লাওস, এই দেশটির নাম বাংলাদেশের অনেক মানুষই জানে না। অথচ দূরত্ব হিসাবে পাকিস্তান এর চেয়েও অনেক কাছের দেশ এটি। এখানে খুব অল্প কিছু বাংলাদেশি থাকেন, যাদের অধিকাংশ গার্মেন্টসে এবং রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। এর বাইরে ইন্টারন্যাশনাল চাকরি করেন এ রকম ২/৩টি পরিবার আছে। একজন আছেন সবচেয়ে পুরনো, দীর্ঘ দিন হিসাবে পুরোনা বলা। মো. মাজহারুল হক এডি ভাই একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি সেখানে অনেক বাংলাদেশির জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন।
পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ উপলক্ষে লাওস এর সব বাংলাদেশি মিলত হয়েছিল এডি ভাই এর ঢাকা রেস্টুরেন্টে। এবার দ্বিতীয় বারের মতো লাওসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হলো। খুব অল্প সংখ্যাক বাংলাদেশি থাকার কারণে এখানে বাংলাদেশের অন্যান্য অনুষ্ঠান করা হয় না। এডি ভাইয়ের উদ্যোগেই গত বছর লাওসে প্রথম পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৪২৪ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা। সবাই মিলিত হয়ে ''এসো হে বৈশাখ এসো এসো...'' গানের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ ১৪২৪'কে স্বাগত জানানো হয়।
এবারের উদযাপনে বিদায়ী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাইম সাইফ ভাইকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নাইম ভাই লাওসের অ্যাম্বাসিতে কর্মরত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী ও কন্যা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনেক বাংলাদেশি তাদের অনেক ভালো লাগা এবং সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এবং ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে বাংলাদেশেল অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো পালন করার ব্যাপারে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিদায়ী শুভেচ্ছা বক্তব্যে নাইম ভাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এবং কিছু দিন আগে একজন মৃত বাংলাদেশির মরদেহ পঠানোতে এডি ভাই এর সহযোগিতার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে অনেকের মাঝে আও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমীন, ওয়াছিউল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, সোহেল রানা।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব