সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম হককে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.গনি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
শামীম হক মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রিয়া সফরের সময় অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান খন্দকার নাসিম এবং জুন মাসে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে প্রহৃত করে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা শামীম হকের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ শামীম হককে ভৎসর্না করে এসব ঘটনায় ইউরোপ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের নিকট লিখিতো ও মৌখিক অভিযোগ প্রদান করে।
এছাড়া ইউরোপের বিভিন্নদেশে সর্ব ইউরোপিয়ান আ'লীগের অনুমোদিত কমিটির বিপক্ষে গিয়ে দলছুট, হাইব্রিড ও বহিস্কৃতদের উস্কানি দিয়ে ইউরোপ আওয়ামী লীগের মধ্যে বিশৃঙ্গখলা সৃষ্টি করে। সাংগঠনিক প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ প্রদান করেন, যারা যে দেশে থাকেন সে দেশের আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে রাজনীতি করবেন। শামীম হক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ইউরোপ সফরে আসেন তখন ইউরোপ এসে আওয়ামী লীগ এর মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেন। শামীম হক বাংলাদেশে অবস্থান করে ইউরোপ থেকে বহিস্কৃত, কালো তালিকা ভুক্ত যাদের ইউরোপে আসার ভিসা জব্দ হয়েছে সেই সব ব্যক্তিদের নিয়ে ইউরোপ আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক তদবিরে ব্যস্ত থাকেন।
ইউরোপ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ শামীম হকের এহেন কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত। বাংলাদেশে অবস্থান করে ইউরোপ আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ এর ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা সহ অন্যান্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশে শামীম হককে ইউরোপ আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন