হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ২টায় মঞ্চ আর মাঠ সাজানোর পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘুম চোখে নিয়ে উপস্থিত বৈশাখী মেলার মাঠে।
হৃদয়ের উষ্ণতায় বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রবাসীদের কোনো কমতি যাতে না থাকে সেদিকটি খেয়াল করে এমন আয়োজন করলেন কিছু সাংস্কৃতিক প্রিয় কুয়েত প্রবাসী।
পিঠা উৎসবের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মেলা। তাই লাল সাদা শাড়িতে নববধূ সাজে মাঠে আসতে থাকে এক এক করে পিঠার আয়োজকরা। সকালে পিঠা উৎসবের মধ্যদিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম।
বাঙালি জাতিসত্তার অমূল্য এ দিনটিকে বরণে ঢাক-ঢোলের উচ্ছ্বাস, আলপনা আর লাল সবুজের পতাকায় একাকার হয়েছে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা। ফুলের সুরভি মাখা বৈশাখের রঙে রঙিন হয়েছেন কুয়েত প্রবাসীরা। শুক্রবার উৎসবের আমেজে নারী-পুরুষ শিশুসহ সব বয়সী প্রবাসীদের আনন্দমুখর পদচারণায় কুয়েত আব্বাসিয়া ট্যুরিস্টিক পার্ক হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। ফুলের বাহার আর লাল সাদা রঙে ভেসে যায় পুরো পার্ক। যেমন খুশি তেমন সাজে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলে কোমলমতি শিশুকিশোরসহ বড়রা। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাংলার গান আর নাটক দেখে মেলায় আনন্দে মেতে উঠে হাজার হাজার কুয়েত প্রবাসী বাঙালি।মেলাটি বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং কুয়েত প্রবাসীদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৬ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম