সন্দ্বীপের জেগে উঠা চর উদ্বাস্তুদের মধ্যে বিতরণের পর অতিরিক্ত যদি কিছু থাকে, তাহলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে। এর আগে অন্য কিছু মানবে না সন্দ্বীপের প্রায় দুই লাখ উদ্বাস্তু। কারণ, নদীর করাল গ্রাসে তারা ভিটে-মাটিসহ আবাদি জমি হারিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা আন্দোলন কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। এ দাবির প্রতি সমস্ত প্রবাসীদের সমর্থন লাভের আশায় ১১ মার্চ সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে একটি মানববন্ধন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন, সন্দ্বীপ সোসাইটিসহ সন্দ্বীপ উপজেলার প্রবাসীদের বিভিন্ন পর্যায়ের ২০টি সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আবুল হাসান মহিউদ্দিন বলেন, নদীর করাল গ্রাসে আবাদি জমিসহ ভিটে-মাটি হারানো এক লাখ ৮৫ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এদের পুনর্বাসনে আজ পর্যন্ত সত্যিকারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সভাপতি আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু বলেন, ভিটে-মাটি হারানো লোকজন বহু বছর যাবত নদীর তীরে অপেক্ষা করছেন জমি জেগে উঠলে বসতি গড়ার জন্যে। সাম্প্রতিক সময়ে সে সব জমি জেগে উঠেছে। উদ্বাস্তুদের মধ্যে ওই জমির বন্দোবস্ত করার জন্যে স্থানীয় প্রশাসন যখন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা ভাবছে, ঠিক তেমনি সময়ে জেগে উঠা চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কথা বলা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আলহাজ্ব আবু তাহের, ফিরোজ আহমেদ হেলালউদ্দিন, মোহাম্মদ হামিদ, আব্দুল হান্নান পান্না, ইকবাল হায়দার, আবুল কাশেম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা