শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৮, সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ আপডেট:

দিল্লির চিঠি

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

জয়ন্ত ঘোষাল
অনলাইন ভার্সন
নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ভারতে-বাংলাদেশে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এবার মোদির মার্কিন সফরে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হলো? সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে, এক বিচিত্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, সে ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কি বাইডেনকে কিছু বললেন? কেউ কেউ বলছেন, এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে মোদি আলোচনা করতে যাবেন কেন? আবার অনেকে বলছেন, না, বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। আসল সত্যটা কী?

বিনীতভাবে পাঠকদের জানাতে চাই, রাজীব গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই তখন থেকে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফর করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংবাদিক হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছি। কখনো অটল বিহারি বাজপেয়ি, নরসিমা রাও, কখনো মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। এখন নরেন্দ্র মোদির যে মার্কিন সফর, সেটি অতীতের সফরগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে ফারাক আছে। কূটনীতির একটা নিজস্ব ধারাবাহিকতাও থাকে। অর্থাৎ সেটা বুশ, ওবামা, ক্লিনটন, ট্রাম্প থেকে বাইডেন, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। কাজেই নেহরু থেকে মোদি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু কূটনীতির একটা ধারাবাহিকতা সব সময় ছিল, আছে। সেখানে কিভাবে এবং কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বা হতে পারে না, সেটা প্রথমে বুঝে নিতে হয়।

বাইডেন ও মোদির যখন বৈঠক হয়, তখন সেটা ঠিক আমাদের পাড়ার সকালের চায়ের আড্ডা নয় যে মোদি বলবেন, ‘কী বাইডেন মশাই, আপনি বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছেন? আচ্ছা, বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আপনি যে এ রকম সব বললেন, এমনটা বললেন কেন? এটা কিন্তু আমাদের না পছন্দ। আর যাই বলুন, বাংলাদেশ নিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে ভারতের কোনো ক্ষতি হয়ে যায়।’ তখন বাইডেন আরে নরেন্দ্র বলে পিঠটা চাপড়ে দিয়ে বলবেন, ‘আপনি এত বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন কেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক এ রকম নয়। তাহলে কেমন?

প্রথমত আলোচনা হয়। সেখানে এ ধরনের আলোচনাগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হচ্ছে, কূটনৈতিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। যেখানে বাইডেনের সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল থাকে। যেখানে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব থাকবেন। আবার ভারতেরও একটা প্রতিনিধিদল থাকে, যেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের প্রতিনিধিদল থাকবে। দুই দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবে। আবার অনেক সময় ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয়। অর্থাৎ সেখানে দুজনই থাকেন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি সেখানে থাকেন না। সাধারণত সেটা খুব কম হয়। আর যাই হোক, একজন দোভাষীকে তো থাকতেই হয়, যিনি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেবেন। আর এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর শুরু হয় তার পরের স্তরের আলোচনা। অনেক সময় সেটা আগেও হোম ওয়ার্ক করার জন্য হয়। আবার অনেক সময় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরও সেটা হতে থাকে। সেটা কখনো ভারতে, কখনো আমেরিকায় হয়।

নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথএকটা উদাহরণ দিই, ধরুন, মোদি বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে দিল্লিতে এসেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান। সেই জ্যাক সুলেভানের সঙ্গে অজিত দোভাল বৈঠক করেন, যেটা প্রধানমন্ত্রী স্তরে বা হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে হয় না, কিন্তু এনএসের স্তরে সে কথাটা বলা যায়, সেখানে অজিত দোভাল বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা যেন এমন কিছু না করে, যাতে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, সেখানে এমন কিছু যেন না হয়, যেটা বাংলাদেশকে আঘাত করতে গিয়ে ভারতও আহত না হয়। কেন ভারত বাংলাদেশ নিয়ে উত্থাপন করছে? সেটা যতটা বাংলাদেশের স্বার্থে, তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সার্বভৌম স্বার্থও জড়িয়ে আছে। অজিত দোভালও যখন এ কথাটা বলবেন, তখন তিনি বলবেন, এই উপমহাদেশে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও আপনারা এমন কোনো নীতি গ্রহণ করবেন না, যেটা ভারতের সার্বভৌম স্বার্থে আঘাত লাগে। আমরা এটাকে বলি, আন্ডারস্টুড ডিপ্লোম্যাসি। অর্থাৎ বুঝে নিতে হয়। স্পষ্ট ভাষায় চায়ের দোকানের মতো করে চোখে আঙুল দিয়ে কথা বলার প্রয়োজন কূটনীতিতে হয় না। অর্থাৎ কূটনীতিতে যেমন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইমপর্ট্যান্ট, শরীরের ভাষার পাশাপাশি নানা রকমের ইঙ্গিত, নানা রকমের সংকেত ইত্যাদিও থাকে।

এখানে নরেন্দ্র মোদির এবারের মার্কিন সফরে অনেক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিষয়টা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? তার কারণ নরেন্দ্র মোদি যাওয়ার আগেই আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন বা অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন, সেটাতে তারা ডিসকারেজ করবে না। অর্থাৎ সেটাতে বাধা দেবে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। মোদি জি২০-এর শুধু ক্যাপ্টেন নন, তিনি এই উপমহাদেশেরও একজন বড় রাষ্ট্রনায়ক। চীন ও ভারতের মধ্যে একটা অক্ষগত জটিলতা এবং সংঘাত আছে। সুতরাং সেখানে ভারতের যে সার্বভৌম স্বার্থ যেসব দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করাটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আজকে চীন যদি মিয়ানমারে ড্রাগনের নিঃশ্বাস ফেলে, মিয়ানমার-চীন সম্পর্কের জন্য যদি ভারতের অসুবিধা হয় এবং এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়, তাহলে সেটা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না জানানোরও কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তো আবার প্রথম দুনিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, যার সঙ্গে চীনের সরাসরি সংঘাত আছে। সুতরাং জিওস্ট্র্যাটেজিক কারণেই কিন্তু এই আলাপ-আলোচনা হয়।

বারবার আমি বলছি, হেড অব দ্য স্টেটের স্তরে সব সময় এগুলো এত খোলাখুলি, এত সবিস্তার আলোচনা হয় না। হয়, যদি সেটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান বৈঠক হয় এবং যখন রিট্রিট হয়। অর্থাৎ যখন কোনো রেকর্ড থাকে না, খোলামেলা আলোচনা হয়। আমরা জানি, গোধরা কাণ্ডের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আমেরিকার সমস্যা কম ছিল না। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, তখন আমেরিকা তাঁকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছিল এবং ভিসা দিত না। তারপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আমেরিকা তাঁকে ভিসা দিতে বাধ্য হয়। তবে কোনো দিনই স্টেট ভিজিট কিন্তু হয়নি। সব সময় ওয়ার্কিং ভিজিট কিংবা অফিশিয়াল ভিজিট ইত্যাদি খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম স্টেট ভিজিট হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সফর বাইডেনও খুব বেশি করেন না। এর আগে একবার কোরিয়ার ক্ষেত্রে তিনি করেছিলেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির এবারের রাষ্ট্রীয় সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার কারণ আমেরিকারও কিন্তু ভারতকে বিশেষভাবে প্রয়োজন এবং ভারতকে আমেরিকাও যথেষ্ট খাতির-যত্ন এবার করেছেন বাইডেন। পুরো সফরটা যদি বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে নরেন্দ্র মোদিকে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ থেকে ড্রোন দেওয়া পর্যন্ত সব ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জি২০ সম্মেলন হবে সেপ্টেম্বর মাসে। সেখানেও যেহেতু ভারত প্রধান ক্যাপ্টেন। সেই কারণে সব নেতাই আবার ভারতে আসবেন। সেখানে কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও জাপানে হিরোশিমায় নরেন্দ্র মোদির একটা বৈঠক হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর সম্পর্ক অটুট রেখেও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটা তাঁর কূটনীতির একটা সাফল্য। ন্যাটো সদস্য না হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি করে তাঁর নিজের মর্যাদাটা তিনি রক্ষা করছেন। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদি সে কথা জানিয়েছেন।

এখানে একটা কথা বলব, আসলে আত্মসমর্পণ করলেই সুসম্পর্ক হয় না। বাংলাদেশ যখন ১৯৭১ সালে গঠন হয়, তখন আমেরিকার কী অবস্থান ছিল এবং সেই সময় থেকে বাংলাদেশও কিভাবে আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করে তার নিজের সার্বভৌম স্বার্থকে রক্ষা করেছে, সেটা মুজিবুর রহমানের যে ঘোষিত নীতি, সেই ঘোষিত নীতির পর নিক্সন-ইন্দিরা ও ভারতের সম্পর্কের যে জটিলতা এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশে সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন হওয়ার পর আমেরিকাকেও কিন্তু সেই সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে মেনে নিতে হয়। সেই লড়াই কিন্তু আজও চলেছে। এবারও নরেন্দ্র মোদি তাঁর মার্কিন সফরে এই লড়াইয়ে লড়ে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট আশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন আর্থিক সংকট চরমে। সেখানে তিনটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত আমেরিকা। বাইডেনকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই ঋণমুক্তির ওয়ে আউট কী হতে পারে, তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বাইডেনকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। একটা ঋণমুক্তির রাস্তা বের করেছে সংসদ। এ অবস্থায় চীন একটা মস্ত বড় থ্রেট। সেখানে চীনের মোকাবেলায় ভারতকে সঙ্গে রাখা আমেরিকার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। যে কারণে এবারের দি ইকোনমিস্ট পত্রিকারও প্রচ্ছদ নিবন্ধ হচ্ছে যে আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড এখন ভারত। আমেরিকাকে ভারত যতই অপছন্দ করুক না কেন, ভারত আমেরিকার বেস্ট ফ্রেন্ড। এটা ইকোনমিস্টের মতো পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধের বিষয়।

এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এবারে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুটি তথ্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রথমত, বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের জন্য ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আর দ্বিতীয়ত, স্বার্থগুলো যখন এই অঞ্চলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তখন ভারত সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নৈশ ভোজ হয়েছে। তিনি ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়েও ভারত ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের সঙ্গে ভারত আছে কি না, তা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলে। আর ভারত কথা বলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে। ভারতকে বাংলাদেশ বিষয়ে বলার সুযোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাসন আমলে ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানসহ সার্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকির প্রসঙ্গ এসেছিল।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে ওয়াশিংটন যখন পৌঁছে গেছেন। এই সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে অজিত দোভাল বলেছিলেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতের জাতীয় শর্ত ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া থেকে অন্য দেশগুলোর বিরত থাকা উচিত। বিষয়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওই সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ভারতের একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বরাত দিয়ে লিখেছে যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। যেমন- বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনকালে আসামের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী উলফার কাছে ১০ ট্রাক সামরিক অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। এটা নিরাপত্তার মূল বিষয়। ওই সাংবাদিক এসব বিষয়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের সমস্যার সৃষ্টি করা উচিত নয়- এমন প্রত্যাশার বিষয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এবং ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ওঠার কথা নাকচ করেননি। আবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠেছে-তিনি এমনটাও সোজাসুজি বলেননি। 

বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, আমি দুটি বিষয় বলব, প্রথমত বিশদভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের বিষয়ে এবং ক্ষেত্র মুখে ভূমিকা রাখতে দ্বিধা করবে না। আগে যেমনটা বলেছি, একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল সমুন্নত রাখতে আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করি। আমরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবেলা করি। উন্মুক্ত সমৃদ্ধ নিরাপদ স্থিতিশীল ও স্থিতিস্থাপক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চল এবং বিশ্ব গড়তে কাজ করার জন্য আমরা ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করার অপেক্ষায় রয়েছি।

ভারতের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আমেরিকা যে কাজ করতে প্রস্তুত সে কথা তো আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েই দিয়েছে। ভারতও যে বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। আর ভারতের নির্বাচন ২০২৪ সালের মে মাসে। তার আগেই এ বিষয়গুলোর জটিলতার জট ছাড়াতে আশা করা যায় আরো আলাপ-আলোচনা এগোবে। জি২০ সম্মেলন যখন দিল্লিতে হবে, তখন শেখ হাসিনাও বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে দিল্লিতে আসবেন। তখন বাইডেনও থাকবেন। থাকবেন অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক। সেই সময় ভারতে মোদির সঙ্গেও হাসিনার একটা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। সুতরাং সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে আরো স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতের যাত্রাপথ।

লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি
অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা