এই উপমহাদেশে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও আপনারা এমন কোনো নীতি গ্রহণ করবেন না, যেটা ভারতের সার্বভৌম স্বার্থে আঘাত লাগে। আমরা এটাকে বলি, আন্ডারস্টুড ডিপ্লোম্যাসি। অর্থাৎ বুঝে নিতে হয়। স্পষ্ট ভাষায় চায়ের দোকানের মতো করে চোখে আঙুল দিয়ে কথা বলার প্রয়োজন কূটনীতিতে হয় না। অর্থাৎ কূটনীতিতে যেমন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইমপর্ট্যান্ট, শরীরের ভাষার পাশাপাশি নানা রকমের ইঙ্গিত, নানা রকমের সংকেত ইত্যাদিও থাকে।

এখানে নরেন্দ্র মোদির এবারের মার্কিন সফরে অনেক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিষয়টা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? তার কারণ নরেন্দ্র মোদি যাওয়ার আগেই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন বা অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন, সেটাতে তারা ডিসকারেজ করবে না। অর্থাৎ সেটাতে বাধা দেবে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। মোদি জি২০-এর শুধু ক্যাপ্টেন নন, তিনি এই উপমহাদেশেরও একজন বড় রাষ্ট্রনায়ক। চীন ও ভারতের মধ্যে একটা অক্ষগত জটিলতা এবং সংঘাত আছে। সুতরাং সেখানে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ যেসব দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করাটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আজকে চীন যদি মিয়ানমারে ড্রাগনের নিঃশ্বাস ফেলে, মিয়ানমার-চীন সম্পর্কের জন্য যদি ভারতের অসুবিধা হয় এবং এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়, তাহলে সেটা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না জানানোরও কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তো আবার প্রথম দুনিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, যার সঙ্গে চীনের সরাসরি সংঘাত আছে। সুতরাং জিওস্ট্র্যাটেজিক কারণেই কিন্তু এই আলাপ-আলোচনা হয়।

বারবার আমি বলছি, হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে সব সময় এগুলো এত খোলাখুলি, এত সবিস্তার আলোচনা হয় না। হয়, যদি সেটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান বৈঠক হয় এবং যখন রিট্রিট হয়। অর্থাৎ যখন কোনো রেকর্ড থাকে না, খোলামেলা আলোচনা হয়। আমরা জানি, গোধরা কাণ্ডের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আমেরিকার সমস্যা কম ছিল না। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, তখন আমেরিকা তাঁকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছিল এবং ভিসা দিত না। তারপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমেরিকা তাঁকে ভিসা দিতে বাধ্য হয়। তবে কোনো দিনই স্টেট ভিজিট কিন্তু হয়নি। সব সময় ওয়ার্কিং ভিজিট কিংবা অফিশিয়াল ভিজিট ইত্যাদি খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম স্টেট ভিজিট হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সফর বাইডেনও খুব বেশি করেন না। এর আগে একবার কোরিয়ার ক্ষেত্রে তিনি করেছিলেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির এবারের রাষ্ট্রীয় সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ আমেরিকারও কিন্তু ভারতকে বিশেষভাবে প্রয়োজন এবং ভারতকে আমেরিকাও যথেষ্ট খাতির-যত্ন এবার করেছেন বাইডেন। পুরো সফরটা যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে নরেন্দ্র মোদিকে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ থেকে ড্রোন দেওয়া পর্যন্ত সব ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জি২০ সম্মেলন হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানেও যেহেতু ভারত প্রধান ক্যাপ্টেন। সেই কারণে সব নেতাই আবার ভারতে আসবেন। সেখানে কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও জাপানে হিরোশিমায় নরেন্দ্র মোদির একটা বৈঠক হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর সম্পর্ক অটুট রেখেও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটা তাঁর কূটনীতির একটা সাফল্য। ন্যাটো সদস্য না হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করে তাঁর নিজের মর্যাদাটা তিনি রক্ষা করছেন। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদি সে কথা জানিয়েছেন।

এখানে একটা কথা বলব, আসলে আত্মসমর্পণ করলেই সুসম্পর্ক হয় না। বাংলাদেশ যখন ১৯৭১ সালে গঠন হয়, তখন আমেরিকার কী অবস্থান ছিল এবং সেই সময় থেকে বাংলাদেশও কিভাবে আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করে তার নিজের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করেছে, সেটা মুজিবুর রহমানের যে ঘোষিত নীতি, সেই ঘোষিত নীতির পর নিক্সন-ইন্দিরা ও ভারতের সম্পর্কের যে জটিলতা এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশে সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর আমেরিকাকেও কিন্তু সেই সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে মেনে নিতে হয়। সেই লড়াই কিন্তু আজও চলেছে। এবারও নরেন্দ্র মোদি তাঁর মার্কিন সফরে এই লড়াইয়ে লড়ে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট আশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন আর্থিক সংকট চরমে। সেখানে তিনটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত আমেরিকা। বাইডেনকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই ঋণমুক্তির ওয়ে আউট কী হতে পারে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বাইডেনকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। একটা ঋণমুক্তির রাস্তা বের করেছে সংসদ। এ অবস্থায় চীন একটা মস্ত বড় থ্রেট। সেখানে চীনের মোকাবেলায় ভারতকে সঙ্গে রাখা আমেরিকার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। যে কারণে এবারের দি ইকোনমিস্ট পত্রিকারও প্রচ্ছদ নিবন্ধ হচ্ছে যে আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড এখন ভারত। আমেরিকাকে ভারত যতই অপছন্দ করুক না কেন, ভারত আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড। এটা ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধের বিষয়।

এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এবারে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুটি তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রথমত, বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের জন্য ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আর দ্বিতীয়ত, স্বার্থগুলো যখন এই অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তখন ভারত সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নৈশ ভোজ হয়েছে। তিনি ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়েও ভারত ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের সঙ্গে ভারত আছে কি না, তা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলে। আর ভারত কথা বলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে। ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে বলার সুযোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাসন আমলে ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানসহ সার্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকির প্রসঙ্গ এসেছিল।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে ওয়াশিংটন যখন পৌঁছে গেছেন। এই সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে অজিত দোভাল বলেছিলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতের জাতীয় শর্ত ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া থেকে অন্য দেশগুলোর বিরত থাকা উচিত। বিষয়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওই সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ভারতের একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বরাত দিয়ে লিখেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। যেমন- বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনকালে আসামের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী উলফার কাছে ১০ ট্রাক সামরিক অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। এটা নিরাপত্তার মূল বিষয়। ওই সাংবাদিক এসব বিষয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের সমস্যার সৃষ্টি করা উচিত নয়- এমন প্রত্যাশার বিষয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এবং ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ওঠার কথা নাকচ করেননি। আবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে-তিনি এমনটাও সোজাসুজি বলেননি। 

বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, আমি দুটি বিষয় বলব, প্রথমত বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের বিষয়ে এবং ক্ষেত্র মুখে ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আগে যেমনটা বলেছি, একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল সমুন্নত রাখতে আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করি। আমরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করি। উন্মুক্ত সমৃদ্ধ নিরাপদ স্থিতিশীল ও স্থিতিস্থাপক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল এবং বিশ্ব গড়তে কাজ করার জন্য আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করার অপেক্ষায় রয়েছি।

ভারতের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আমেরিকা যে কাজ করতে প্রস্তুত সে কথা তো আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েই দিয়েছে। ভারতও যে বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। আর ভারতের নির্বাচন ২০২৪ সালের মে মাসে। তার আগেই এ বিষয়গুলোর জটিলতার জট ছাড়াতে আশা করা যায় আরো আলাপ-আলোচনা এগোবে। জি২০ সম্মেলন যখন দিল্লিতে হবে, তখন শেখ হাসিনাও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে দিল্লিতে আসবেন। তখন বাইডেনও থাকবেন। থাকবেন অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক। সেই সময় ভারতে মোদির সঙ্গেও হাসিনার একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সুতরাং সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে আরো স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ।

লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রাপথে বেশ কিছু সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তেলাপিয়া: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জলজ মুরগি’, বাংলাদেশের পুকুরে সাফল্যের তরঙ্গ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী সমাধান
সর্বশেষ খবর
শেয়ারবাজারে বড় উত্থান
শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

১ সেকেন্ড আগে | অর্থনীতি

তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?
তুরস্কে জেলেনস্কি, কি নিয়ে আলোচনা?

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা
মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা

১৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড
মাগুরায় গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় অগ্নিকাণ্ড

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি
বাবর আজমকে আইসিসির শাস্তি

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন

২১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার
বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে
মুশফিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ টাইগারদের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নবান্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা
মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা

৩৭ মিনিট আগে | শোবিজ

ইছামতি নদীতে ভাসমান বাগান, সবজি চাষে সফল মোস্তাকিম
ইছামতি নদীতে ভাসমান বাগান, সবজি চাষে সফল মোস্তাকিম

৩৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে যোগ দিলেন সেই মানবিক ডিসি জাহিদুল
চট্টগ্রামে যোগ দিলেন সেই মানবিক ডিসি জাহিদুল

৪০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান মোল্লার দায়িত্ব গ্রহণ
গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান মোল্লার দায়িত্ব গ্রহণ

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবর মাসে সড়কে ঝরেছে ৪২৩ প্রাণ : বিআরটিএ
অক্টোবর মাসে সড়কে ঝরেছে ৪২৩ প্রাণ : বিআরটিএ

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪
সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে কাম্প ন্যুয়ে ফিরছে বার্সেলোনা
অবশেষে কাম্প ন্যুয়ে ফিরছে বার্সেলোনা

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জ্যোতিদের ভারত সফর স্থগিত
জ্যোতিদের ভারত সফর স্থগিত

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

৫৮ মিনিট আগে | পরবাস

দুই লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
দুই লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন : রিজভী
তারেক রহমান মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্মারক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ
স্মারক স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তরুণ প্রজন্ম দেশকে উদ্যোক্তা বান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
তরুণ প্রজন্ম দেশকে উদ্যোক্তা বান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা
লালদিয়ায় ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা: প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে